সম্রাট নন, ঈশ্বর

ব্রাজিলে পর্তুগিজরা এসেছিল যখন, সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল আফ্রিকান ক্রীতদাসদের। প্রবল শক্তির সমাহার সেই ক্রীতদাসদের মধ্যে স্বাধীনতার বর্জ্র নির্ঘোষ ছিল। বহু জনই পালিয়ে গিয়েছিলেন জঙ্গলে। তাঁদের জিনগা বলা হত, ক্যাপোয়েরা ছিল তাঁদের লড়াইয়ের ফর্ম। মার্শাল আর্ট আর নৃত্য— দুইয়ের এক অলোকসামান্য যুগলবন্দি। সেই কৌশল চলে এসেছে ফুটবলে। দৃষ্টিনন্দন সেই স্টাইল। যা আফ্রিকার বীজ থেকে উত্থিত পেলের ভিতরেই ছিল।
…লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী
শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে জ্যোতিষ গুহই সুপারস্টার!

শতবর্ষে পা দিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। একশোর আঙিনায় দাঁড়িয়ে ক্লাবের অন্যতম মহীরুহকে স্মরণ করলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক চিরঞ্জীব।
খেলার টিকিট ব্ল্যাক! দু’টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল পনেরো টাকায়

১৯১১ সালের ২৯ জুলাই। শিবদাস ভাদুড়ির নেতৃত্বে এগারোজন বঙ্গসন্তান খালি পায়ে মাঠে নেমেছিল ব্রিটিশ শাসকের বুটের বিরুদ্ধে, তাদের কবল থেকে বল ছিনিয়ে আনতে। ঘটেছিল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। জয়ী হয়েছিল বাঙালির দল মোহনবাগান। আজকের দিনে ফিরে দেখা সেই দিনটিকে…
চুনী উঠল রাঙা হয়ে (শেষ পর্ব)

চুনী গোস্বামী পঞ্চাশের দশকের শেষদিক থেকে ষাটের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দননগরের ক্লাব ও জেলাস্তরে নিয়মিত ফুটবল ও ক্রিকেট খেলেছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা মানিক গোস্বামীও। এঁরা খেলতেন চন্দননগর সি.সি ক্লাবে…
চুনী উঠল রাঙা হয়ে (প্রথম পর্ব)

চুনী গোস্বামী যে জনমানসে গ্ল্যামার আইডল হয়ে বিরাজ করলেন চিরকাল, তার নির্দিষ্ট কারণ খোঁজা সম্ভব নয়। তবে আন্তর্জাতিক মানের একজন ফুটবলারের পাশাপাশি রাজ্য ও পূর্বাঞ্চলে তাঁর ক্রিকেটারের ভূমিকা বোধহয় এ ব্যাপারে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছিল।….
গোলকিপার (পর্ব ২২)

এতক্ষণ মুখ খোলেননি সুমিত্রা। এবার ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “যে মেয়েটা তোর ভালোর কথা ভেবেই এত কিছু করছে, আমি তো দেখছি সেই একেবারে প্রথম দিন থেকে, তার সঙ্গে কোনও কথা না বলে তাকে এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না ছোটু। সে যদি তার বাড়িতেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে থাকে…” মা’কে কথা শেষ করতেও দিল না অরিত্র, ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে উঠল, “তুমি কিছু জানো না মা। কুর্চি আমার বন্ধু বলে এই লোকটা, কুর্চির বাবা, আমাকে শেষ করে দিতে চায়। দেবুদাই দুদিন আগে বলছিল, ভাড়াটে খুনি লাগাবে আমার পেছনে। এখন ওরই সঙ্গে আমাদের থাকতে হবে? পাগল নাকি!”
গোলকিপার (পর্ব ২০)

বেলভেডিয়ারে পৌঁছতে দেবদীপেরও একটু দেরি হয়ে গেল। অরিত্রর কেবিনের দরজা খুলেই হকচকিয়ে গেল দেবদীপ। শুয়ে আছে অরিত্র, ডাক্তার কর তার মাথার ক্ষত পরীক্ষা করছেন, তাঁকে ঘিরে জনা পাঁচেক সহযোগী। দাঁড়িয়ে পড়ল দেবদীপ, উদ্বেগের ছায়া ক্রমশ গাঢ় হয়ে উঠছে তার মুখে। মিনিট খানেকের মধ্যেই অরিত্রকে ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ালেন ডাক্তার কর।
গোলকিপার (পর্ব ১৯)

বেলভেডিয়ার নার্সিং হোমে পৌঁছতে পৌঁছতে অবশ্য ভিজিটিং আওয়ার শেষ। তবে ডাক্তার করকে হাসপাতালেই পেয়ে যাওয়ায় অরিত্রর কাছে যেতে কুর্চির অসুবিধে হল না। সকালের ফিজিওথেরাপি সেশন শেষ করে স্নান-টান সেরে ঘরের কোণের সোফায় বসে শরদিন্দু পড়ছিল অরিত্র। কুর্চিকে দেখে খুশি খুশি গলায় বলল, “কদ্দিন পরে এলে। আমাকে তো চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলে!” শুনে এত জোরে হেসে উঠল কুর্চি যে নিজেই লজ্জা পেল। অরিত্রর মুখোমুখি সোফাটায় বসতে বসতে বলল, “সরি। দিন নেই রাত নেই, আমি পাঁইপাঁই করে ছুটে বেড়াচ্ছি, আর আমাকে নিয়েই চিন্তা হাসপাতালে বন্দি গোলকিপারের! শুনি, কিসের এত চিন্তা তোমার?”