বর্ণধারা

তোমার কাছে ধরা পড়ার ভয়
লুকিয়ে করি অনেক কটা পাপ
গোলকিপার (পর্ব ৭)

দরজা বন্ধ করে দোতলায় বারান্দা-লাগোয়া টিভির ঘরে গিয়ে বসতেই অস্বস্তির কাঁটাটা আবার খচখচ করে উঠল কুর্চির মাথায়। কেউ কি তাকে দেখছে? সেই ঠাম্মার আমল থেকেই টিভির ঘরের বড় বড় জানলায় পর্দা টানা হয় না। টিভি দেখতে দেখতেই ঠাম্মা বারবার আকাশের দিকে চাইতেন। টের পেতে চাইতেন কখন সন্ধে হল, কখন মেঘ করল, বৃষ্টি নামল। কিন্তু এখন […]
মায়াবিদ্যা

তা-ও হয়ে গেল আজ উনিশ কুড়ি বছর, হালিশহর থেকে রাস্তাটা চলে গেছে চৈতন্যডোবার দিকে, হাঁটছিলাম আপন মনে। তখন মন কাচের মতো স্বচ্ছ,যা দেখি তাতেই উথলে ওঠে খুশি। যৌবনবেলার এমনই নিয়ম! একপাশে গঙ্গা, লাজুক শীতকাল আসব আসব করেও থমকে দাঁড়িয়ে আছে চৌকাঠে। ইচ্ছে ছিল চৈতন্যডোবায় নিমাই সন্ন্যাসীর গুরু ঈশ্বরপুরীর আশ্রম দেখে ফিরব।
গোলকিপার (পর্ব ৬)

জানলা খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না অরিত্র। এ কি শান্তিনিকেতন? নাকি টুং-সোনাদা-ঘুম? কুয়াশা এত ঘন যে কয়েক হাত দূরে বাতাবি গাছটাও প্রায় মিলিয়ে গেছে! আর কী হাড় হিম করা ঠান্ডা রে বাবা। জানলা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেই দাপুটে ঠান্ডা ঘরের ভেতর ঝাঁপিয়ে পড়ে যেন জাপটে ধরল অরিত্রকে! জগিংয়ে বেরনোর তো কোনও প্রশ্নই নেই, […]
পুনরায়

নিজের ভিতর নিজে বসে আছি প্রগাঢ় সন্ন্যাসে শূন্যদেশে ছায়া ওড়ে শুধু। এ এখন কোন্ ঋতু, পৃথিবীর বুক থেকে জন্মশব্দ উড়ে আসে বাতাসে-বাতাসে! যতটা বিষাদ তুমি দিয়েছিলে প্রকৃত বিচ্ছেদে লতা আর হরিণের শিং হয়ে যত দুঃখ বসেছিল জড়াজড়ি করে – সে-সমস্ত মুছে ফেলে নতুন আনন্দধ্বনি […]
দিনের পরে দিন: ফাদার দ্যতিয়েন কথা

“খেয়েছি ছাতু, দেখেছি রাঁচি, থেকেছি বিহারে নিঃসন্দেশ মৎস্যহীন সুদীর্ঘ তিন বছর। পড়োশি ছিল পিঁজরাপোলের হাড় জিরজিরে ষাঁড়। জায়গাটি ছিল স্বাস্থ্যকর, দৃশ্যও ছিল মনোজ্ঞ, ভাষা ছিল রাষ্ট্রভাষা। পালিয়েছি, ফিরেছি কলকাতায়, পাঠানকোট-এক্সপ্রেসে; নেমেছি হাওড়ায়, ঠেলতে ঠেলতে খুঁজেছি পথ, দুর্গোপুজোর ভিড়ের গোলকধাঁধার মধ্যে, কুলিদের অবাঞ্ছিত সাহায্যে।” এমন সাবলীল, রসে ভরপুর বাংলা অনায়াসে পাতার পর পাতা লিখে বাঙালির অন্দরমহলে […]
গোলকিপার (পর্ব ৫)

কুর্চি-প্রশান্তর তখন বিয়ের কথা ভাবার ফুরসত কোথায়? কুর্চি সবে এম এ শেষ করে পি এইচ ডি-র জন্যে তৈরি হচ্ছে। বাবার প্রশ্নের উত্তরে নেহাতই আলগাভাবে বলেছিল, “এখন ওসব কিছুই ভাবছি না বাবা। তাড়া কিসের? আগে রিসার্চ শেষ করি, প্রশান্তও আর একটু দাঁড়াক, ইন্ডাস্ট্রিতে একটু চেনাশোনা বাড়ুক। তখন না-হয় বিয়ের কথা ভাবা যাবে।” তার মানে আজ হোক […]
অপয়া

ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।