শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৭)

সাঁইত্রিশবার দার পরিগ্রহ করা কুলীন বামুন বিনোদবিহারী মুখুজ্জে বাড়িতে থাকা দুই স্ত্রীর কোন্দল আর নির্যাতনে অতীষ্ঠ। সেই লক্ষ্মীদাসি আর গৌরবালার চুলোচুলির মাঝে এসে দাঁড়ালেন এক স্ত্রীলোক। পিছনে দুই বেহারার পালকি। কে তিনি? কার সঙ্গে এসেছেন?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৬)

অর্জুন সিংহ বিশেকে চৌরঙ্গীবাবার খবর দিলেন। যে বাবার আশীর্বাদ পেতে আশপাশের পাঁচ গায়ের লোক হন্যে, সেই বাবা স্বয়ং নাকি দেখা করতে চান বিশেকে! কিন্তু কেন?…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১০)

সন্ধের মুখে দশ গাঁয়ে সাপ খেলিয়ে ফিরছিল লখাইবেদে। রাস্তাতেই ওকে ধরে ফেলেছিল বিশুর দলবল। সোজা তুলে নিয়ে গিয়েছিল পোড়াদেউলের নির্জন মাঠে। মন্দিরের দাওয়ায় বসা বিশু। পাথরের মত মুখখানা। ঠাণ্ডা চোখে তাকিয়েছিল লখাইয়ের দিকে। “কী হয়েছিল সত্যি করে বল। সত্যি কথা বললে কম কষ্টে মরবি।” কাঁপতে কাঁপতে সব খুলে বলেছিল লখাই। সেই রাতে পাঁচকড়ির টাকা খেয়ে […]
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৮)

“কে যায়?” দুর থেকে বাজখাই গলায় হাঁক পাড়ল কেউ। একটু এগিয়ে গিয়ে ঠাহর করতেই নজরে পড়ল হাত নেড়ে ওদের ডাকছে পাঁচকড়ি সর্দার। পাঁচকড়ি, আশপাশের দশবিশটা গাঁয়ের লোক থরথর করে কাঁপে ওর নামে। দুনিয়ার যত বাঘা বাঘা লেঠেলদের সর্দার।…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৭)

গাড়ভাতছালার বাগদীপাড়া, ঘরে ঘরে লাঠি সড়কি আর লেঠেল পাইকের চাষ…গাঁয়ে গাঁয়ে জমিদারবাবুদের ফৌজ সব। নিরাপদর বাপ কানাই বাগদি একা লাঠি হাতে পাঁচশ জোয়ানের মহড়া নিতে পারত।