উপন্যাস: নাগবন্ধন: তৃতীয় পর্ব

Nagbandhan part 3

১৬৯০ সালে রাজনগরের সঙ্গে নানকার রাজ্যের প্রচণ্ড যুদ্ধে নানকার রাজ্যের রাজধানী ডামরা পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। এর প্রায় ন’বছর পর নানকার রাজারা মলুটীতে তাঁদের নতুন রাজধানী নির্মাণ শুরু করেন। নানকার রাজবংশ মলুটীতে এসে শেষ পর্যন্ত ছয় তরফে ভাগ হয়ে যায়। ওদের সবাই খুব পুজোআচ্চা করত।

কবিতা: ভয়

Poetry by Mainak Das

কালো ব্লাউজের নকশা আঁকা পিঠ/ নিয়ে কেউ হয়তো ফুরিয়ে যাওয়া/ বিপ্লব আনার জন্য দাঁড়িয়ে…

তরুণ কবি মৈনাক দাসের নতুন কবিতা

উপন্যাস: নাগবন্ধন: দ্বিতীয় পর্ব

Nagbandhan part2

ছোটনাগপুরের নবরতনগড় থেকে নাগবংশের শাসনকার্য দেখতেন সেখানকার ৪৫তম রাজা দুর্জন শাল। এটি সাড়ে পাঁচশো বছর আগের ধ্বংসাবশেষ। ন’তলা এই দুর্গের নাম তিনি রেখেছিলেন নবরত্নগড়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৭১ সালে মানে দুর্জন শালের শাসনকালের আগেই তৈরি হয়েছিল দুর্গটি, যার মাটির উপরে ৯টি তল ছাড়াও ছিল মাটির নীচে বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ দ্বিতীয় পর্ব…

‘বাংলার কিটস’: বিস্মৃতপ্রায় তরু দত্ত

Life of Taru Dutt

জীবনের অধিকাংশ সময় ইউরোপে কাটালেও তরুর অন্তরে গভীর ভালোবাসা ছিল দেশের প্রকৃতি, গাছপালা, পুরাণ, মহাকাব্যের ওপর। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটি ‘Our Casuarina Tree’। আরও একটি বিখ্যাত কবিতা ‘Lotus’। তরু দত্তের লেখায় মানবজীবনের সমস্যা যেমন উঠে এসেছে, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতও ছুঁয়ে গেছে তাঁর সৃষ্টি। তৈরি হয়েছে সাবিত্রী, একলব্য, সীতা।

বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি বিদূষী তরু দত্তকে নিয়ে লিখলেন রূপা মজুমদার…

গল্প: মনের মাঝে

story Moner majhe

চোখ থেকে ফাইবার গ্লাসের চশমাটা খুলে হতভম্বের মতো এদিক ওদিক তাকাল শোভন। একটু আগে দেখা ঘরটাকে, মানুষগুলোকে খুঁজতে চাইল যেন। অসুস্থ লাগছিল ওর। ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, যেন অনেকদিন ঘুমোয়নি। নিজেকে দেখলে হয়তো চিনতেও পারত না ও। পরনে ছেঁড়া জামা, ময়লা প্যান্ট। গালে অনেকদিনের না কামানো দাড়ি, চুল উসকোখুসকো। বয়সটা যেন এক ধাক্কায় দশ বছর বেড়ে গেছে!

সৌভিক চক্রবর্তীর নতুন গল্প…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: প্রথম পর্ব

Nagbandhan part1

একটু আগেভাগে গেলে মায়ের মন্দিরে ভোগের কুপন কেটে নিন। দুপুরের খাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকবে না আর। পথের পাশে ঝাড়খণ্ডি মহিলাদের তেলেভাজার দোকান সারি সারি। বিকেলে সেখানে চা, মুড়ি আর লংকার চপ খেয়ে ফিরে এসে আরও এক রাত থাকুন শান্তিনিকেতনে। তারপরে ধীরেসুস্থে কলকাতায় ফিরুন স্যার। মলুটী দেখে শেষ হবে না, এও বলে দিলাম কিন্তু।

শুরু হল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ প্রথম পর্ব

গল্প: ১৩বি হরি ঘোষ স্ট্রিট

story by Arup Dasgupta

মৃন্ময়ী দেবীর ঘরে ঢুকে পিকু দ্যাখে বিশাল পালঙ্কের মাথার দিকে হেলান দিয়ে মৃন্ময়ী দেবী শুয়ে আছেন আর কোলের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে সেই লোকটি, যার নাম ভোলা। ভোলার হাতে একটা সিরিঞ্জ আর বিছানার পাশে টেবিলে একটা লেবেল ছাড়া ইনজেকশনের ওষুধের শিশি। এর থেকেই মৃত্যুর কারণটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। 
পিকু কি তল পাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের? অরূপ দাশগুপ্তের নতুন গল্প

মানবমিলনের প্রতীক কাজী নজরুল ইসলাম

secular Najrul

প্রথমে নজরুলকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখান থেকে আলিপুর সেন্ট্রাল, হুগলি জেল ও শেষে বহরমপুর জেল হয়ে প্রায় একবছর বাদে ছাড়া পান তিনি। জেলে নানারকম উৎপীড়ন তাঁকে ভোগ করতে হয়েছিল। বিশেষ করে, হুগলি জেলে থাকার সময় নির্যাতন চরমে ওঠে। এখানে কয়েদিদের জঘন্য খাবার দেওয়া হত। এর প্রতিবাদে নজরুলের নেতৃত্বে বন্দিরা অনশন শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের “তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে…” গানের অনুসরণে নজরুল মুখে মুখে একটি ব‍্যঙ্গগান তৈরি করলেন, যা সবাই মিলে গাইতেন জেল-ওয়ার্ডেনকে উদ্দেশ্য করে― “তোমারি জেলে পালিছ ঠেলে/তুমি ধন‍্য ধন‍্য হে…”। এইসব কারণে, জেল-কর্তৃপক্ষ নজরুলের হাতে পায়ে শেকল দিয়ে আলাদা সেলে রেখে দেয়।

সাম্যবাদের জ্বলন্ত বিগ্রহ কাজী নজরুলকে নিয়ে লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যা