কল্পবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

কোনও একদিন স্রষ্টার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে সৃষ্টি, পিতার সিংহাসন দখল করবে সন্তান— এ এক অমোঘ ধারণা, যা যুগ যুগ ধরে মানুষ তার ‘কালেকটিভ আনকনশাস’-এ লালন করে এসেছে। বলা হয়, ঈশ্বর মানুষকে নিজের আদলে গড়েছেন। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ কীর্তি মানুষও চেয়েছে তার সৃষ্ট যন্ত্রদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে। তাই সে জেনেশুনেই নিজের সৃষ্টিকে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বরদান।
নিরুদ্দেশের কাহিনী (পলাতক তুফান)

‘পলাতক তুফান’ গল্পটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম কল্পবিজ্ঞান গল্প। গল্পটি জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথমে ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ নামে কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় (১৮৯৬) পাঠান, যেখানে সেটি প্রথম পুরস্কার পায়। পরবর্তীতে ‘পলাতক তুফান’ নামে গল্পটি ‘অব্যক্ত’তে পুনঃপ্রকাশিত হয়।
গল্প: ক্লোমা: শেষ পর্ব

এ গল্প ভবিষ্যতের, যখন দুনিয়া আরও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর অপরাধের কবলে। মারণ ভাইরাসের শিকার হওয়া আটকাতে নেমে পড়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছটি ছেলেমেয়ে যাদের নিজেদের শরীরেও রয়েছে বিশেষত্ব। পড়ুন কল্পবিজ্ঞান-কাহিনি অনুভা নাথের কলমে।
আমার দেখা অনীশ দেব

অনীশ দেব। বাংলা কল্পবিজ্ঞান ও রোমাঞ্চ সাহিত্যের জগতে একটি অবিসংবাদী নাম। চিরজীবন একদিকে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপনা এবং অন্যদিকে কল্পবিজ্ঞানের চর্চা নিরলসভাবে চালিয়ে যাওয়া এই মানুষটি সদ্য প্রয়াত হলেন কোভিডে। তাঁকে নিয়ে লিখছেন যশোধরা রায়চৌধুরী।
সত্যজিতের শঙ্কু কাহিনী – ননসেন্স আর বিজ্ঞানের আজব ককটেল

“আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল মাতবি মাতাল রঙ্গেতে আয় রে তবে ভুলের ভবে অসম্ভবের ছন্দেতে।” লিখেছিলেন তাঁর বাবা। খেয়ালরসের এমন গভীর ধারায় যাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, সেই সত্যজিৎ রায় তাঁর নিজস্ব ঘরানার অদ্ভুতুড়ে কল্পনাকে ভাষা দিলেন- ছবিতে এবং গল্পে। খাঁটি ননসেন্সে যেমন দুনিয়ার চেনা সব যুক্তি আর অবয়বকে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন সুকুমার রায়, সেই ননসেন্সের জায়গা […]