অভিনেতার আড়ালে থাকা পরিচালক বিকাশ রায়

Film Director Bikash Roy

হিংলাজ মাতার দুর্গম দর্শন নিয়ে ছবি। অভিনয়ে উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, অনিল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এই সময় কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে উত্তম-সাবিত্রীর প্রেম ভেঙে গেছিল। তবু দৃশ্যে উত্তমের কোলেই সাবিত্রীকে পড়তে হবে। সেই দৃশ্য দুজনেই অনবদ্য করেছিলেন নিজেদের ব্যক্তিগত অভিমান দূরে রেখে। ছবির শেষে সাবিত্রী ওরফে কুন্তীর থিরুমল (উত্তমের চরিত্র-নাম) বলে একটা চিৎকার করে ডেকে ঝাঁপ দেবার দৃশ্য ছিল। বিকাশ রায় সাবিত্রীকে নির্দেশ দেন গায়ের যত শক্তি আছে তত জোরে চিৎকার করতে। সাবিত্রী বলেছিলেন “বিকাশদা আমার গলার শিরা ছিঁড়ে গেলে অন্য ছবি বা মঞ-নাটক আর কোনওদিন করতে পারব?”

লিখলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়…

মৃণাল সেন – সময়ের সাক্ষর (প্রবন্ধ)

chiranjit samanta

‘ভুবন সোম’ কোনও বিষণ্ণ চরিত্ররেখা নয়। বরং এক পদস্থ বিদূষক। সত্যজিৎ রায় ছবিটার প্রতি অবিচার করেছেন বলেই আমার ধারণা। কোনও পল্লীবালিকার প্রভাবে কোনও মন্দ আমলার সুপথে প্রত্যাবর্তনের গল্পই নয় ‘ভুবন সোম’।

লিখলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়…

কলম আর ক্যামেরার যুগলশিল্পী

Rabibar Film

১৯৬৯ সালে ‘আলোর গান’ তথ্যচিত্র দিয়ে প্রথম নজর কাড়েন নীতিশ মুখোপাধ্যায়। তাঁর তৈরি ‘অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর কথাশিল্প’ শীর্ষক তথ্যচিত্র সমালোচক মহলে উচ্চ প্রশংসিত হয়।

নিবন্ধ: দৃশ্য যখন নিজেই সঙ্গীত

Tarun Majumdar a stalwart filmmaker

তরুণ মজুমদারের ছবিতে গানের নির্মাণ ও নির্বাচন এবং তা নিয়ে দৃশ‍্যরচনা, হয়ে উঠেছে আদর্শ ও মনোগ্রাহী। যার মধ্যে আছে রবীন্দ্রনাথের গানের উজ্জ্বল উপস্থিতি। … লিখছেন অভীক চট্টোপাধ্যায়।

স্মরণ: দূরে গিয়ে ভুল হল

Tarun Majumdar

কথার খেলাপ করার মানুষ তো ছিলেন না তরুণদা। যে কথা দিতেন, সেই কথাই রাখতেন। এবার এমন ব্যতিক্রম হল কেন! এখন আর দুঃখ হচ্ছে না। বরং রাগ আর অভিমান হচ্ছে। … লিখছেন অরিজিৎ মৈত্র।

বাংলার আপনজন সাগিনা

Bollywood Megastar Dilip Kumar

সদ্যপ্রয়াত নায়ক তথা বলিউড তারকা দিলীপকুমারের জয়প্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। যদিও বাংলায় তিনি মাত্র দুটি ছবি করেছেন, তবু বাংলার সঙ্গে এক অবিচ্ছেদ্য প্রেমসম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন চিরকাল। লিখছেন অরিজিৎ মৈত্র।

‘একদিন পৃথিবীটা মানুষের না, পাখিদের হবে…’

Buddhadeb-Dasgupta55

সদ্য প্রয়াত হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চিত্রপরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তবে তাঁর কবি পরিচয়টিও সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। ছায়াছবি এবং কবিতাকে নিয়ে নিরন্তর এক রসায়ন চালাতেন তিনি। লিখছেন হিন্দোল ভট্টাচার্য।

মানিকদার গান-গল্প

courtesy Delhi Art Gallery and Nemai Ghosh

আমরা যখন হাল্কা আলাপচারিতায় ব্যস্ত হঠাৎ “এসে গেছে” ”এসে গেছে” বলে একটা চাপা গুঞ্জন শুনতে পেলাম। স্টুডিওয় তখন পিন পড়লেও শব্দ হবে। তারপরেই মানিকদার প্রবেশ। ঢুকতে ঢুকতেই ওই বাজখাঁই গলায় “অলোক, তোমার সব মিউজিশিয়ান এসে গেছে?” বলে হাঁক দিলেন।