ছড়াছড়ি থেকে এলোমেলো (প্রথম কিস্তি)

‘ছড়াছড়ি’ বাঁধানোর সময় খেয়াল রাখা হয়েছিল, যাতে ছোটরা ওটার যে কোনও পাতা পুরোপুরি খুলে, দু’পাশের দুটো পাতার ওপর দু’হাত রেখে বইটা পড়তে পারে। এই আশ্চর্য বই তৈরির নেপথ্য কাহিনি শোনালেন পিয়ালী বন্দ্যোপাধ্যায়।

চলি বলি রংতুলি: কুমায়ুন পর্ব

Kumaon Himalaya

এবার স্কেচের খাতা আর রং তুলি নিয়ে দেবাশীষ দেব পাড়ি জমালেন কুমায়ুন হিমালয়ের পথে পথে। ফার্স্ট স্টপ বিনসর। তারপর মুন্সিয়ারির আলিতে গলিতে।

চলিবলি রং তুলি: পচাপানি গ্রাম আর ভুঁইফোড় কবিরাজ

Bhalopahar

আদিবাসী এলাকার হাটে দিশি মদের ঠেক অবশ্যই একটা বড়ো আকর্ষণ, ঢাউস সমস্ত মাটির কলসি আর জেরিক্যান ভর্তি হাড়িয়া নিয়ে সার দিয়ে বসেছে মেয়েরা। ঠিক যেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবির দৃশ্য। দেখে এলেন দেবাশীষ দেব। …

চলি বলি রংতুলি: ভালো পাহাড়, মাঘের বৃষ্টি আর বান্দোয়ানি গামছা!

Galudi

সাদা দাড়িগোঁফ আর খাটো ধুতির ওপর সোয়েটার পরা কমলদা ‘জয় বাবা বৃক্ষনাথ’ বলে একটা বড়সড় হাঁক ছেড়ে আমাদের ওয়েলকাম  জানালেন। হাতে চামড়ার বেল্টে বাঁধা কালো কুচকুচে ল্যাব্রাডর। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ভালোই। খোলামেলা পরিবেশ। রান্নাঘরটিও অবাধ। ফুলের কেয়ারি করা বাগানের মাঝখানে খড়ের ছাউনি।…

ক্যালিগ্রাফির দু’চার কথা (প্রবন্ধ)

Satyajit Ray Calligraphy

অক্ষরের যে নিজস্ব শরীর, সে তো রেখারই আরেক রূপ। এবং সেই শরীরচর্চার বিবিধ উপাদান, তার পরিমিতি ও গণিত, সর্বোপরি তার অপরিসীম নান্দনিকতা নিয়ে স্বতন্ত্র এক পথে পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছে মানুষের আদিকাল থেকেই ছিল। এই প্রবণতা থেকেই অক্ষরশিল্প বা ক্যালিগ্রাফির উত্থান।

চলি বলি রংতুলি: হায় গুরুদোংমার লেক

Lachen

স্কেচের খাতাটি বগলদাবা করে বেরিয়ে পড়া পাহাড়ি পথে। ঘুরে ঘুরে জীবন দেখা আর তাকেই ফুটিয়ে তোলা রং তুলিতে। দেবাশীষ দেবের কলামে এবার সিকিম ঘুরে ফেরার পালা।

চলি বলি রংতুলি: ভোর রাতে তুষারপাত

Sikkim

কয়েক সেকেন্ড লাগল ব্যাপারটা বুঝতে… রাতে বরফ পড়েছে। ঠিক করলাম এখনই বেরোতে হবে। হুড়মুড়িয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। আকাশ নীল। ধীরে ধীরে রোদ উঠছে। বরফ গলতে আর কতক্ষণ!…

চলিবলি রং তুলি: লাচেনে ইয়াক জবাই

Lachen sketch by Debasis Deb

এখানে এসে পর্যন্ত খাতা খোলা হয়নি। চটপট একপাশে বসে পড়লাম গুম্ফা আঁকব বলে। লাচেনপা তো থ। বলল, ‘দেন ইয়ু আর অ্যান আর্টিস্ট! তোমাকে আমাদের পিপন-এর কাছে নিয়ে যাব, হি লাভস আর্ট।’ আগেই শুনেছিলাম এ সব অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে একটা শাসনব্যবস্থা চালু আছে। লোকেরা ইচ্ছেমতো একজনকে বছর চারেকের জন্য তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নেয়। এই মেয়রকেই বলা হয় পিপন। তাঁর আদেশই সবাই মেনে চলে। ঠিক হল আজ বিকেলেই যাব পিপন-দর্শনে। লাচেনপা-র দেখলাম এবার একটু ইতস্ততঃ ভাব। বলল, “ওখানে সবার সামনে আমাকে কিন্তু ‘রিংঝিং’ বলে ডেকো, ওটাই আমার নাম।”