কবিতার সঙ্গে বসবাস – সুবোধ সরকারের কবিতা

তবে কি সুবোধ সরকারের কবিতা কেবলই বিভিন্ন প্রকার অন্যায় ও অত্যাচারের কথাই শুধু বলে? না, তা কখনই নয়। আনন্দ উদযাপনকারী কবিতাও সুবোধ সরকারের হাতে আমরা পেয়েছি।….
মহড়া (কবিতা)

ও মধুর ও মধুর! দেখে দিন বিনোদিনিগাথা! / কখন আসছেন আপনি? সন্ধ্যানামা লেখার টেবিলে?
মান (কবিতা)

বন্ধু বদলে বদলে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না তোমার অভিমান।
পুরনো প্রেমের দিকে, নতুন ওমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে দীর্ঘ ছায়া নিয়ে
পাঠকের বৃত্তান্তে ‘দেবেশ রায়’ (প্রবন্ধ)

দেবেশ রায় আর আমাদের মধ্যে নেই এটা যেমন মর্মান্তিক সত্য, তেমন এও সত্য, তাঁর লেখা ও ভাবনার এক বিশাল জগতের সামনে আমরা আজও দাঁড়িয়ে আছি। আগামী সময় এই সমুদ্র থেকে নতুন কোনও অমৃত খুঁজে পাবেই। একজন সামান্য পাঠক হিসেবে দেবেশ রায়ের রচনার সামনে নতজানু হয়েই আগামী সময়ের লেখকদের কাছে আশাবাদী হয়ে রইলাম।
কবিতা, কল্পনালতা

কবিকে জানব বলে সমগ্র জীবন, অতঃপর এই জলে ঘর, জলেই সঙ্গম। চেনাশোনা শেষ হলে অপরূপকথা কাব্য, তীরে এক নির্জন পাথরে বসে দেখি, কোমরের নিচ থেকে মাছের পুচ্ছখানি রোদেলা সকালে চিকচিক করছে স্রোতে নুয়ে।
কবিতার সঙ্গে বসবাস – কস্তুরী সেনের কবিতা

এই কবির জন্ম ১৯৮৫ সালে। তখন আমি ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ লেখার পর ‘ভূতুম-ভগবান’ বইটির কবিতা লেখা শুরু করেছি। অর্থাৎ এই কবি বয়সে আমার সন্তানতুল্য। কিন্তু বয়স কম হলেই কাউকে শ্রদ্ধা করা যাবে না, এমন বিশ্বাস আমার নেই। আমি এই কবির লেখার দরজায় বারবার গিয়ে দাঁড়াব।
ব্যক্তিগত (কবিতা)

এমন করেই কাটছে সকাল ধূসর গানে, / শিরায় শিরায় সন্ধ্যা নামে গহরজানে। /
ঝটপটিয়ে উঠছি শুধুই রাত-দুপুরে, / যেমন করে শরীর ভেজে জল নুপুরে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ৩)

ধীর পায়ে খাজাঞ্চিখানা থেকে বেরিয়ে দোতলার সিঁড়ি ভেঙে অন্দরমহলের দিকে পা বাড়ালেন ভূপতি রায়। একটা চাপা খুশির ছাপ চোখেমুখে। আদায় পত্তর ভালোই হয়েছে এবার। কেষ্টনগরে কোম্পানির ঘরে খাজনাটাও পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে সময়মতো। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, ঠারেঠোরে খবর পাচ্ছেন ছোট তরফের ওই নেপোটা, সে ব্যাটার নাকি হাঁড়ির হাল এবার। খাজনার টাকা দিতে পারবে না শোনা যাচ্ছে। তা পারবে কী করে? জুয়ো আর মদ-মাগীতে টাকা উড়িয়ে দেউলে একেবারে।