প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১০

রাশিয়ানদের সঙ্গে ভাষার সমস্যার জন্য কথা বলা যেত না, তবে যেতে আসতে হাসি বিনিময় হত। একজন রীতিমতো সুদর্শন ছিলেন। মহিলারা তাঁর নাম দিয়েছিল জন কেনেডি। রাশিয়ান বৌগুলো মাঝে মাঝে বেলাভূমিতে রোদ পোহাতো। সেই প্রথম সিনেমার পর্দার বাইরে বিকিনি পরিহিতা মহিলা দেখা আমাদের। ফুটফুটে বাচ্চাগুলো ফ্ল্যাটের আশপাশে মনের আনন্দে কাদা মাখত। বুঝলাম শ্বেতাঙ্গরা বাচ্চাদের অনেক বেশী স্বাধীনতা দেয় মাটির সঙ্গে সখ্যতা করার।
… লিবিয়া বাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলেন সিদ্ধার্থ দে
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ১১

মূলধারার সাহিত্য আগে বেস্টসেলার দিত। কিছু কিছু বই বহুকাল মুখে মুখে ফিরত আমাদের মা কাকিমাদের। বুদ্ধদেব গুহ থেকে নারায়ণ সান্যাল, আশাপূর্ণা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়— সকলেই আম-পাঠককে টেনে রাখতে পারতেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে মূলধারাও তা পারছে না। শেষ কোন বই দুপুরবেলা আমাদের মায়েরা পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছেন, তা খোঁজ করলে দেখা যাবে প্রায় সবকটাই ওই সুনীল, বুদ্ধদেব বা রমাপদ চৌধুরীর লেখা। তাঁদের অর্জন পরবর্তী লেখকদের অনায়ত্ত থেকেছে।
ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ১৭

‘রেডগার্ড’ বলার মধ্যে একটা ঘৃণা আছে৷ কমিউনিস্টদের ঘৃণা করেন৷ রাজনীতির লোকেরা এরকম করে থাকে৷ তবু, লোকটা তেমন মন্দ নয়৷ মাগনায় বিজয়া সম্মিলনে হেমন্ত, শ্যামল, সন্ধ্যা, মানবেন্দ্র, তরুণ, উৎপলা, ইলা বসু, সতীনাথের পুজোর নতুন গান, সিনেমার গান শোনার সুযোগ আর কে করে দেয় ভাই, এই গরিব তল্লাটে?
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৯

চুনী গোস্বামী এক বিরল প্রতিভা। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সত্তরের দশকে বাংলার ক্রিকেট অধিনায়ক রূপে সেই সময়ের অপরাজেয় বোম্বাই দলকে ঘরের মাঠে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন। রীতিমতো ভালো টেনিস খেলতেন।
খ্রিস্ট খ্রিস্ট হরে হরে

চারদিকে সারি সারি দোকান, কী নেই তাতে! বেলজিয়াম গ্লাসের আসবাব, জাপানি বনসাই, ইটালিয়ান লেদারের ব্যাগ, ফ্রেঞ্চ পারফিউম, আফ্রিকার কাঠের পুতুল ও আরও অনেক টুকিটাকি জিনিস দেখে চোখে তাক লেগে গেল। দুনিয়ার প্রায় সব কোণ থেকে কিছু না কিছু আছে। একটা স্টলে ঢুকে ভিয়েতনামি সিল্কের একটা স্কার্ফ দেখে লোভ হল।
…লিখলেন প্রান্তিক বিশ্বাস
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ৭

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলির আর্থসামাজিক অবস্থা, ভূগোল বা ইতিহাস বিষয়ে বিশেষ ধারণা ছিল না সে সময়ে। শুধু জানতাম দুরন্ত ক্রিকেট খেলে। গ্যারি সোবার্স, অ্যান্ডি রবার্টস প্রমুখ কিংবদন্তিদের খেলা চাক্ষুষ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ইডেন উদ্যানে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বলতে বুঝতাম রোহন কানহাই আর আলভিন কালীচরণ। পরবর্তীকালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী বিদ্যাধর নাইপলের নামও শুনিনি তখনও।
সিদ্ধার্থ দে-র স্মৃতিযাপন। পর্ব ৭।
প্রিয়বন্ধুর অনুরোধে লিখলেন ‘কর্ণকুন্তীসংবাদ’

প্রবাসে নির্বান্ধব শুষ্ক ও অবসন্ন জীবনের মধ্যে যখন নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ব যখন জগদীশচন্দ্রকে গ্রাস করত, তখন আলো বলতে রবি’র আলোই তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। তার মধ্যে দিয়েই আশার আলোর সন্ধান পেতেন। সেই বন্ধুত্ব নিয়ে লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।
দূরের জলছবি: পর্ব ১

রায়পুর স্টেশনে রঘুপতি রাই নামে বাবার অফিসের এক পিওন আমাদের দুই বোনকে নামিয়ে দেবে। তারপর রঘুপতির নেতৃত্বে রামধুন গাইতে গাইতে দূরপাল্লার বাসে চড়ে দণ্ডকারণ্যের জগদলপুর।