উপন্যাস: নাগবন্ধন: সপ্তম পর্ব

Novella Nagbandhan part-7

সে ভাবে, হয়তো সেই সন্ন্যাসীকে সিডিউস করেছিল পদ্মিনী নামের এক রূপসী কন্যা। কিংবা উল্টোটাও হতে পারে। মানে সন্ন্যাসীও পদ্মিনীর প্রেমে আকুল হয়ে তাকে হয়ত ভোগ করার লোভ সামলাতে পারেনি। সবই তো লোকায়ত ঘটনা। মানুষ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে আসছে।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ সপ্তম পর্ব…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: ষষ্ঠ পর্ব

Bengali Novella by Indira Mukhopadhyay

পকেটে হাত দিতেই সেই তান্ত্রিকের টকটকে লাল গ্লসি পেপারের ঝিনচ্যাক কার্ডটা বেরিয়ে আসে। খানিক কিন্তু কিন্তু করে ছিদামকে তান্ত্রিক রাজাবাবার কথাটা জিজ্ঞাসা করেই ফেলে সায়ন। ততক্ষণে সীমা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দিরে ঢুকেছে পুজোর প্রসাদ আর প্রসাদী ফুল নিতে। এটাই সুযোগ। সীমার অনুপস্থিতিতে এসবের খোঁজ নেওয়াই ভালো। নয়তো আবার সে গোল বাধাতে পারে।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ ষষ্ঠ পর্ব…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: পঞ্চম পর্ব

novella Nagbandha part 5

রোগ-ভোগ হলে গ্রামের মানুষের একমাত্র আশা ভরসার জায়গা হল সতীমায়ের ভর, জলপড়া, তাবিচ, কবচ, মাদুলি, মানসিক আর মানিকপীরের ঝেড়ে দেওয়া অথবা নদীতে স্নান করে ভিজে কাপড়ে দণ্ডি কাটা। এই স্কুলের চাকরিটা পাওয়ার আগে হন্যে হয়ে সায়নকে ঘুরতে হত অফিসের ট্যুরে— সামান্য একটা সেলসের কাজে। সেই সূত্রেই বিহার, ওড়িশা, বাংলার জঙ্গুলে অরণ্যময়তার সঙ্গে তার পরিচয় বহুদিনের। 

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ পঞ্চম পর্ব…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: তৃতীয় পর্ব

Nagbandhan part 3

১৬৯০ সালে রাজনগরের সঙ্গে নানকার রাজ্যের প্রচণ্ড যুদ্ধে নানকার রাজ্যের রাজধানী ডামরা পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। এর প্রায় ন’বছর পর নানকার রাজারা মলুটীতে তাঁদের নতুন রাজধানী নির্মাণ শুরু করেন। নানকার রাজবংশ মলুটীতে এসে শেষ পর্যন্ত ছয় তরফে ভাগ হয়ে যায়। ওদের সবাই খুব পুজোআচ্চা করত।

উপন্যাস: নাগবন্ধন: দ্বিতীয় পর্ব

Nagbandhan part2

ছোটনাগপুরের নবরতনগড় থেকে নাগবংশের শাসনকার্য দেখতেন সেখানকার ৪৫তম রাজা দুর্জন শাল। এটি সাড়ে পাঁচশো বছর আগের ধ্বংসাবশেষ। ন’তলা এই দুর্গের নাম তিনি রেখেছিলেন নবরত্নগড়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৭১ সালে মানে দুর্জন শালের শাসনকালের আগেই তৈরি হয়েছিল দুর্গটি, যার মাটির উপরে ৯টি তল ছাড়াও ছিল মাটির নীচে বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ দ্বিতীয় পর্ব…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: প্রথম পর্ব

Nagbandhan part1

একটু আগেভাগে গেলে মায়ের মন্দিরে ভোগের কুপন কেটে নিন। দুপুরের খাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকবে না আর। পথের পাশে ঝাড়খণ্ডি মহিলাদের তেলেভাজার দোকান সারি সারি। বিকেলে সেখানে চা, মুড়ি আর লংকার চপ খেয়ে ফিরে এসে আরও এক রাত থাকুন শান্তিনিকেতনে। তারপরে ধীরেসুস্থে কলকাতায় ফিরুন স্যার। মলুটী দেখে শেষ হবে না, এও বলে দিলাম কিন্তু।

শুরু হল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ প্রথম পর্ব

উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: শেষ পর্ব

Novel Akashpradip Part-24

পশমিনা শালটার সঙ্গে সিমোন আর একটা জিনিস পাঠিয়েছে সীমন্তিনীর জন্য৷ একটা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবি৷ ছবিতে এক সুখী দম্পতির মাঝখানে একটি ছোট্ট মেয়ে মায়ের কোল ঘেঁষে বসে৷ রণো সন্তর্পণে ওর সঙ্গের একটা ফোল্ডার থেকে বার করে এনেছিল ছবিটা৷ সীমন্তিনীর হাতে দিয়ে দেখেছিল কাঁপছে মাম্মার হাতখানা৷ ছবির বাচ্চা মেয়েটা হাসি মাখা মুখে ঢলে পড়েছে মা’র কোলে৷ মা আর বাবা দুজনেই হাসিমুখে তাকিয়ে রয়েছে মেয়েটার দিকে।

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৬

Orwell's Animal Farm 16

এক রাতে বারোটা নাগাদ হঠাৎ খামারের উঠোনে কিছু একটা ভেঙে পড়ার জোর শব্দ পাওয়া গেল। জন্তুরা হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে এল নিজেদের খুপরি থেকে। জ্যোৎস্না রাত৷ চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারিদিক। সবাই দেখল, গোলাবাড়ির দেওয়ালের একেবারে শেষ প্রান্তে, যেখানে সাতটি বিধান লেখা আছে, তার ঠিক নীচে দু-টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে রয়েছে একটা মই। আর সেই মইয়ের ঠিক পাশে হতবুদ্ধি অবস্থায় হাত-পা ছড়িয়ে চিৎপাত হয়ে রয়েছে স্কুইলার৷
জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা তর্জমা অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। পর্ব ১৬