‘নিঃশঙ্ক: শংকর ঘোষ শতবার্ষিকী সংকলন’— একটি আলোচনা

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘটনাবলী, চিনের বিশ্বাসঘাতকতা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, দুই বিশ্বশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকা ও তাদের সামরিক জোট এবং বান্দুং সম্মেলনে জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের শুরু ও শেষ এবং আরও অনেককিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন শংকর ঘোষ। সবটাই এত নির্মোহভাবে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, কোথাও সাংবাদিক শংকর ঘোষকে ছাপিয়ে ব্যক্তি শংকর ঘোষ উঁকি দেননি। মনে হয়নি উনি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, কিংবা কারও পক্ষ নিয়ে কিছু বলছেন। সাবলীল ঝরঝরে কেজো ভাষা, পড়লে সংশ্লিষ্ট মানুষ ও ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
সাংবাদিক শংকর ঘোষের শতবার্ষিকী সংকলন ‘নিঃশঙ্ক’ নিয়ে লিখলেন দীপংকর চক্রবর্তী…
বই-বিশ্ব : নেপথ্য কথা

যিনি লিখেছেন অর্থাৎ যিনি লেখক তার অধিকার বা লেখকের স্বত্ব সর্বদা সুরক্ষিত থাকে—যাকে বলে কপিরাইট (Copyright)। অনেক সময় অসাধু প্রকাশক লেখকের কাছ থেকে চুক্তিপত্রে কপিরাইট নিয়ে নেন, লেখকরা কপিরাইট ও পাব্লিশিং রাইট বোঝেন না, ফলে পরবর্তীকালে, লেখক- প্রকাশকের সম্পর্ক মধুর থাকে না। লেখকের কাছে তাঁর লেখা বই স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো এবং প্রিয়, প্রকাশকের কাছে তা ব্যবসার বস্তু মাত্র। যতদিন সেই জিনিস থেকে টাকা বা লাভ আসবে ততদিন তার কদর করবেন প্রকাশক, যে মুহূর্তে সেই বই-এর আর কোনও বাজারমূল্য নেই, সেই মুহূর্ত থেকে প্রকাশক সেই বইকে নিয়ে আর কোনও আগ্রহ দেখাবেন না। এতে লেখককুল দুঃখ পান বটে, কিন্তু এতে কিছু করার নেই।
ছাপা বই ও এক অর্বাচীন পাঠকের ভাবনা

জয় গোস্বামী প্রণীত কৃষ্ণেন্দু চাকী চিত্রিত ‘হরিণের জন্য একক’ যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন এই বইটির সামগ্রিক সজ্জাই নির্মাণ করা হয়েছিল সুচিন্তিতভাবে। আপাত দৃষ্টিতে অশিক্ষিত-অর্বাচীনের চোখে প্রায় অ্যালবামের মতো একটি বই তার প্রচ্ছদ থেকে বাই-কালারের মুদ্রণ— সমস্তকিছুর মধ্যেই পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। হরফের মাপ ছোট-বড় হয়েছে, আকার বদলেছে কবির বক্তব্য অনুযায়ী।
বই ছাপার আগে পরে কী ভাবেন লেখক? নতুন বই কেনার আগে পাঠকের চোখই বা কী খোঁজে? বইয়ের মুদ্রণের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবনা উশকে দিলেন রাজদীপ রায়
পাতা না পর্দা, তুমি কোন দল?

হিসাব বলছে, সারা দুনিয়ায় গড়ে প্রতি বছর যে পরিমাণ নতুন বই প্রকাশিত হয়, তার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এগুলো অবশ্য সবই প্রকাশিত হয় প্রাতিষ্ঠানিক প্রকাশনা সংস্থা থেকে। এর সঙ্গে যদি নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে ছাপানো বইকেও যোগ করতে হয়, অর্থাৎ যে উদ্যোগকে আমরা সাধারণত সেল্ফ পাবলিশিং বলে জানি, তাহলে বছরভর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছাড়ায় ৪০ লক্ষ। গুগল বুকসের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৪৪০ সালে গুটেনবার্গ সাহেবের ছাপাখানার দ্বার উন্মোচনের পর থেকে সারা পৃথিবীতে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩ কোটি, সেল্ফ পাবলিশিংয়ের বই বাদ দিয়ে।
বইয়ের কথা: নোবেল বক্তৃতার সংকলন

নিজের কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করতেই বোধকরি, মোট পাঁচটি বিভাগে এই পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। অগ্নি রায়ের নোবেল বক্তৃতা বইয়ের সমালোচনা করলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
বইপাগলের কথা – সুধীর চক্রবর্তী

গ্রন্থাগারের সদস্য তো নই। ভরসা হলেন সেই ঘরোয়া নির্জন পাঠাগারের সদাহাস্য গ্রন্থাগারিক জেহাদন নবী মোল্লা। পঞ্চাশ পেরনো মানুষটির চোখে চশমা পরনে ধুতি আর গেঞ্জি, পায়ে চটি। বলবেন, ‘এসো ভায়া। কবিতাপাগল।’ … সুধীর চক্রবর্তীর লাইব্রেরি-যাপন।
ছোট বাক্সের লাইব্রেরি

শুধু যদি বিক্কিরির হিসেব ধরি, সারা পৃথিবীর মধ্যে অ্যামেরিকায় বই বিক্কিরির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বেশি মানে অনেক বেশি। সেকেন্ড হয়েছে যে চিন, তার থেকে তিনগুণ বেশি। … লিখছেন সম্বিৎ বসু।
রবি ঠাকুরের চাঁদের পাহাড়টা হবে?

ডিজিটাল লাইব্রেরি নামটার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত নন, তাঁদের বোঝার সুবিধার জন্য বলা যেতে পারে, এ আসলে এক বাইনারি পুস্তকালয়। বই-ম্যাগাজিন-জার্নাল-খবরের কাগজ এখানে সঞ্চিত থাকে তাদের ডিজিটাল অবতারে। … লিখছেন অম্লানকুসুম চক্রবর্তী।