নববর্ষে কবজি ডুবিয়ে বাঙালিয়ানার খানা তল্লাশি

শিল্প-সংস্কৃতি আর খাওয়াদাওয়া এক নিশ্বাসে বললেই যে পরিবারের কথা প্রথমে মনে আসে, তা হল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। এই ঠাকুর পরিবারেরই একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। বাংলা নতুন বছর শুরু করা যাক ওঁর লিপিবদ্ধ করা অঢেল রেসিপির মধ্যে থেকে কিছু রান্না দিয়ে। যে সমস্ত রান্নায় নামীদামি রেস্তোরাঁর ছাপ নেই, আছে মা ঠাকুমাদের আঁচলের ছায়া আর ভালবাসা।
সেকালের রেসিপি একালের মতো করে সাজালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
দোলের মিষ্টিমুখ, ঘরোয়া রেসিপিতেই বাজিমাৎ

রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের দোল হোক, বা শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মতিথি উদযাপন, বা নিছক খুশির রং খেলা— সর্বত্রই মিষ্টি মুখ… মঠ, খাজা, গজা, জিলিপি, মালপোয়া, শরবত, প্যাঁড়া, ইত্যাদি কী নেই সেই লিস্টে!
দোলের দিনে ঘরের হেঁশেলেই তৈরি হোক জিভে জল আনা হরেক মিষ্টি, রেসিপি জানালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়…
পিঠে-পার্বণী

পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি, যখন সূর্য আবার উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করে, ধনু থেকে মকর রাশিতে সঞ্চারিত হয়, সেদিন ভোরে স্নান সেরে পরিষ্কার শাড়ি পরে বাড়ির মা কাকিমা জেঠিমারা শুরু করেন পিঠে পার্বণ…
এই পৌষ সংক্রান্তিতে কোথাও কোথাও পুজো হয় ‘উঠোন লক্ষ্মী’ বা ‘পৌষ লক্ষ্মী’র… উঠোনময় আলপনা দিয়ে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন ধানের আশীর্বাদকে…
মায়ের হাতের স্বাদগন্ধ

মাতৃদিবসে পাঁচজন লেখকের কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম তাঁদের মায়ের হাতের রান্না বলতে প্রথমেই কোন স্বাদের কথা মনে পড়ে। মা-কে কাছে না-পাওয়ার দুঃখ ভুলে তাঁরা জানালেন মায়ের হাতের সেই বিশেষ পদটির কথা, যার স্বাদগন্ধ এখনও তাঁদের রসনায় অমলিন।
চর্ব্যচূষ্যলেহ্যপেয়: পর্ব ৩- মাছের মাংসের কারি

অনেকে বলেন রবীন্দ্রনাথের ‘পঞ্চভূত’ বইয়ের ব্যোম চরিত্রটি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদলে গড়া। অন্যমনস্ক, উদাসীন, দার্শনিক প্রকৃতির ব্যোম অকাজের চিন্তায় আনন্দময়। তার অভিমত, এই অকাজের অকারণ চিন্তা মেয়েরা করে না, করতে পারে না, করতে চায়ও না। … সত্যিই কি তাই? বিশ্বজিৎ রায়ের কলাম। পর্ব ৩।
চর্ব্যচূষ্যলেহ্যপেয়: পর্ব ২- বাঙালি পুরুষ যখন রাঁধুনি

রাঁধুনি-বামুনি, বারযোগে পাচক ঠাকুর থেকে হাল আমলের শেফ, কেউই কিন্তু সচরাচর আর মা-মাসি নন; তখন সেখানে পুরুষদেরই প্রাধান্য। এই ট্রাডিশন মহাভারতের যুগ থেকে সমানে চলেছে। খাদ্যাখাদ্য নিয়ে বিশ্বজিৎ রায়ের কলাম। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
পয়লার পঞ্চব্যঞ্জন

নতুন বছর, প্রথম দিন, বাবার হাত ধরে বাড়ির থেকে দশ পা দূরে পিছনের বাজারে শচীনকাকুর দোকানে হালখাতার নেমন্তন্ন। আর দুপুরে ষোড়শপচারে খাওয়া। নববর্ষের প্লেট সাজালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়।
চর্ব্যচূষ্যলেহ্যপেয়: পর্ব ১- লপসি ও লপ্সিকার জন্য বিপ্লব

জেলের লপসির মতোই অনেক সময় চেহারা নেয় কাঙালি-ভোজনের খিচুড়ি। তাতে চাল-ডাল প্রায় নেই, যা আছে তা হলুদ গোলা লবণাক্ত জল। … কারাগারের খাদ্যাখাদ্য নিয়ে এই পর্বের লেখা লিখছেন বিশ্বজিৎ রায়।