প্যানডেমিক ডায়রি: পর্ব ৯

ডাবল মাস্ক আর সানগ্লাস পরে বাজারে যাও। তালপাতার পাখায় বটপাতা, অশথপাতা, খেজুর, করমচা আর একটা গোটা ফল, ধরো আম একটা, চাইই চাই। … জামাইষষ্ঠীর নাটিকা দোলনচাঁপা দাশগুপ্তের কলমে।
করোনা অতিমারি এবং আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা– আর একবার ভেবে দেখা

১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি। আমরা যদি সেই ঘোষণাকে মেনে চলতাম, তাহলে করোনা আক্রমণের সময়ের একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা ‘টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন’-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল।
প্রতিষেধক এবং ইমিউনিটি নিয়ে কিছু কথা (স্বাস্থ্য)

আমাদের ইমিউন সিস্টেম একটি জটিল নেটওয়ার্ক যার মধ্যে শরিরের শ্বেত কণিকার বিভিন্ন কোশ আছে, আছে রক্তে সংবাহিত প্রোটিন এবং তার বিভিন্ন রূপ যেমন অ্যান্টিবডি, কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম, ইন্টারলিউকিন-১। আছে বিভিন্ন ধরনের ন্যাচারাল কিলার সেল।
ইয়োর অ্যাটেনশন প্লিজ! (রম্যরচনা)

স্টেইনলেস স্টিলের স্পুন আর ফর্ক দিয়ে সেরামিকের প্লেটে ঠুংঠাং হাল্কা ঠুংঠাং আওয়াজ করার মধ্যে একটা দৈব আনন্দ আছে, এটা আমরা বুঝি। তবে করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে এমন আওয়াজ এখন করবেন না।…
অতিমারী ও প্রকৃতি-বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু (প্রবন্ধ)

এই অতিমারী প্রকৃতি এবং পরিবেশের জন্য ভালো না খারাপ, সেটা ভাইরাসের উপরে নিশ্চিত ভাবে নির্ভর করবে না, নির্ভর করবে মানুষের উপরে।… এই যুদ্ধ দুর্যোগ নয়, প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য আজ মানুষের কাছে এক বিরাট সুযোগ।…
আয়রন ম্যান ও ভয়াল ভাইরাস

হঠাৎ করে চায়ের দোকানে আয়রন ম্যানকে দেখে সবাই চমকে চোদ্দো! ট্যাঁপা তো চায়ের ভাঁড় উল্টে ফেলে নিজের বারমুডাটাই ভিজিয়ে ফেলল! দত্তবাড়ির বুড়োদাদু আস্তে করে আয়রন ম্যানকে জিজ্ঞেস করলেন, “ও বাবা টোনি, এই অসময়ে তুই আবার কশটিউম পরে চায়ের দোকানে উড়ে এলি কেন? কিচু হইয়েচে নাকি?” আয়রন ম্যান রেগে মেগে বলল, “বলি আক্কেলবুদ্ধি কি সব আলমারিতে তালা দিয়ে রেখে বেরিয়েছ? সবাইকে বার বার টিভিতে-রেডিয়োতে-কাগজে-ফেসবুকে বারণ করা হচ্ছে অকারণে ঘর থেকে বেরতে!
খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে…

ব্যাপারটা কী রকম বলুন তো? ধরুন, আপনার মাথায় উকুন আছে। তারা খায় দায় বাঁশি বাজায়। মাঝে মাঝে অল্পস্বল্প উপদ্রব করে। আপনি মাথা চুলকোন, শ্যাম্পু দেন, দু’পাশে দাঁড়াওলা চিরুনি চালিয়ে দু’চারটে বের করে টিপে মারেন। ওরা মরে, কিন্তু বিশেষ চৈতন্য হয় না। এবার বংশবৃদ্ধি করতে করতে এদের উপদ্রব এমন জায়গায় গেল, যে আপনি বিরক্ত হয়ে একদিন পাড়ার নাপিতকে বললেন মাথাটা কামিয়ে জঞ্জাল সাফাই করে দিতে। ফলে উকুনেরা সমূলে উৎখাত হল। মাসখানেক বাদে আপনি যখন ফের টেরি বাগাবেন, উকুনেরা তদ্দিনে ইতিহাস।
ওয়র্ক ফ্রম হোম

সাধারণ দিন হলে এই সময়টায় দাপিয়ে বেড়াই। তোয়ালে ও অন্তর্বাস আমার সঙ্গে লুকোচুরি খেলে। আমি চার্চিলের মতো চিৎকার করে বাথরুমে প্রবেশ করি এবং পরিবার লজ্জা নিবারণের ব্যবস্থা না করলে ওই অবস্থাতেই বেরিয়ে আসার হুমকি দিই। কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতি। ওয়র্ক ফ্রম হোম, মানে ডব্লিউ-এফ-এইচ। নিয়ম মেনে আগে কুড়ি সেকেন্ড সাবান জলে হাত কচলাই। তারপর হালকা করে ওঁকে বলি, ব্রেকফাস্ট-এ পাঁউরুটি হলেই চলবে, বাড়িতেই তো আছি। টুকটাক খেতেই থাকব। আজ চান নয়, দাড়ি কামানো নয়। পুরো বেনিয়ম। কিন্তু বিধির বিধান হল করপোরেট পদে পদে পরীক্ষায় ফেলবে তার বিশ্বস্ত কর্মচারিকে।