শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২২)

illustration by Chiranjit Samanta

মৃদু অথচ তীক্ষ্ণ যন্ত্রণার শব্দ বেরিয়ে এল সর্দারের বুক চিরে। যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে ছিঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যটা। এটাই হাতুড়ি মারার মোক্ষম সময়।
– মেগাইয়ের খুনের বদলা নেবে না?
পাঁচুর চোখে চোখ রেখে ঝটিতি প্রশ্ন করলেন খোদাবক্স। মুহূর্তে খালের ওপার থেকে চিতার আগুনের ঝলকটা উড়ে এসে যেন ঢুকে গেল পাঁচুর দু’চোখে।
– পীতাম্বরের রক্ত খাব আমি।
হাড়হিম করা গলায় বলে উঠল পাঁচু।

সাধের আসন (কবিতা)

Nakshi Kantha

ফুটোফাটা জোড়াতালির যাপন। তাকে সুচের সূক্ষ্ম ফোঁড়ে বেঁধে রাখার আয়াস। নকশি কাঁথার মতো বুনে বুনে চলা রোজকার সুখ দুঃখ দৈনন্দিনতার ওঠাপড়া। সেবন্তী ঘোষের কলমে…

কবিতার সঙ্গে বসবাস – জিৎ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

Poetries of Barnali Koley

জয় গোস্বামী চিরঅনুসন্ধিৎসু। নবীন কবিদের পদ্য ছেনে ছেনে তিনি খুঁজে আনতে চান ইতিপূর্বে অদেখা সব মণিমুক্তো। তারই এক কণা বাংলালাইভের পাতায়, তাঁর কলামে। …

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২১)

illustration by Chiranjit Samanta

পরদিন মাঝরাতে আটঘড়ার জমিদার বাড়ি ঘিরে ফেলল এক-দেড়শো জনের বিশাল ডাকাতদল। সদর দরজায় বসে ঝিমোতে থাকা কোম্পানির দুই তেলেগু সেপাই, কাঁধ থেকে বন্দুক নামানোর আগেই গুলি খেয়ে লটকে পড়ল মাটিতে। প্রাসাদের মধ্যে থাকা বিশ তিরিশজন পাইক লেঠেল বাহিনী ঝড়ের মুখে খড়কুটোর মত উড়ে গেল বিশ্বনাথের দলের সামনে।

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২০)

illustration by Chiranjit Samanta

গতরাতে আটঘড়া গ্রামে এক জমিদার বাড়িতে জনাপঞ্চাশ মিলে ডাকাতি করতে গিয়েছিল ওরা। তার আগে বিশ্বনাথের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ওখানকার বাবুদের হুমকির চিঠিও পাঠিয়েছিল। পাল্টা চিঠিতে জবাব এসছিল। একটি লাল পয়সাও দেওয়া হবেনা। যা পারো করে নাও।

সন্ধিপত্র (কবিতা)

Poetry

প্রেম আর বিরহ – মানবসম্পর্কের দুই হাতে এই দুই আবেগের মন্দিরায় রিনরিন রিনরিন… বসন্ত এসেও কেন আসে না?

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৯)

illustration by Chiranjit Samanta

ডাকাতি সেরে ফেরার পথে ঘন জঙ্গলে এক তরুণীর মৃতদেহের বুকে তার জীবীত সদ্য়োজাত শিশুকে দেখতে পায় মনোহর সর্দার। বুকে তুলে এনে একমাত্র আত্মীয়া বুড়ি পিসির হাতে দিয়ে বলেছিল, ওকে সন্তানের মতো মানুষ করব। চৌরঙ্গিবাবার আশীর্বাদ নিয়ে নামকরণ হল হারাধন। তারপর? …

শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৮)

illustration by Chiranjit Samanta

সকাল সকাল দারোগা খোদাবক্স খবর পেলেন বিশের এককালের স্যাঙাত বোদে ডাকাত বিশের হাতে মার কেয়ে শয্যাশায়ী। তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নিশি কবরেজ। বোদে সুস্থ না হলে যে মহা বিপদ! কী বিপদ? …