‘পথের দাবী’ ও রবীন্দ্র-শরৎ পত্রালাপ

Rabindranath Tagore and Saratchandra Chattopadhyay

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যখন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধাচরণ করে ‘পথের দাবী’ উপন্য়াস লিখলেন এবং তা বিপুল জনপ্রিয়তা পেল, তখন ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করল। হতাশ, দুঃখিত শরৎবাবু প্রতিবাদের আশায় চিঠি লিখলেন রবীন্দ্রনাথকে। কিন্তু আশাপূরণ হল না। কেন? খোঁজ নিলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৫)

illustration by Chiranjit Samanta

পরমুহূর্তেই “হা রে রে রে রে” ভয়ঙ্কর বজ্রহুঙ্কারে কেঁপে উঠলো নীলের জঙ্গল। পালকির ভিতরে ভূপতি রায়ের মনে হল গোটা জঙ্গলটাই যেন ভেঙে পড়ছে মাথার ওপর। কুলকুলি শোনামাত্র গাছ থেকে লাফিয়ে মাটিতে নেমে পড়েছে দলের ছেলেরা। ভোজপুরি সেপাইরা তো আগেই ফৌত হয়ে গেছিল। বাকি চল্লিশজনের লেঠেল ফৌজ খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলবলের সামনে।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৪)

illustration by Chiranjit Samanta

“জয় মা কালী।” রক্তচোখে স্যাঙ্গাতদের দিকে তাকিয়ে ফের একবার হুঙ্কার ছাড়লো বিশ্বনাথ। “ফেরাসনে মা হাতখালি/একশো পাঁঠা দেবো বলি।” প্রত্যুত্তরে সমবেত গলায় বজ্রগর্জন উঠলো রাতের নিস্তব্ধতা চিরে। এক এক করে সামনে এগিয়ে আসতে লাগলো দলের লোকেরা। বাটিতে তর্জনী চুবিয়ে সবার কপালে রক্ততিলক এঁকে দিলো বিশ্বনাথ।

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়বার জন্য ছেড়ে ছিলেন সুখের ঘর-সংসার, স্বামী। মনে রাখেনি ইতিহাস!

অরুণা আসফ আলি, লক্ষ্মী সেহগাল, সুচেতা কৃপালিনী, তারারানি শ্রীবাস্তব, কনকলতা বড়ুয়া সহ আরও অসংখ্য মহিলা স্বাধীনতাসংগ্রামীদের কথা আমরা মনে রাখিনি। কিন্তু সত্যি সত্যি এঁরা ছাড়া কি সম্ভব ছিল দেশের স্বাধীনতা? তাঁরাও একই ভাবে পুরুষের পাশাপাশি ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, মিছিলে হেঁটেছেন, নারকীয় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, কারাবরণ করেছেন, জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য, […]