বর্ণধারা

তোমার কাছে ধরা পড়ার ভয়
লুকিয়ে করি অনেক কটা পাপ
মগ্নবিষাদী

আরও একবার চৈতন্যে বিষাদের অমৃত ঢালো প্রভু, আমি মগ্নবিষাদী হব আবার। দেখে যাব শেষবার – বর্ণমালার কোন কোন রঙে আকাশ রাঙালে তুমি, সাজালে মাটি-পাহাড়। জল দিয়ে জল-রং ধুয়ে যাওয়া – দেখে নেব, প্রভু। এই শেষবার। কী রং মেশালে বাতাসে হাওয়া-রং ধরে। এই, এই শেষবার। আমায় মগ্নবিষাদী করো আরবার।
অপয়া

ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।
কড়ি বা কোমল

যে সাঁকোটি প্রিয় খুব, সে কখনও একমুখী নয়
চারটি দশক পর মাঠগুলি, ঘরগুলি,
গাছগুলি, পাখিগুলি, হাওয়াতেই উতরোল হয়।
ভাঙা-জলসা থেকে

‘এ সবই নশ্বরতা’, বলে তুমি হারমোনিয়াম সরিয়ে দাও। ফুলের রেণুর মতো,ঝরে-পড়া মাত্র কথাগুলি মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে। তোমার হাতচিঠিগুলোর জন্যও আশঙ্কা হয়! কেমন নির্জন হয়ে এল ডিসেম্বর মাস,কী বলব, নশ্বরতার ধর্মই এই! চোখ শুকিয়ে আসার আগে,আমি তোমাকে জানাতে চাই শুধু, একের পর এক শীতকাল পার হয়েও গান থেকে যাবে
উত্তরাধিকার

কী ভীষণ জাদুকরী মোহে!
আশ্লেষ সার্থক হলে ইন্দ্রিয়ের নতুন স্ফুরণ─
এও এক স্বমেহক প্রমিত প্রবাহ।
দুটি কবিতা

১ পক্ষপাতের সমারোহ উলুধ্বনিতে শাঁখ বাজছিল টানা খেয়ালই করিনি ট্রেনলাইনের পাশে অসমবয়সী নিভু নিভু দুটো তারা জ্বলে উঠেছিল গঙ্গার পাড়ে, রাতে হাতের ভিতরে হাত নিয়ে শুধু হাসি সম্পর্কের আড় ভেঙে দেওয়া মেয়ে শুনশান ঘাটে তাকে এত কাছে পেয়ে আমার ভিতরও সচল হয়েছিল ডানা আর সেও যেন সলতে পাকানো দাসী নাগমাতা সেজে আগুন কুড়োতে আসে দশদিক […]
ভাবনার কোলাজ

একটা মেল ট্রেনের হঠাৎ ড্রাগন সাজার ইচ্ছে হয়েছিল আগুন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে সে যখন শূন্যে লাফ দিতে উদ্যত পাহাড়ের চুড়া থেকে এক জাদকর বললো, দাস্ ফার, এন্ড নো ফারদার! একটু দূরে মুচকি হেসেছিল সমুদ্র। একটি রমণীকে উপহার দিতে গেলাম গুঞ্জাফুলের মালা সে বললো, আমি টিশিয়ানকে ভালোবাসি, আমায় মুখ ফেরাতে বলো না! শিল্পের নারীরা কখনো মুখ […]