এক্সপ্লোরার (কবিতা)

সহজ আর সোজাসুজি বলার কথাগুলো / আমি চিরকাল লুকিয়ে রেখেছি ইঙ্গিতের ভিতরে
একটি বর্ণময় স্তবক (বই রিভিউ)

অনুভবের বৈচিত্র্য এবং প্রকাশভঙ্গির সারল্য কখনো কখনো কবিতার সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। অঞ্জনা বসুর অনেক কবিতাই তার উদাহরণ। তাঁর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য স্বতঃস্ফূর্ততা ও স্বচ্ছতা। সেটা অধিকাংশক্ষেত্রেই পাঠককে স্পর্শ করেছে। তাঁর রবীন্দ্র-বিষয়ক কবিতাগুচ্ছের মধ্যে যে ঘন আবেগের স্ফূরণ আছে তা প্রচলিত কবিস্তুতির চেয়ে অনেকটাই স্বতন্ত্র। তিনি যখন বলেন, “যে স্টেশন থেকে তোমার রেলগাড়ি ছাড়ল এক […]
চোরাই

ধর্মাবতার, আমি কোনও পাপ করিনি আমি শুধু সিন্দুক খুলে একটা বিপন্ন গোধূলি খুঁজেছি বাকি সোনাদানা যা ছিল সব কঙ্কাল হয়ে গেছে কবে! আমি জানি শব ছুঁয়ে থাকা বহুকালের রীতি বলা যায় না, হয়তো মহাশয় বগলে ছাতা নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন উঠোনের দিকে। আমি জানি যে কঙ্কালের গায়ে ছিল হলুদ জামা গোধূলি তার করতলে মরা ইঁদুরের […]
এক সকালে

প্রাচীনার ঘোরাফেরা
ছোট্ট নতুন সংসারে।
পাতার নৌকা

একদা স্কুলের বন্ধু সপরিবারে গিয়েছে বেড়াতে
গাঢ় নীল আকাশের গায়ে অরুনাচল প্রদেশ যেন মেঘ জড়ো করে
আমাদের কবিতাপ্রত্যাশা

সেই রকম কোনও কবির দেখা পাওয়া সব সময়ই কঠিন, যাঁর লেখা একই সঙ্গে দীক্ষিত পাঠক এবং সাধারণ পাঠককে মুগ্ধ করবে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তেমনই এক জন কবি, যাঁর কবিতা বহু বছর ধরে সেই কাজ করে চলেছে।
৬ই নভেম্বর

আমাদের নিয়ে লেখা হবে কিছু গল্প মৃত শহরের ঝলমলে কোনো সন্ধ্যায় তারাটির মতো নির্জন এক প্রান্তে নিজেদের খুব কাছ থেকে ফের দেখব বিকেলের মতো ছায়া মেখে সব পদ্য বাতাসের গান মুখে করে পাখি আসবে আকাশের নীল ওড়নার মতো স্বপ্ন আমাদের চোখ মুছে দিয়ে যাবে ক্লান্তির… ঘুরে চলা এই গ্রহটির নাম পৃথিবী ক্ষমতার বশে লোকজন বড় […]
পুনরায়

নিজের ভিতর নিজে বসে আছি প্রগাঢ় সন্ন্যাসে শূন্যদেশে ছায়া ওড়ে শুধু। এ এখন কোন্ ঋতু, পৃথিবীর বুক থেকে জন্মশব্দ উড়ে আসে বাতাসে-বাতাসে! যতটা বিষাদ তুমি দিয়েছিলে প্রকৃত বিচ্ছেদে লতা আর হরিণের শিং হয়ে যত দুঃখ বসেছিল জড়াজড়ি করে – সে-সমস্ত মুছে ফেলে নতুন আনন্দধ্বনি […]