গোলকিপার (পর্ব ১৬)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

গেটের একপাশে নিম আর অন্যপাশে কাঞ্চন। গেট থেকে বাড়ি পর্যন্ত খালি জায়গাটা এখন এই ফাল্গুনের মাঝামাঝি খয়েরি রঙের খসা নিমপাতা আর স্কারলেট রঙের ঝরা কাঞ্চন ফুলে মিলেমিশে লাবণ্যময়ী প্রাচীনার মতো মায়াময়। গেটের দুই পাল্লা জুড়ে একটা তালাসুদ্ধু শিকল এমনভাবে জড়ানো যে মনে হতে পারে গেটে তালা ঝুলছে। কিন্তু অভিজ্ঞ চোখ সহজেই বুঝে নেয়, শিকল নামালেই গেট খুলে যাবে। ভেতরে ঢুকে কুর্চি দেখল, সদর দরজা বাইরে থেকে হুড়কো টেনে বন্ধ, অথচ তাতে তালা লাগানো নেই!

গোলকিপার (পর্ব ১৪)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

কুর্চি চোখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আছে জলের দিকে। যে কথাটা দেবদীপ বলতে চায়, যা বলার জন্যে কুর্চিকে সে আজ ডেকেছে রোয়িং ক্লাবে, সেটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিষিয়ে উঠবে কুর্চির মন। মেয়েটা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ওর পুরনো দুঃখ ভুলে আনন্দে বাঁচার। দেবদীপ যা বলতে যাচ্ছে, তাতে কি ওর বাঁচাটা সহজ হবে? বাবা ছাড়া ওর নিজের লোক বলতে সত্যিই তো কেউ নেই! কুর্চি সামলাতে পারবে তো এই ধাক্কা? একা থাকে, ডিপ্রেশনে ভয়ঙ্কর কিছু করে বসবে না তো? কিন্তু অরিত্রর পাশে যে এখন কুর্চিকে দরকার!

গোলকিপার (পর্ব ১৩)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

সুমিত্রা ভাবলেন, সত্যিই তো তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। নার্সিং হোমের নামটা শোনামাত্র একটা ট্যাক্সি নিয়ে ছুটে চলে এসেছেন। বুঝতে পারছেন, অনেকক্ষণ এখানে কাটিয়ে দেবদীপ এখন চলে যেতে চাইছে। চিকিৎসার সব দায়-দায়িত্ব যখন সেই হাতে তুলে নিয়েছে, তখন দেবদীপের সঙ্গে গেলে আরও কিছুক্ষণ অরিত্রর খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগটা তো পাওয়া যাবে। কুর্চি দাঁড়িয়েই ছিল। দেবদীপ ফিরে আসতেই মনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে পড়তে বাধ্য হলেন সুমিত্রা। 

গোলকিপার (পর্ব ১২)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে অরিত্র অভ্যেসমতো বারান্দায় এসে বসার সঙ্গে সঙ্গে সুমিত্রা তার মাথায় পুজোর ফুল ঠেকিয়ে বললেন, “রক্ষা করো, করুণা করো, মার্জনা করো।” অভ্যেস মতোই বসলেন ছেলের পাশের চেয়ারে। ব্রাহ্ম পরিবারে জন্ম হলেও সুমিত্রার বিয়ে হয়েছে হিন্দু বাড়িতে। তবু তাঁর পুজো আর প্রার্থনা এখনও একটু অন্যরকম। তাঁর ঠাকুরঘরে কোনও ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি থাকে […]

গোলকিপার (পর্ব ১১)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

রাত সাড়ে নটা বাজল। কনসালটেন্সিতে আসা শেষ রোগীটি চলে যেতেই ডাক্তার সুজাত গুপ্ত হাসপাতালের ন’তলায় তাঁর চেম্বারের সহায়কদের বললেন সমস্ত বড় আলো নিভিয়ে বাড়ি চলে যেতে। অন্ধকার ঘরে টেবল ল্যাম্প জ্বালিয়ে একটা জার্নাল খুলে পড়তে শুরু করলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে ঢুকলেন চিকিৎসা-জগতের বাইরে তাঁর সবচেয়ে বিশ্বাসভাজন মানুষ অলোকেশ গুহ বিশ্বাস। অনেক দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। […]

গোলকিপার (পর্ব ১০)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

চিঠিটা বাবার হাতে পৌঁছেছে তো? দু-দিন কেটে যাওয়ার পরেও বাবার কাছ থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একটু ধন্দে পড়ে গেল কুর্চি। দু-দিন ধরে সে বারবার ভেবেছে, বাবা ফোন করবে। প্রচণ্ড হম্বিতম্বি করবে ওই মিথ্যুক পাহারাদারটাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে।

গোলকিপার (পর্ব ৮)

Episodic Novel Illustration ধারাবাহিক উপন্যাস

অরিত্র অফিস থেকে বেরোবার তোড়জোর করছিল, কুর্চির ফোনটা এলো তখনই।

– সেদিন একটা শিওর গোল বাঁচাতে দেখলাম, কিন্তু কোনও কাগজ গোলকিপারের কথা লিখল না কেন?

– কেন আবার, কোনো কাগজে কুর্চি গুপ্তর মতো ফুটবল রিপোর্টার নেই বলে। কিন্তু সত্যিই তুমি অনেকগুলো কাগজ ঘেঁটেছ নাকি?