‘স্বদেশী’ রাজশেখর

rajsekhar-basu

রাজশেখর বসুর সাহিত্যকীর্তির সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু তাঁর গোপন দেশপ্রেমের দিকটি আমাদের কাছে অজানাই রয়ে গিয়েছে, কারণ এ বিষয়ে তিনি নিজে কিছুই লিপিবদ্ধ করেননি। আলো ফেললেন অশোককুমার মুখোপাধ্যায়।

ইন্দিরার স্বর্গারোহণ ও তারপর (গল্প)

Illustration of short story by Debasis Deb

একদিন নিজের জগতের বাইরে গিয়ে বসার ঘরে বৌমার ছবিতে বাসি মালা দেখে কেঁপে উঠে হাঁক দিয়েছিলেন “সাধনা!” বলে। সিদ্ধেশ্বরীদেবীর এই উচ্চস্বর অনেকদিন বাদে শুনে পুরনো কাজের মেয়ে সাধনা- যে নিজেকে বাড়ির ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়ে থাকে, হন্তদন্ত হয়ে হাজির হল। “জানিস না, কোনও ফটোতে বাসি মালা ঝুললে বৌমা রেগে যায়!” হঠাৎ খেয়াল পড়তে কালে গোলমাল হয়ে গিয়েছে- ‘যায়’টা ‘যেতো’ হবে। চোখের জল মুছতে মুছতে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন সিদ্ধেশ্বরী। তারপর থেকে মালাটা নিত্য আসে আর বৌমার গলায় টাটকা মালা ঝোলে।

আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল

Illustration for Leela Majumdar Special Feature লীলা মজুমদার

আমি লীলা মজুমদারকে আবিষ্কার করলাম, ‘আর কোনোখানে’ বইটি পড়ে। ‘তুঙ্গভদ্রার তীরে’ শেষ হল না, মন ঘুরে বেড়াতে লাগল শিলং পাহাড়ের এক অপরিচিত বালিকার পায়ে পায়ে, ঠিক যেন আমার খড়দা ছেড়ে কলকাতায় আসার একরাশ মনখারাপে, আলুর ঝালুর গপ্পো। এরপর তো কলেজ। ‘স্বপন বুড়ো’, ‘মৌমাছি’, ‘জীবন সর্দার’ ছাপিয়ে, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর। আর গোগ্রাসে নভেল গেলার সময়ে এসে গেল, ইংরেজি বইগুলোও। তখন বুঝলাম, কিশোরী বেলায় যা কিছু নভেল বাংলা অনুবাদে পড়েছি, তার মধ্যে কয়েকটির অনুবাদকও এই লীলা মজুমদার।