গোলকিপার (পর্ব ২)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

আধো অন্ধকারে কয়েক পা এগনোর পরেই ঝরা-পাতার মধ্যে কোনও কিছু নড়াচড়ার একটা খসখস শব্দ কানে এল অরিত্রর। সঙ্গে সঙ্গে সাবধান হয়ে গেল সে। এখানে সাপ-টাপ আছে নাকি? থাকতেই পারে, যা গাছপালা ঘেরা ফাঁকা ফাঁকা সব বাগানওলা বাড়িঘর। তবে এই শীতের রাতে সাপের তো গর্তের মধ্যে ঢুকে গভীর ঘুম দেওয়ার কথা। তাহলে? দাঁড়িয়ে পড়ে অরিত্র আন্দাজ […]

রি-ইউনিয়ন

love lost

(১) প্রথমে একটু সময় লেগে যাবে চোখটা সইয়ে নিতে। চামড়া পোড়ানো তাত,ক্রমশঃ তা-ও সয়ে যাবে। আলো আঁধারিতে পাগলের মতো ড্রাম বাজাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ক’জন মানুষ, মানুষী। মেয়ে তো নয়! যেন পাগলিনী এক। মাথা ঝাঁকাচ্ছে ড্রামের তালে তালে। এলোচুল ঢেকে দিচ্ছে মুখ-চোখ-নাক। দু’হাতে ধরে আগুনের তরবারি। খোলা তরোয়ালের ফলায় দাউ দাউ জ্বলছে মন্দিরের চূড়ার মতো লাল মায়াবি […]

গোলকিপার (পর্ব ১)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

‘দুষ্মন্ত, দুষ্মন্ত…’ উঁচু গলায় মহিলা কণ্ঠের ডাক পরিষ্কার শুনল অরিত্র। রাত ন’টা বেজে গেছে। দেবদীপ এখনও টিভিতে ফুটবলে মশগুল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। সন্ধের পর থেকেই আহ্লাদি শীত উত্তুরে হাওয়ায় ফুরফুরে নাচছে। এ সময় বাড়ির বাইরে বেরনোর এতটুকু ইচ্ছেও ছিল না অরিত্রর। কিন্তু একে টটেনহ্যাম-চেলসির এই খেলাটা আগে দু’বার দেখা, তারপর দেবুদার যত অদ্ভূত নিয়ম। বাড়ির ভেতরে তো […]

স্বীকারোক্তি

woman

চোখ খুলে দেহাতি ভোর দিয়ে শুরু কী সব মায়ামমতা ছিল জাদুদিনগুলোয় একটু হাওয়া দিলেই পাতার পর পাতা উলটে যায়… মেট্রোর তাড়া, দুপুরের মাল্টিপ্লেক্স ছাড়িয়ে ঝিমঝিমে অল্প আঁচের সন্ধে… ততদিনে প্রেমিকারা প্রথম বিশ্বের বাসিন্দা আর আমাকে লাঙল নিয়ে মাঠে যেতে হয়

বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (শেষ পর্ব)

Novel by Binayak

আমি সেই সুযোগে মুন্নিকে একটু সাইডে টেনে ভোরের ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল জানতে চাইলাম। মুন্নি যা রিপোর্ট দিল, তা সংক্ষেপে এইরকম: মুন্নির বাবা সম্প্রতি ফ্রান্স বা ইটালি- কোনও একটা জায়গা থেকে খুব দামি ক্রকারির সেট নিয়ে এসেছিলেন। ঝামেলা এড়ানোর জন্য উনি স্ত্রী এবং বাবার মধ্যে জিনিসগুলোর একটা সন্তোষজনক বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, তাতে কেউই […]

বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (পর্ব ২)

Novel by Binayak

সুজাতা বউদির বাড়ি গিয়ে আমি প্রথম যাকে দেখে চমৎকৃত হই, সেই লোকটি ওর বর প্রদীপবাবু। আমি মনে মনে ওর নাম দিয়েছিলাম ‘মাটির প্রদীপ’। বিরাট শিক্ষিত মানুষ। বিদেশি ফার্মে বড় চাকরি করেন। কিন্তু সারাদিন বাড়িতে থাকলেও তাঁর গলার আওয়াজ শোনার জো নেই। সবসময় “দেখিতে না পাও ছায়ার মতো আছি না আছি” ভঙ্গি নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ান। […]

বাতিল

lonely woman

কীভাবে বসন্ত আসে- তোমার উঠোনে,আমার অভ্যাসে ঘুম ভেঙে দেখি জেগে উঠেছে পূর্বজন্মের নারী, মনে মনে তাকে নষ্ট করে ফেলি একা রাস্তা,আসবাব,পুরোনো মেসের ছায়া ফিরে যায় সতর্ক ভঙ্গিতে। ল্যাম্প জ্বেলে খুলে বসি জন্মদিনে পাওয়া বই দেখি- হলুদ পাতার ভাঁজে নিমপাতা রুখতে পারেনি পোকা-খাওয়া মানুষী ফাটল।

বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (পর্ব ১)

Novel by Binayak

আমাদের কলেজের এক অপূর্ব সুন্দরী ছিল পরমিন্দর কাউর। পরমিন্দরের বাড়িতে যারা কখনও-সখনও যেতে পারত, তাদের মুখে শুনেছি তার দিদি, যে আমাদের কলেজে পড়ত না, রভিন্দর কাউর আরও সুন্দরী। কিন্তু সুন্দরী রবীন্দ্রনাথ দেখার কালচারাল শক সহ্য করতে পারব না বলে আমি আর ও রাস্তা মাড়াইনি। তাছাড়া গলিই এত মনোরম ছিল যে রাস্তার কথা সবসময় মনেও আসত […]