উত্তুরে: এলিফ্যান্টাইন মেমোরি, সাধু সাবধান!

Elephant

ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে হাতি দেখতে না-পেলে মন খারাপ হয়ে যায় আমাদের। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছি আমাদের এই হাতি দেখার ব্যবস্থা করতে গিয়ে হাতিদের স্বাভাবিক জীবনেই কতখানি কোপ ফেলেছি আমরা? কেরলের হাতিমৃত্যুতে ফেসবুকে ঝড় তোলার আগে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে কিনা, সে প্রশ্নই তুলেছেন গৌতম সরকার।

চার আনার রবি শাস্ত্রী

Old shops

আজ থেকে শুরু হল কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!

উত্তুরে: প্রকৃতির লকডাউন

suvranil

বাইরের পৃথিবীর এখানে প্রবেশাধিকার নেই। ছিপড়াই হোক কিংবা শিলটং, টিয়ামারি অথবা পাম্পু, গদাধর, কালকূট – বনবস্তির জীবনটাই বিচ্ছিন্ন। লকডাউনের প্রাকৃতিক মডেল।…

আইঢাই: ‘হাড় ভাঙা বিশ্রাম’

Illustration by Mandar Mukherjee

দিনে বারো ঘণ্টা খেটে যার রোজগার খুব বেশি হলে মাসে তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশ, সে কী করে চালাবে? তার তো সবেতন ছুটি নয় এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এও তো ওর চলবে না। আমারই যেন মাথায় হাত।…

একদা তুমি প্রিয়ে : দম্পতি দর্পণ

সম্পর্কের মানেই তো এই যে অন্যজনের দুঃখকষ্ট সব ভাগ করে নেওয়া। ঘর পরিস্কার, বাসন মাজা, নোংরা ফেলা, জামাকাপড় ধোওয়া, রান্না করা, এসব কাজের কোনও লিঙ্গ নেই। এককালে মেয়েরাই শুধু এগুলি করেছে বলে চিরকালই সর্বত্র তাই চলবে, এ অতি নির্বোধ যুক্তি।

কবিতার সঙ্গে বসবাস

Column illustration by chiranjit samanta

অজানা। এই একটি শব্দ পর্যন্ত শুধু আমি পৌঁছতে পারি। আমার কাছে কোনও কবিতা হঠাৎ আরম্ভ হয়। কয়েকটি লাইন পরপর মাথায় চলে এল। কখনও বা মাত্র একটাই লাইন তিন দিন চার দিন ধরে মানের মধ্যে ঘুরে চলেছে। পরে লাইন আর আসছে না। অকস্মাৎ পরে দু’টি তিনটি লাইন চলে এল। অবাক হয়ে দেখলাম চার লাইনের একটি স্তবক তৈরি হয়ে গেছে! তখনও কিন্তু খাতা কলম নিইনি। এই যে চার লাইনের একটি স্তবক মনের মধ্যে তৈরি হয়ে উঠল, তা কী উপায়ে হল? সত্যি আমি জানি না।

উত্তুরে: সংঘাত এড়ায় হাতি, ক্ষিপ্ত করে মানুষ

Illustration by Upal Sengupta

দেশভাগের কারণে পরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু স্রোত আছড়ে পড়েছিল এখানে। স্রোত না হলেও সেই আসার বিরাম নেই এখনও। আবার নেপাল থেকেও বহু লোক আসেন। এখানেই থেকে যান। আদিম অধিবাসী বোরো-রাভা-টোটোরা তো আছেনই। এত লোককে জায়গা দিতে গেলে যে কারও জমিজিরেত চলে যায়। হাতিরও গেছে। জমিজিরেত গেলে আপনার, আমারও মাথাগরম হয়। হাতির দোষ কী? কারও হাত-পা ছড়িয়ে থাকার পরিসর কেড়ে নিলে সে তো ক্রুদ্ধ হবেই! তবে মহাকালবাবা কিন্তু শুধু ক্রুদ্ধ হন না, মানুষকে আগলেও রাখেন!

দিনের পরে দিন: আমার দ্যাশের বাড়ি

A hamlet in erstwhile East Bengal Illustration পূর্ববঙ্গের ছোট গ্রাম

আমার কোনও দেশের বাড়ি নেই। আমার অস্তিত্ব জুড়ে যে ‘দ্যাশের বাড়ি’র ছবি, সেটা বলতে গেলে সম্পূর্ণভাবে আমার কল্পনাপ্রসূত। সেই ছোটবেলা থেকে শোনা আমার বাবা, মা, দাদু ঠাকুমার স্মৃতিচারণে, আমার কল্পনায় গড়া আমার ‘দ্যাশের বাড়ি’। আমার সেই ‘দ্যাশের বাড়ি’ আক্ষরিক অর্থে একদিন ছিল, এখন নেই। সেই যে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের ভূগোল নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা খেলা […]