কবিতার সঙ্গে বসবাস: সব্যসাচী সরকারের কবিতা

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, কোনওদিন সামাজিকভাবে পরিণতি পাবে না যে সম্পর্ক তার অবধারিত প্রণয়বন্ধন নিয়ে এক অতলস্পর্শী খাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর কোথায় কোথায় কোন কোন নরনারী, তার চিরজীবী চিত্র শিলালিপিতে মুদ্রিত করে দেয় এ কবিতা। শ্লেষ-তীর্যকতায় মিশ্রিত ভাষা দ্বারা তৈরি হয়েছে মূলত আত্মব্যবচ্ছেদ ও অনিবারণীয় প্রেমার্তির এই কাব্যগ্রন্থ। আত্মব্যবচ্ছেদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সমাজ। আমি যে সমাজের সমালোচনা করব, আমি কি সেই সমাজের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি? এই সচেতনতা কবিতাগুলিকে ছেড়ে যায় না বলেই কবিকথক নিজেকেও বিদ্ধ করতে ছাড়েন না।
সব্যসাচী সরকারের কবিতা নিয়ে আলোচনায় জয় গোস্বামী।
বইয়ের কথা: মানভূম জার্নাল

মানভূম জার্নালের কবিতাগুলি পড়তে পড়তে আস্ত এক আদিবাসী গাঁও চোখের সামনে এসে পড়ে। শাল, মহুয়ার গন্ধ আর ধামসা, মাদলের সুরে আচ্ছন্ন হওয়া ছাড়া পাঠকের কোনও উপায় নেই। বাতাসে বসন্তের গন্ধ লেগে আছে এখানে। শীত যাই যাই করছে, সে বোধহয় বুঝে উঠতে পারছে না, বসন্তকে এবার জায়গা করে দিতে হবে।
…পৌষালী চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ ‘মানভূম জার্নাল’ নিয়ে লিখলেন তুষ্টি ভট্টাচার্য
বইয়ের কথা: একটি চমকে ওঠার মতো কবিতার বই

দুজনেই আদ্যন্ত নাগরিক কবি, যাদের সপ্রতিভ স্মার্টনেস প্রশ্নের অতীত। কন্টেম্পোরারি বা সমকালকে এঁরা আকণ্ঠ পান করে বসে আছেন।
একটি বর্ণময় স্তবক (বই রিভিউ)

অনুভবের বৈচিত্র্য এবং প্রকাশভঙ্গির সারল্য কখনো কখনো কবিতার সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। অঞ্জনা বসুর অনেক কবিতাই তার উদাহরণ। তাঁর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য স্বতঃস্ফূর্ততা ও স্বচ্ছতা। সেটা অধিকাংশক্ষেত্রেই পাঠককে স্পর্শ করেছে। তাঁর রবীন্দ্র-বিষয়ক কবিতাগুচ্ছের মধ্যে যে ঘন আবেগের স্ফূরণ আছে তা প্রচলিত কবিস্তুতির চেয়ে অনেকটাই স্বতন্ত্র। তিনি যখন বলেন, “যে স্টেশন থেকে তোমার রেলগাড়ি ছাড়ল এক […]
‘জর্দা বসন্ত’ কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা

আশির দশকে কবি জয়দেব বসু তার ভ্রমণকাহিনী কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতায় মধুসূদনের প্রতিপক্ষে একটি পংক্তি রচনা করেছিলেন। বাকদেবীর সমীপে সে ছিল এক সমীচীন প্রশ্ন। প্রত্নকল্পের জিজ্ঞাসা ছিল এই যে – শুধু শব্দে শব্দে বিয়ে দিয়ে কবি হওয়া যায় নাকি যে শব্দে শব্দে ডিভোর্স দেন তিনিও কাব্য পৌরহিত্যই করেন!