মা গো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়

সেসব থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও উৎসবের উত্তেজনার আঁচ এসে পৌঁছয় আমেরিকার মাধ্যপশ্চিমের ইলিনয় রাজ্যের এই শহরে। এখন আকাশ প্রায়দিনই মেঘলা। হাওয়ায় শিরশিরে ভাব। হালকা কার্ডিগান আর চাদরের উষ্ণতা চায় শরীর।
মাইকে পুজোর গান শুনে তুলবার চেষ্টা করতাম

পাশাপাশি কিন্তু পুজোর গানের তালিকায় সম্পূর্ণ কালোয়াতি বাংলা গানও (যাকে আমরা সাধারণতঃ রাগপ্রধান বলি) সমানভাবে স্থান পেয়েছে। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, শিপ্রা বসু বা হৈমন্তীদির মতো শিল্পীদের রাগাশ্রয়ী বাংলা গানও কালজয়ী পুজোর গান হিসাবে আজও ভীষণভাবে সমাদৃত।
আজ আগমনীর আবাহনে

২০১৯ এর জানুয়ারি মাস নাগাদ আমাদের শেফিল্ড ডিস্ট্রিক্ট দুর্গোৎসব কমিটি ঠিক করেন, এবার নতুন প্রতিমা হলে বেশ হয়| শেফিল্ডের পুজো চলছে প্রায় ত্রিশ বছরের ওপর| একই প্রতিমা প্রায় বছর কুড়ি ধরে আছে| মাঝে একবার খুব যত্ন করে রঙ ফেরানো হয়| তবে গত বছর মনে হয় প্রতিমাকে সত্যিই বেশ ক্লান্ত লাগছে|
প্রবাসে পুজোর বাজার

আমেরিকায় প্রায় সব শহরেই ছোট বড় প্রচুর ইন্ডিয়ান দোকান,বড় শোরুম। সেখানেও দশেরা নবরাত্রি উপলক্ষ্যে প্রচুর শাড়ি,জামাকাপড়ের স্টক আসে। মন্দির গুলোতে যেকোনও উৎসবে পুজোর দিন গুলোতে প্রচুর স্টল বসে শাড়ি, কুর্তি, শেরওয়ানি, কস্টিউম জুয়েলারির।
আনন্দ সমাপন

ছাতিম-গন্ধ অবধারিতভাবে নিয়ে আসে দশমীর পরের বিষাদ। আনন্দ-উৎসবের সমাপনের ইঙ্গিত বহন করে আনে সেই উগ্র মধুর ঘ্রাণ। যে ঘ্রাণ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে, সেই গন্ধই দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হলে প্রাণ ছটফট করে। আসলে এ গন্ধ বার বার মনে করিয়ে দেয়, উল্লাস ক্ষণস্থায়ী, এক সঙ্গে বড় বেশি আনন্দ-প্রাপ্তি বেশি ক্ষণের নয়। তা অল্পস্থায়ী হওয়াই […]
পুজোর মুখোশ

আমাদের ছোটবেলায় পল্লির পূজা প্যান্ডেলের পাশে একটা লোক নানা রকম খেলনা নিয়ে দাঁড়াত। কাগজের চাকতি, হাওয়া পেলেই বনবন করে ঘোরে। তির-ধনুক, গদা, প্লাস্টিকের রোদচশমা আর মুখোশ। হনুমান-সিংহ-রাক্ষস-ভূত-কঙ্কাল আর একটা হাসি-হাসি মুখ। সেই প্রথম আলাপ মুখোশের সঙ্গে। মুখে পরে নিলেই আমি অন্য কেউ, হনুমান পরলেই ভেতর থেকে কে যেন হুপ হুপ করে ডেকে ওঠে, সিংহ […]
একলা পুজো

গতবারের পুজো। উত্তর কলকাতার এক বিখ্যাত পুজোমন্ডপের বাইরে প্রায় চল্লিশ মিনিট লাইন দেওয়ার পরে প্যান্ডেলে ঢোকার সুযোগ পাওয়া গেল। পনেরো কুড়ি ফুট এগোনোর পরেই ছ’ফুট বাই ছ’ফুটের একটা জায়গা। উপরে লেখা, ‘সেলফি জোন’। লাইনে ঠেলাঠেলি করে একটু এগোতে না এগোতেই কানে এসে গেল সেই অমোঘ ঘোষণা, ‘আগত দর্শনার্থীদের উদ্দেশে জানানো যাচ্ছে, মন্ডপে কেউ ভিড় করবেন […]
ভক্তিতে উপেক্ষিত: কার্তিক ও অসুর

ভারতীয় পুরাণে মূল দেবতা তেত্রিশ জন বা তেত্রিশ কোটি—ত্রয়স্ত্রিংশত ইত্যেতে দেবাঃ। তাণ্ড্যব্রাহ্মণে ও বৃহদারণ্যক-উপনিষদে অষ্ট বসু, একাদশ রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য, প্রজাপতি এবং ইন্দ্র—এই তেত্রিশ জন দেবতা। মহাভারতে নীলকন্ঠের টীকাতেও তাই দেখা যায়। রামায়ণে ইন্দ্র ও প্রজাপতির জায়গায় অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে গ্রহণ করা হয়েছে। তেত্রিশ কোটি দেবতা, কোনও দেবী সেখানে নেই। ভারতীয় শাস্ত্র বলে, মানুষ দুঃখ থেকে মুক্তি […]