অজানার কৌতূহল, অচেনার তাড়াহুড়ো

অজানা আর অচেনা দুই বন্ধু। নৌকো করে তারা পাড়ি দিয়েছে এক আশ্চর্য সব-পেয়েছির দেশে। সে দেশার নাম সন্দেশ।
মাইনে (ছোটগল্প)

করোনা রোগের জেরে চলছে লকডাউন। কাজে যেতে হচ্ছে না অতসীকে। ঘরে বসে মাইনে তো পাচ্ছেই, ত্রাণের চাল ডাল আলুও জুটে যাচ্ছে। কিন্তু এত ঘরে বসে থাকাও তো বিরক্তিকর। ছেলে-ছেলের বৌয়ের গজগজ শোনা কি পোষায়? তাহলেঅতসী কী করে?
মৎস্যগন্ধ (ছোটগল্প)

ঝগড়া করলে তো আর গায়ের গন্ধ চলে যায় না। অবশ্য বউকে এটা বোঝান যায়নি। বোঝান যাবেও না। শুধু পাউডারে সে ক্ষান্ত হয়নি। তিনটে অ্যালোপ্যাথি ও চারটে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং একটি কোবরেজ তাকে দেখানো হয়েছে। তাতেও কিছু হয়নি। বরং বউয়ের দাবি হল, আগের চেয়ে তার গায়ের গন্ধ নাকি আরও বিদঘুটে হয়েছে। গন্ধটা কেমন? বউয়ের কথা অনুযায়ী, ভোলা মাছের মতো প্রবল আঁশটে। যদিও সে নিজে কোনওদিন এই গন্ধ পায়নি।
ডলি (গল্প)

সমুদ্র মিমিকে উচ্ছ্বাসের সাগরে ভাসিয়ে দিল! পম্পাকেও দিল অনেক কিছু। অনুপ ফোন করেছে রোজ! একজন বয়স্ক মহিলা প্রায় ডুবেই যাচ্ছিল। ডুবুরিরা ওকে কীভাবে বাঁচাল, তার বিস্তারিত বিবরণ অনুপকে দিল পম্পা! তারপর বলল, মিমি তো দারুণ এনজয় করছে!
ক্ষণিক-প্রভা (ছোটগল্প)

তুমি কিন্তু ওই তীব্র চোখ ঝলসানো আলোর মাঝখানেও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। ঠিক সেই সময় বাড়ি থেকে দু’জন দৌড়ে বেরিয়ে এসে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড়োতে শুরু করল। তুমি তখনও হেসে যাচ্ছ। হাত নেড়ে যাচ্ছ।…
ডিসচার্জ (ছোটগল্প)

আমাদের এই বিনিময় কারও চোখে পড়েনি। কী আশ্চর্য, আমাকে ছাপিয়ে সে ছুঁতে চাইছে আমার নাচ? অথচ মহড়ায় কোনওদিন কোনও কথাই তো সে বলেনি!
রথসচাইল্ডের জিরাফ (গল্প)

সুবর্ণ তখন স্কুলে, ওদের টিভি দেখার বড় ঘরে ভনভনে মশা আর পিঁড়িতে বসা ঠাকুমা মালা জপতে জপতে ঢুলে পড়ছে। এদিকে টিভিতে চিত্রহারে গ্র্যান্ড পিয়ানোয় বিশ্বজিৎ আর গলা মেলানোর ঠিক আগে ঢাকাই শাড়ি পরা সন্ধ্যা রায় ঘোরানো সিঁড়িতে একলা দাঁড়িয়ে। যেন ফিনফিনে চিনেমাটির পুতুল।
বিপ্রতীপ (বড়গল্প) দ্বিতীয় পর্ব

ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে সমাধা করে বাড়ি ফিরে এসে আশ্চর্য এক স্বপ্ন দেখে বিপ্রতীপ। আর তারপর আসে সেই ফোন। ফোনের ওপারে বিপ্রতীব বোস। নিবাস দুর্লভপুর। সে কী করে হয়?
