দুটি কবিতা

একমাত্র বর্ষার সঙ্গেই বোধহয় সম্পর্ক নেই চোখের;/ ছাতার বাঁকানো হাত আঁকশি-হয়ে আটকে থাকে কোথাও/ গরম ফুলুরির গন্ধে রক্ত-ঝরে টপটপ
অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি নতুন কবিতা…
কবিতা: শুশ্রূষার মতো

মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রেখো এই অবিরল গর্ভাধান।/ তারপর সারারাত চন্দন পরাবো। শ্রাদ্ধ-গন্ধে ভরে উঠবে গোটা থিয়েটার।
মোহনা মজুমদারের নতুন কবিতা…
ছোটদের ছড়া: শাল মহুলের স্বপন

খেলার পুতুল ভাদুটুসু/ বারমাইস্যা গান/ রাতের বেলা ঝুমুর হবে/ মায়ের নাড়ীর টান।
কিশলয় বিভাগের কচিকাঁচাদের জন্য সজল মন্ডলের নতুন কবিতা…
কবিতার সঙ্গে বসবাস: সব্যসাচী সরকারের কবিতা

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, কোনওদিন সামাজিকভাবে পরিণতি পাবে না যে সম্পর্ক তার অবধারিত প্রণয়বন্ধন নিয়ে এক অতলস্পর্শী খাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর কোথায় কোথায় কোন কোন নরনারী, তার চিরজীবী চিত্র শিলালিপিতে মুদ্রিত করে দেয় এ কবিতা। শ্লেষ-তীর্যকতায় মিশ্রিত ভাষা দ্বারা তৈরি হয়েছে মূলত আত্মব্যবচ্ছেদ ও অনিবারণীয় প্রেমার্তির এই কাব্যগ্রন্থ। আত্মব্যবচ্ছেদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সমাজ। আমি যে সমাজের সমালোচনা করব, আমি কি সেই সমাজের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি? এই সচেতনতা কবিতাগুলিকে ছেড়ে যায় না বলেই কবিকথক নিজেকেও বিদ্ধ করতে ছাড়েন না।
সব্যসাচী সরকারের কবিতা নিয়ে আলোচনায় জয় গোস্বামী।
গুচ্ছকবিতা: মনখারাপের রিভিয়েরা

এখন তুমি জানলে আমি ভালোমানুষ নই,/ এখন তুমি জানলে আমার গলাতে নীলসুতো/ অনিচ্ছাতে আটকে গেছে। সেদিন রূপান্তর/ আমার পরাবৃত্তে হাঁটা, আমার নোনাজল…
ডঃ কৌশিক সেনের নতুন কবিতাগুচ্ছ…
এই বসন্তে

১৯৬৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘রাজা রামমোহন’, অসাধারণ অভিনয় বসন্তের। মহানায়কের বাড়ির আড্ডায় কোন এক স্তাবক মন্তব্য করে বসলেন, “রামমোহনে বসন্তের অ্যাক্টিং নিয়ে কেন যে এত হইচই হচ্ছে তা বুঝি না বাবা! দাদা ওই রোলটা করলে এর চেয়ে অনেক ভাল করতেন, একবারে ফাটিয়ে ছেড়ে দিতেন।” এই মন্তব্যে নাকি উত্তম রীতিমত রুষ্ট হয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং পরে বলেন, “বইয়ের পাতায় রামমোহনকে যেমন দেখেছি, তাঁর সম্পর্কে যা পড়েছি, বসন্ত যেন সেখান থেকেই হুবহু উঠে এসেছে।”
বসন্ত চৌধুরীর জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন…
কবিতার সঙ্গে বসবাস- নির্বাচিত কবিতা : সুমন গুণ- পর্ব ২

এতদিন লিখছেন এই কবি, কিন্তু বাংলার সাধারণ জীবনকে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, সহায়সম্বলহারা ও সব থেকেও কিছু না-পাওয়া জীবনগুলিকে কীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই কবি তাঁর রচনায়— সে কথা এই ‘নির্বাচিত কবিতা’ বইটি পড়তে গিয়েই অনুভব করলাম। নিজের প্রতি ধিক্কার জন্মাল— এত দেরি করলাম কেন জানতে? ‘অবেলা’ কবিতাটির মধ্যে বাঙালি মেয়েদের জীবন, বাড়ির মতে, অচেনা পাত্রকে বিবাহ করে কেমন দমবন্ধ, হাঁফিয়ে ওঠা বন্দিদশা প্রাপ্ত হয় তার প্রমাণ আছে। ‘থাবা বাড়ানো বর’ এই কবিতায় সমগ্র পুরুষতন্ত্রের আধিপত্য-প্রতীক হয়ে ওঠে।
কবি সুমন গুণের কবিতা নিয়ে লিখছেন জয় গোস্বামী। আজ দ্বিতীয় তথা শেষাংশ…
কবিতার সঙ্গে বসবাস- নির্বাচিত কবিতা : সুমন গুণ- পর্ব ১

সুমন গুণের কবিতা প্রধানত ২টি ধারায় প্রবাহিত। তার মধ্যে একটি ধারার প্রতি তাঁর পক্ষপাত অধিক। সেই ধারাটি হল সংহত, সংক্ষিপ্ত ও ঘনত্বময় কবিতারচনার ধারা। এই গোত্রের কাব্যরচনায় তিনি চূড়ান্ত সার্থকতা অর্জন করেছেন। সে প্রসঙ্গে পরে আসব। এখন বলি তাঁর দ্বিতীয় ধারাটির কথা। এই দ্বিতীয় ধারায় প্রকাশিত হয়েছে আমাদের বাংলার সাধারণ, নিম্নবিত্ত, জৌলুসহীন, পরিশ্রমী অথচ মমত্বময় এবং চিরস্নেহাশ্রিত জীবন প্রবাহ।
কবি সুমন গুণের কবিতা নিয়ে লিখছেন জয় গোস্বামী। আজ প্রথমাংশ।