চা বাগিচার কড়চা: শেষ পর্ব- স্বপ্নের বাস্তব, বাস্তবের স্বপ্ন

Memoirs of Tea Garden

আমি যতদিন চা-বাগানে কাটিয়েছি সেটা ছিল যেন একটা স্বপ্ন-সময়। আমার মনে হয় এ স্বপ্ন-সময়ের কথা শুধু আমার কথা নয়, আমাদের সে সময়ের সমস্ত বন্ধুদের মনের কথা। অপূর্ব দাশগুপ্তের কলামের আজ শেষ পর্ব।

উত্তুরে: বিস্মৃত কাঁঠালগুড়ি, বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ

উত্তরবঙ্গ নিয়ে কোনও আলোচনাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না নকশালবাড়িকে বাদ দিয়ে। কিন্তু নকশালবাড়ি আন্দোলন কি শুধুই নকশালবাড়ি কেন্দ্রিক? ডুয়ার্সের বুকে শ্রমিকদের যে স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছিল নকশালবাড়ি আন্দোলনের হিংস্রতার বিপ্রতীপে, ইতিহাস তাকে ভুলে গেছে।

উত্তুরে: জাকোই-বুরুং ও খলিসামারি, কুর্শামারির মাছকথা (পর্ব ২)

উত্তরবঙ্গে মাছের এত বাহার কে জানত! আদিবাসী সমাজের রোজকার খাদ্যতালিকা থেকে শুরু করে উৎসবে অনুষ্ঠানে পরবে গানে মাছ না হলে চলবেই না। সেই অজানা কথা গৌতম সরকারের কলমে।….

উত্তুরে: দারকিনা, ঝিলার ইতিবৃত্ত ও উত্তরের নদীকথা (পর্ব ১)

চায়ের সঙ্গে তো বটেই, হুইস্কি, বিয়ারের সঙ্গেও দারকিনা ভাজার মৌতাত জমে যাবে নিঃসন্দেহে। সেই খালবিলের মাছ এখন দুষ্প্রাপ্য। দুর্মূল্যও বটে। নালার মাছ চ্যাং, সেটাও এখন ৫০০ টাকা কেজির নিচে পাওয়া যায় না। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, তরাইয়ে নেপাল ঘেঁষা এলাকায় বেড়াতে গেলে চ্যাং কিংবা দারকিনা খেয়ে আসতে পারেন।

উত্তুরে: বড়দেবীর আগ্রাসী আরাধনা, ভান্ডানীর শান্ত উপাসনা

Coochbehar

উত্তরবঙ্গের দুর্গাপুজো যে বাংলার আর পাঁচটা এলাকার থেকে একেবারে স্বতন্ত্র, সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই ধারণা অস্পষ্ট। বিশেষত কোচবিহারের বড়দেবী এবং ভান্ডানী দেবীর পুজো বাংলার সাধারণ দুর্গাপুজোর আচারবিচাপ মেনে সে পথে চলে না। এই অভিনব পুজোয় আমন্ত্রণ জানালেন গৌতম সরকার।…

উত্তুরে: এলিফ্যান্টাইন মেমোরি, সাধু সাবধান!

Elephant

ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে হাতি দেখতে না-পেলে মন খারাপ হয়ে যায় আমাদের। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছি আমাদের এই হাতি দেখার ব্যবস্থা করতে গিয়ে হাতিদের স্বাভাবিক জীবনেই কতখানি কোপ ফেলেছি আমরা? কেরলের হাতিমৃত্যুতে ফেসবুকে ঝড় তোলার আগে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে কিনা, সে প্রশ্নই তুলেছেন গৌতম সরকার।

উত্তুরে: প্রকৃতির লকডাউন

suvranil

বাইরের পৃথিবীর এখানে প্রবেশাধিকার নেই। ছিপড়াই হোক কিংবা শিলটং, টিয়ামারি অথবা পাম্পু, গদাধর, কালকূট – বনবস্তির জীবনটাই বিচ্ছিন্ন। লকডাউনের প্রাকৃতিক মডেল।…

উত্তুরে: সংঘাত এড়ায় হাতি, ক্ষিপ্ত করে মানুষ

Illustration by Upal Sengupta

দেশভাগের কারণে পরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু স্রোত আছড়ে পড়েছিল এখানে। স্রোত না হলেও সেই আসার বিরাম নেই এখনও। আবার নেপাল থেকেও বহু লোক আসেন। এখানেই থেকে যান। আদিম অধিবাসী বোরো-রাভা-টোটোরা তো আছেনই। এত লোককে জায়গা দিতে গেলে যে কারও জমিজিরেত চলে যায়। হাতিরও গেছে। জমিজিরেত গেলে আপনার, আমারও মাথাগরম হয়। হাতির দোষ কী? কারও হাত-পা ছড়িয়ে থাকার পরিসর কেড়ে নিলে সে তো ক্রুদ্ধ হবেই! তবে মহাকালবাবা কিন্তু শুধু ক্রুদ্ধ হন না, মানুষকে আগলেও রাখেন!