সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ১১

মূলধারার সাহিত্য আগে বেস্টসেলার দিত। কিছু কিছু বই বহুকাল মুখে মুখে ফিরত আমাদের মা কাকিমাদের। বুদ্ধদেব গুহ থেকে নারায়ণ সান্যাল, আশাপূর্ণা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়— সকলেই আম-পাঠককে টেনে রাখতে পারতেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে মূলধারাও তা পারছে না। শেষ কোন বই দুপুরবেলা আমাদের মায়েরা পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছেন, তা খোঁজ করলে দেখা যাবে প্রায় সবকটাই ওই সুনীল, বুদ্ধদেব বা রমাপদ চৌধুরীর লেখা। তাঁদের অর্জন পরবর্তী লেখকদের অনায়ত্ত থেকেছে।
উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ২১

সীমন্তিনী লক্ষ করেছিল অরুণাভ কষ্ট করে সহজ হচ্ছে বৃন্দার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে৷ অরুণাভকে কোনও অস্বস্তিতে ফেলতে চায়নি ও৷ কথা ঘুরিয়েছিল ওর মা-বাবা-বোনের প্রসঙ্গে৷ দমদমের বাড়ি থেকে কবে ইংল্যান্ডে গেল, জিনিয়ার জন্ম, আমেরিকায় চলে আসা, একটা সুখী পরিবারে বড় হয়ে ওঠা- সব কিছুই যেন সীমন্তিনীর অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা৷ ওর আশপাশে চেনা যাদের দেখেছে, তাদের থেকে যেন অনেকই আলাদা অরুণাভ, প্রতিদিন নতুন করে মনে হচ্ছিল সীমন্তিনীর৷ ওর ক্ষতটায় যেন অদ্ভুত একটা প্রলেপের কাজ করছিল অরুণাভ৷
যে গণিতশিল্পীকে মনে রাখিনি

কালিদাস রায় কেশবচন্দ্রকে ক্লাস ফাইভ সিক্সের জন্য একটি অঙ্কের বই লিখতে বলেন। তাঁর জোরাজুরিতে অল্পসময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপিও তৈরি করেন কেশবচন্দ্র। ইউ এন ধর অ্যান্ড সনস্ কালিদাস রায়ের বই ছাপতেন। তাঁদেরই প্রকাশনায় প্রকাশিত হল ‘নব পাটিগণিত’। খুব দ্রুত বইটি জনপ্রিয় হয়ে উঠল। কেশবচন্দ্র পেতে থাকলেন রয়্যালটির টাকা। কেশবচন্দ্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এই প্রথম সুদিন দেখল। এর পরেই প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত ‘ম্যাট্রিক ম্যাথামেটিক্স’ বইটিও।
…’গণিতশিল্পী’ কে সি নাগের জীবনসংগ্রাম নিইয়ে লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত
উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ২০

কুড়ি বছরে যখন সিমোন প্রথম এখানে আসে, তখন প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হয়েছিল অ্যাডজাস্ট করতে৷ মনে হত একছুটে চলে যায় স্কটল্যান্ডের ফেলে আসা ওই একচিলতে বাড়িটায়, যে বাড়িটায় ও আর ওর মা পনেরো বছর ধরে ভাড়া ছিল৷ মা যখন ভায়োলেন্ট হয়ে গেল, তখন ল্যান্ডলেডিই ফোন করেছিল মানিকে৷ সিমোন তখন রিহ্যাবে৷
উপন্যাস: আকাশপ্রদীপ: পর্ব ১৯

শতমুখে বৃন্দার কথা বলছিলেন অরুণলেখা৷ হ্যাঁ, হুঁ বলে কোনওরকমে শুনেছিল সীমন্তিনী৷ বলতে পারেনি বৃন্দা ওর নিজের মাসি৷ জ্যোতির্ময় আর অরুণলেখা বরাবর জেনে এসেছেন সীমন্তিনী শৈশবে মাতৃহারা৷ সীমন্তিনীর ইদানীং মনে হয় – ওর মায়ের পুরো গল্পটা যদি জানতেন ওর শ্বশুর-শাশুড়ি, তবে কী প্রতিক্রিয়া হত ওঁদের?
বইয়ের কথা: সাম্প্রতিকতম ইতিহাসের পদচিহ্ন

আর অতিমারী ও তার প্রকোপের বিরুদ্ধে গোটা সমাজের লড়াই, সিস্টেমের লড়াই, লকডাউনের ভ্রান্তিময় পরিস্থিতি, তার তলায় এই প্রচণ্ড তাড়িত পশুর মতো অবস্থায় মানুষের সম্পর্কগুলো কী রূপ ধারণ করে? ভয়াবহ পরিণতি হয় প্রতিটি সুকুমার প্রবৃত্তিরও। মানুষ ক্রমশ প্রাইভেসি হারায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস চলে যায়। আদিত্য-ধৃতির সম্পর্কের ভেঙে যাওয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আবার তিয়াস আর গগনের আপাতসুন্দর সম্পর্কেও বিবাহ-বহির্ভূত চোরকাঁটা টের পাওয়া যায়।
… সৌরভ হাওলাদারের বই নিয়ে লিখলেন যশোধরা রায়চৌধুরী
কবিতা: বিষাদ

ক্ষতচিহ্ন মেপে মেপে অতঃপর আমি চক্রব্যূহ/ দিগন্তরেখার পাশে পরাজিত কলিজাসমূহ
… দেবর্ষি সরকারের নতুন কবিতা
সার্কাস, ট্রেটর ও দ্রোহকাল: পর্ব ১০

আমি রাজনীতির প্রত্যাশা করি না, কারণ ভিন্নধারার লেখালেখি যে একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সে সত্য বহুদিন আমরা ভুলেছি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কীভাবে একজন কমিটেড লেখককে হত্যা করা হচ্ছে সেটাকে যদি চিহ্নিত না করা যায়, তাহলে অন্যধারার লেখালেখির পরিণতি সেটাই হতে পারে, পঞ্চাশের দশক থেকে যা হয়ে এসেছে। কেরিয়ারের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গা গরম ভাষণ শুনিয়ে তারপর যেই বিগ হাউসে লেখার সুযোগ মিলবে, মাথা নীচু করে সেই কনভেনশনের খোঁয়াড়ে ঢুকে পড়া।
… শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের কলম