‘ফায়ার অফ লাভ’ – সেলুলয়েডে পৃথিবীর হৃৎস্পন্দন শোনার গল্প

শেষমেশ ১৯৯১। ৩ জুন। জাপানের গ্রে ভলক্যানো মাউন্ট উনজেন। ছবির শুরুতেই ঘটনাস্থলে আগের দিন বাকিদের সঙ্গে ক্রাফট দম্পতি। হাসতে হাসতে মরিস বলছিলেন, ‘দ্য ভলক্যানো ইজ ওয়েটিং ফর আস’। ব্যাকগ্রাউন্ডে মিরান্ডার ন্যারেশন— ‘This is Katia and this is Maurice. Tomorrow will be their last day.’ ৩ জুন বিকেল চারটেয় কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ক্যামেরা নিয়ে উনজেনের আরেকটু কাছে আরও বিপজ্জনক জায়গায় গিয়ে শ্যুট করার চেষ্টা করলেন মরিস, কাতিয়া। আর তখনই ইরাপশন।
লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য…
‘উই আর নট রিফিউজিস, উই হ্যাভ আ হোম’— উদ্বাস্তু সমস্যা ও ‘দ্য সুইমার্স’

কেন শেষে এসে দুই বোনের পরিণতি স্রেফ স্ক্রল করে বেরিয়ে যাওয়া হল? অলিম্পিক পরবর্তী ইউসরা মারদিনির লড়াই, মেডিকেল ক্যাম্পে সারা মারদিনির দিনরাত এক করা শ্রম— কেন গল্পে সেসব থাকবে না? দিনের শেষে স্রেফ একটি প্রেডিক্টেবল ফিল-গুড স্পোর্টস মুভি হয়ে থেকে যাবে ‘দ্য সুইমার্স’?
লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য…
‘অন্দর সে চিলে নিকলকে উড় জায়েঙ্গে’: ‘অল দ্যাট ব্রিদস’, একটি আলোচনা

চিল বলতে কালো চিল, এবং তার সঙ্গে কিছু স্পটেড হকসহ অন্যান্য অনেক শিকারী পাখি, যাদের ‘নন-ভেজ বার্ড’-এর আওতায় ফেলে চিকিৎসায় সাহায্য করে না প্রথাগত বার্ড হসপিটালগুলি। অক্লান্ত পরিশ্রমে কুড়ি বছর ধরে প্রায় কুড়ি হাজার অসুস্থ চিল বাঁচানো, আঘাত সারিয়ে আবার আকাশে পাঠানো– “যা, জি লে আপনি জিন্দেগি”। চিলকে খাবার দিলে দোয়া করবে ওদের ঈশ্বর, ‘সওয়াব’ মিলবে, তারপর সেই চিল মনের সব কষ্ট খেয়ে নেবে–‘দিককত খা জায়েগা’।
রিভিউ: রাজা রবি বর্মা: দুজন পরিচালক, দুটি ছবি

যেহেতু দুটি ছবিই একজন চিত্রশিল্পীর জীবন ও কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাই দুটি ছবিতেই রঙের অজস্র বাহার, দৃষ্টিসুখের ছড়াছড়ি। ক্যানভাসের পাশাপাশি জীবন জুড়েও রং, ছবির গোটা পরদাটাই রঙে ভরপুর– যেন সেলুলয়েডে তুলি (ক্যামেরা) দিয়ে ছবি আঁকা হয়েছে। রাজা রবি বর্মা ভারতীয় চিত্রকলাকে বরাবরের মতো বদলে দিয়েছিলেন…
মূল ফিল্ম রিভিউটি হিন্দি ভাষার উল্লেখযোগ্য সমালোচক ড: বিজয় শর্মার লেখা, বাংলায় অনুবাদ করেছেন অমৃতা বেরা…
আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা: মেঘ মুলুকে সাত সুলুক

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এত ভালো অভিনেতা, প্রেশার সিচুয়েশন এত অনায়াসে হ্যান্ডল করতে পারেন যে সুমিত্রর ভূমিকায় তিনি এই ছায়াছবির সেরা পাওনা হয়ে রইলেন। স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্রায়ণে তাঁকে সঙ্গত করলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
‘অভিযাত্রিক’- ভুবনডাঙায় অপুর প্রবেশ

বছর দুয়েক আগে ‘অভিযাত্রিকে’র কাজ সারা হয়েছিল। দেশবিদেশের গুচ্ছের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মন-কেমন-করার পসরা ফিরি করার পর এই ঝিম ধরা শীতের বেলায় সাড়ম্বরে শুভমুক্তি হল।
‘তখন কুয়াশা ছিল’- হালের বাংলার আঁতের চালচিত্র

একবছর আগে এই দিনেই প্রয়াত হয়েছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাঙালির চিরন্তন অপু-কে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় আজও স্মরণ করছে বিশ্ব। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘তখন কুয়াশা ছিল’। দেখে এলেন অংশুমান ভৌমিক।
মেয়েরা বুঝি আজীবন ভোগের জোগানদার?

প্রতি বছর বচ্ছরকার এই দিনটায় এ প্রশ্নটা বুড়বুড়ি কাটে মনে। কবে মেয়েরা ভোগের ঊর্ধ্বে উঠে যোগে যোগ দেবে? কবে অভিনেতা, পরিচালক, যাত্রী, পুরোহিত, পাইলট, গাড়ির চালকের আগে ‘মহিলা’ শব্দটি আর বসবে না? সমস্ত সংস্কার ভেঙে মুক্ত জীবনের প্রতীক্ষার অবসান কবে হবে ‘শবরী’দের? আরও আছে। ঋতুস্রাব নিয়ে অকারণ ট্যাবু ভাঙার প্রতীক্ষা। ছেলের বদলে একটা মেয়ে হোক– এই কামনা নিয়ে মায়ের সন্তান কামনার প্রতীক্ষা। কনে যে পণের মতোই পণ্য নয়, সেই অনুভূতির প্রতীক্ষা। মাঝরাতেও কবে মেয়েরা নির্ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটবে, তার প্রতীক্ষা। এরকম বহু প্রতীক্ষা বছরভর নানা অনুষ্ঠানে, ঘরে-বাইরে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রতীক্ষার অবসান হয় কই?