সংক্ষিপ্ত কবিতাগুচ্ছ

জানা যাবে না/ কটা অক্ষয়বটের ফল/ পকেটে রাখা আছে… অরিঞ্জয় বিশ্বাসের কবিতা।
বৃষ্টিযাপন (কবিতা)

যদি গল্প বলতে পারতাম গুছিয়ে
ঘটমান সত্যের কাছে অবশ্যই
নিয়ে যেতে পারতাম তোমায়।
যেখানে পাতার এক পৃষ্ঠায় থাকত
সহানুভূতির দুটো চোখ তোমার,
বিপরীত পৃষ্ঠায় তখন ছুঁয়ে যেত
অনুচ্চার সাক্ষর আমার।
স্বগত স্বীকার (কবিতা)

অসুখের ইতিহাসে নীরব কান্নার বিবরণ আছে, জেনো।
অভিমান ঘনিষ্ঠ হলে যে ব্যক্তিগত সুখ হয়
তার নীচে জমা থাকে এক-একটা এপিসোডিক বিরতি
নিশ্চিত আশ্রয় থেকে ছদ্ম-সুখে,
নিজস্ব পরিধি ছেড়ে কৌণিকবিন্দুতে-
আজ তবে শূন্যের কথা কেন?
বহু বাসনায় (কবিতা)

মানুষের জীবনে তো তেমন আমোদ
নেই। বিনোদন নেই। তারা তাই অবসর পেলে
কষ্টের কথাগুলি কাগজের বলের মত গোল্লা করে
পরস্পর লোফালুফি করে, বেলুনের মতো তাকে
ওড়ায় বাতাসে। সংসারে এমনই নিয়ম।
মগ্নবিষাদী

আরও একবার চৈতন্যে বিষাদের অমৃত ঢালো প্রভু, আমি মগ্নবিষাদী হব আবার। দেখে যাব শেষবার – বর্ণমালার কোন কোন রঙে আকাশ রাঙালে তুমি, সাজালে মাটি-পাহাড়। জল দিয়ে জল-রং ধুয়ে যাওয়া – দেখে নেব, প্রভু। এই শেষবার। কী রং মেশালে বাতাসে হাওয়া-রং ধরে। এই, এই শেষবার। আমায় মগ্নবিষাদী করো আরবার।