আমি, অনির্বাণ আর দালির ঘড়ি

মাঝপথে এসে ডিম শেষ, পেঁয়াজ শসা শেষ, চাউমিনও প্রায় ঠান্ডা। তখন সাহস করে আমাদেরই কাউকে বলতে হত, ‘কাকু, আর একটু সস হবে?’ নেহাত কমবয়সী ছেলে, তাই হয়তো কিছু বলতে পারতেন না। যেদিন যেটা হাতের কাছে পেতেন, ঢেলে দিতেন আমাদের প্লেটে।…
দিনের পরে দিন: ছাদের স্মৃতি

করোনা ভাইরাস এসে নতুন করে ছাদকে করে তুলেছে বঙ্গজীবনের অঙ্গ! বিকেল হলেই চার দেওয়ালের কংক্রিটে আটকা পড়া শহরবাসী মানুষ ছাতমুখো হচ্ছেন। একটু আকাশ, একটু সবুজ, একটু মানুষের মুখ দেখতে ছাদই এখন বাঙালির অক্সিজেন সিলিন্ডার! ….
চার আনার রবি শাস্ত্রী

আজ থেকে শুরু হল কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!
ও শরবতে ভিষ নাই!

তবে হ্যাঁ, শরবতকে জাতে তুলে দিয়েছিলেন মগনলাল মেঘরাজ আর জটায়ু। অমন ঘনঘটাময় শরবতের সিন না থাকলে ফেলুদা খানিক ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত। শরবতও যে একটা দুর্দান্ত চরিত্র হয়ে উঠেছে এই সিনটিতে, তা বোধগম্য হয় একটু বড় বয়সে। শরবতের প্রতি লালমোহন বাবুর অবিশ্বাস, তাঁর ভয়, তাঁর আতঙ্ক আমাদেরও শঙ্কিত করে তোলে নির্দিষ্ট গ্লাসের শরবতের প্রতি।…
ইন্তিবিন্তি: গন্ধবিলাস গন্ধবিষাদ

ঘুমের ঘোরে বেশ টের পাচ্ছি মা ফাটা গালে চেপে চেপে ক্রিম মাখাচ্ছে। চারমিস ক্রিম। এখনও চোখ বন্ধ করে আমি চারমিস চিনে নিতে পারি। আর পারি তুহিনা। কেন? কারণ এটা শীত কালের মা। গরম কালের মায়ের সঙ্গে শীতের কালে তুহিনা মিশে শীত কালের মায়ের গন্ধটা একটু পাল্টে যেত। আসলে গন্ধ আমার কাছে শুধু সুবাস বা দুর্গন্ধের […]