চ্যাটজিপিটি – মিডজার্নি ও আমাদের বদলাতে থাকা ‘সংজ্ঞারা’

ChatGPT mid journey and human creativity

বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ও কৃত্ৰিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গামা গামা থিওরি আর আর্গুমেন্টে ব্যস্ত, এই সময়ে সার্ল একটা থট এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে হাজির, যার মূল দাবি হল কম্পিউটার যতই বুদ্ধিমানের মতো যে কোনও বিষয়ে টকা-টক উত্তর দিক না কেন, আসলে সে ঐ বিষয়ে কিছুই ‘বোঝে না’। কম্পিউটারের তথাকথিত বুদ্ধিমত্তা অনেকটা চাইনিজ ভাষা আদৌ না বুঝে কিছু চিহ্ন ও নিয়মের দ্বারা কোনও চাইনিজ বাক্যের উত্তর কী হবে, এইটা জেনে মুখস্থ উগরে দেওয়ার মতো।

চ্যাটজিপিটি কি বদলে দেবে শিল্পের ভবিষ্যৎ? লিখলেন একক

চ্যাট জিপিটি ও ছেঁড়া ডায়েরি

AI history and ChatGPT

একে একে বাজারে এল ঝাঁট দেওয়া রোবট রুম্বা, ‘অ্যাপেল’-এর সিরি, আইবিএম-এর ওয়াটসন আর ‘অ্যামাজন’-এর অ্যালেক্সা। ২০১৬ সালে হংকং-এ তৈরি হওয়া রোবট সোফিয়া তো মানুষের সামাজিক ব্যবহার পর্যন্ত নকল করতে শুরু করল। বিভিন্ন পত্রিকায় সোফিয়ার ইন্টারভিউ প্রকাশ পেল। মানুষ সোফিয়ার প্রেমেও পড়তে শুরু করল। ২০১৭ সালে সোফিয়াকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পর্যন্ত দেওয়া হল। সোফিয়ার নিজের আঁকা নিজের ছবি ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ ডলারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তার ইতিহাস, সম্ভাবনা ও অশনি সংকেত— লিখলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়

চ্যাটজিপিটির চ্যাটাচ্যাটি 

Chatgpt and Bengali literature

দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কারণ, চ্যাটজিপিটিকে এখনও বাংলা ভাষায় বাক্য-গঠনই শেখানো যায়নি। বাংলা শব্দভাণ্ডারের সন্ধান তাকে দেওয়া গেলেও, তার ব্যবহার বিষয়ে সে এখনও অন্ধকারেই। আবার, সম্পূর্ণ অন্ধকারে, একথাও বলা যাবে না। দ্বিতীয় লেখাটিতে, ‘আসা’ এবং ‘আশা’, একই লেখার দুটো বাক্যে এভাবে ভিন্ন অর্থের সমোচ্চারিত দুটো শব্দের অর্থ-অনুযায়ী প্রয়োগও কি লক্ষ করা বাহুল্য হবে? এমনকি, যতিচিহ্নের ব্যবহারও প্রায় যথাযথ, যা বাংলা কবিতা লিখিয়ে এখনকার অনেক তরুণের কাছে অধরাই। তবে, এটুকু নিয়ে বাংলা ভাষায় সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে সে পা রাখবে, এ চিন্তা আকাশকুসুম কল্পনামাত্রই। কল্পনা বলা মাত্রই মনে পড়ল, যেকোনও সৃষ্টিশীল কাজে সামান্যতম কল্পনার যে অসীম ব্যপ্তি ও সম্ভাবনা প্রয়োগের কৌশল কোনও সৃষ্টিশীল ব্যক্তির সহজাত, তা তো আর যন্ত্রের মগজে ঠেসে ঢোকানো সম্ভব নয়, তাই না!

বাংলাসাহিত্যের সৃষ্টিশীলতা বনাম চ্যাটজিপিটি — লিখলেন পলাশ বর্মন।

চ্যাট-জিপিটি, কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা ও শিল্প-সৃষ্টি

chat GPT can replace Human Art

একথা ঠিক যে, চ্যাট-জিপিটির সৃষ্টিকর্ম মানব জীবনের জটিলতাকে এখনও স্পর্শ করতে পারেনি; কিন্তু এও মানতে হবে যে আমাদের জটিল ভাবাবেগ আমাদের জীবনের যাবতীয় অভিজ্ঞতারই সংমিশ্রণ— আর সেই ভাবাবেগকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা সাহিত্যের মাধ্যমে এতদিন সম্ভব হয়ে থাকে, সেই সাহিত্যের ভাষাকে ‘ডিকোড’ করা কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার কাছে খুব একটা কঠিন কাজ নয়।

শিল্প সাহিত্যের মৌলিকতাকে কি চ্যালেঞ্জ করে বসেছে চ্যাট-জিপিটি? উত্তর খুঁজলেন শান্তনু ভদ্র…

একটা নতুন ফেলুদা হয়ে যাক

Can open AI write an epic

এক বন্ধুকে বলতে শুনেছিলাম, “আমার ইচ্ছেমতো বিষয়ে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে আনকোরা নতুন পদ্য কে লিখে দেবে আমায়? কোন কবির এমন সাধ্য আছে? পছন্দ না হলে চোখের পাতা পড়তে না পড়তেই ফের আরেকটা। ছোট কবিতা চাইলে ছোট, দীর্ঘ চাইলে দীর্ঘ। কে দেবে, কে?” প্রসঙ্গত, শুধু কবিতা নয়, গল্প, নিবন্ধও অবলীলায় লিখে দিচ্ছে এই যান্ত্রিক সাহিত্যিক। উপন্যাস লিখতে পারে কি না, সেটা নিজের হাতে জানার চেষ্টা করিনি। সত্যি কথা বলতে কী, ভয় করছিল।

ইন্টারনেট-বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি, সত্যিই কি বিপ্লব নিয়ে আসছে সে? উল্লাসের আড়ালে ভয়ের কারণ নেই তো? উত্তর খুঁজলেন অম্লানকুসুম চক্রবর্তী…

যদি প্রেম দিলে না প্রাণে

new chatbot chaiGPT and mankind

এই বছর প্রায় ৪০% মার্কিন পুরুষ তাঁদের প্রেমাস্পদের জন্য ভ্যালেনটাইন নোট এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দিয়ে লিখিয়েছেন। এর ফলাফল কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো! সেই সমস্ত পুরুষের প্রেমিকারা এইরকম প্রেমপত্র পেয়ে রীতিমতো খুশি! প্রাপকদের সিংহভাগ বুঝতেই পারেননি এই নোট কোনও যন্ত্র লিখেছে…অর্থাৎ ঝোল রান্না থেকে ঝিনচ্যাক ড্যান্স, সবেরই ত্রাণকর্তা চ্যাট-জিপিটি।

বর্তমান সমাজে নতুন চ্যাটরব চ্যাট-জিপিটি’র প্রভাব নিয়ে কলম ধরেছেন অনুভা নাথ…