কাকলি গানের বাড়ি: পর্ব ১

অনুতোষ মজুমদারের বাস শহরতলিতে। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে সস্ত্রীক বাস, ঘটনাহীন জীবন। পাড়ার সব পুরনো বাড়িই ভেঙে গিয়ে বহুতল উঠছে। তার মধ্যে ‘কাকলি’ নামের গানের ইশকুলও রয়েছে। সেখানে গান শিখত অনুতোষের বাল্যপ্রেমিকা শ্যামাশ্রী। ধারাবাহিক উপন্যাস ‘কাকলি গানের বাড়ি’র আজ প্রথম পর্ব।
যাঁকে কড়ি দিয়ে কেনা যায় না

বিমল মিত্র। একডাকে যাঁকে চেনে তামাম বাঙালি পাঠক। বাংলার বাইরেও তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট। কালজয়ী উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্রের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখলেন উৎপল চক্রবর্তী।
বিস্মৃত ভাবুক অন্নদাশঙ্কর

কয়েক কলি ছড়ার বাইরে বঙ্গসন্তানদের কজন মনে রেখেছেন এই কৃতী মানুষটিকে? কতজন পড়েছেন তাঁর অননুকরণীয় গদ্যমালা? রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, টলস্টয়ের মতো চিন্তকদের নিয়ে অন্নদাশঙ্করের ভাবনা, লিখন, যাপন হারিয়ে গিয়েছে বাঙালিজীবন থেকে। ফিরে দেখলেন কবি গৌতম বসু।
একানড়ে: পর্ব ১৭

নিঝুম বাড়িতে আজ কেউ দালানগুলোতে আলো জ্বালাবার প্রয়োজন বোধ করেনি। দিদা এক ঠায় বসে আছে তো আছেই। রিনামামিমাকে ডাক্তার দেখে গেছে, আর বিশ্বমামা দৌড়ে বেড়াচ্ছে এখান থেকে ওখান। দিদার কি মাথাটাই খারাপ হয়ে যাবে এবার? কারও সঙ্গে কথা বলছে না, কাঁদছেও না। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক উপন্যাস। আজ পর্ব ১৭।
ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ৪

সেবন্তী ঘোষ তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসে লিখছেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের উত্থানের কাহিনি। আজ চতুর্থ পর্ব।
মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘সীতায়ন’ – ফিরে দেখা

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল মল্লিকা সেনগুপ্তের উপন্যাস ‘সীতায়ন।’ মহাকাব্যের আখ্যানে কেন্দ্রীয় নারীচরিত্রের সর্বস্তরীয় অবমাননার দিকটি দুঃসাহসিক ভাবে তুলে এনেছিলেন মল্লিকা। তাকে দাঁড় করিয়েছিলেন সমসাময়িক প্রেক্ষিতে। প্রায় পঁচিশ বছর আগেকার এই উপন্যাস আজও কেন একই ভাবে সমসাময়িক, প্রাসঙ্গিক?
পাঠকের বৃত্তান্তে ‘দেবেশ রায়’ (প্রবন্ধ)

দেবেশ রায় আর আমাদের মধ্যে নেই এটা যেমন মর্মান্তিক সত্য, তেমন এও সত্য, তাঁর লেখা ও ভাবনার এক বিশাল জগতের সামনে আমরা আজও দাঁড়িয়ে আছি। আগামী সময় এই সমুদ্র থেকে নতুন কোনও অমৃত খুঁজে পাবেই। একজন সামান্য পাঠক হিসেবে দেবেশ রায়ের রচনার সামনে নতজানু হয়েই আগামী সময়ের লেখকদের কাছে আশাবাদী হয়ে রইলাম।
গোলকিপার (পর্ব ১৬)

গেটের একপাশে নিম আর অন্যপাশে কাঞ্চন। গেট থেকে বাড়ি পর্যন্ত খালি জায়গাটা এখন এই ফাল্গুনের মাঝামাঝি খয়েরি রঙের খসা নিমপাতা আর স্কারলেট রঙের ঝরা কাঞ্চন ফুলে মিলেমিশে লাবণ্যময়ী প্রাচীনার মতো মায়াময়। গেটের দুই পাল্লা জুড়ে একটা তালাসুদ্ধু শিকল এমনভাবে জড়ানো যে মনে হতে পারে গেটে তালা ঝুলছে। কিন্তু অভিজ্ঞ চোখ সহজেই বুঝে নেয়, শিকল নামালেই গেট খুলে যাবে। ভেতরে ঢুকে কুর্চি দেখল, সদর দরজা বাইরে থেকে হুড়কো টেনে বন্ধ, অথচ তাতে তালা লাগানো নেই!