শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৭)

দীর্ঘ টানা বর্ষা কাটিয়ে আশ্বিন এসেছে বাংলায়। কাশ ফুলে ফুলে সাদা হয়ে রয়েছে পরিহার গড়ের সামনে ছোট মাঠটা। ঢাকের আওয়াজ ভেসে আসছে গড়ের ভেতর থেকে। গড়ের দালানে কেদারায় বসা অর্জুন সিংহ। সামনে নবনির্মিত নাটমন্দিরে পুজো চলছে। ধুনোর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন মণ্ডপ। একচালার প্রতিমা। সামনে দাঁড়িয়ে পুরোহিত মশাই। হাতে পিতলের ঘণ্টাটা নেড়ে নেড়ে মন্ত্রপাঠ করছেন মন্দ্রকণ্ঠে। সামনে […]
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৬)

পা দিয়ে গুঁতো মেরে ঘোড়ার গতি বাড়িয়ে দিলেন ফেডি। একটু দুরেই রাস্তার দুপাশে দুটো বড় বড় গাছ। তারপরেই বাড়ি। গাছদুটোর কাছাকাছি আসতেই ওপরে ডালপালা নড়াচড়ার মৃদু খসখস শব্দ শোনা গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃদু চাঁদের আলোয় ঘাড়ের পিছনে চকচক করে উঠল কী একটা। মুহূর্তে সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল ফেডির সামনে।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৮)

সকাল সকাল দারোগা খোদাবক্স খবর পেলেন বিশের এককালের স্যাঙাত বোদে ডাকাত বিশের হাতে মার কেয়ে শয্যাশায়ী। তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নিশি কবরেজ। বোদে সুস্থ না হলে যে মহা বিপদ! কী বিপদ? …
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৭)

সাঁইত্রিশবার দার পরিগ্রহ করা কুলীন বামুন বিনোদবিহারী মুখুজ্জে বাড়িতে থাকা দুই স্ত্রীর কোন্দল আর নির্যাতনে অতীষ্ঠ। সেই লক্ষ্মীদাসি আর গৌরবালার চুলোচুলির মাঝে এসে দাঁড়ালেন এক স্ত্রীলোক। পিছনে দুই বেহারার পালকি। কে তিনি? কার সঙ্গে এসেছেন?
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৬)

অর্জুন সিংহ বিশেকে চৌরঙ্গীবাবার খবর দিলেন। যে বাবার আশীর্বাদ পেতে আশপাশের পাঁচ গায়ের লোক হন্যে, সেই বাবা স্বয়ং নাকি দেখা করতে চান বিশেকে! কিন্তু কেন?…
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৫)

একের পর এক পারিবারিক শোক আর সহ্য করতে পারেননি ঠাকুর সাহেব। সব ছেড়েছুড়ে চলে এলেন এই পরিহারে। ফৌজদারির কাজে যা টাকাপয়সা রোজগার করেছিলেন, তাই দিয়ে কিছু জমিজমা কিনে বিঘে দশেক জুড়ে এই গড় বানালেন। সেখানেই আগমন বিশে বাগদির দলের।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১৪)

বিশে বাগদীকে খতম করতেই হবে। ম্যাজিস্ট্রেট এলিয়ট সাহেবের বাংলোয় শলাপরামর্শ করতে জড় হয়েছে কোম্পানির বাঘা বাঘা সব অফিসার আর ওপরগস্তিদের দল।
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১২)

গলুইয়ের ভেতর টিমটিমে আলোয় বসে রয়েছে বিজয়াবালা। গলায় ফিনফিনে একটা মটরমালা। কানে দুল আর দুগাছি চুড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই অঙ্গে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরে গিয়ে গলুইয়ের আলো এসে পড়ছে ফরসা অপরূপ সুন্দর মুখখানায়। গভীর আয়ত একজোড়া চোখ। এই মুহূর্তে অজানা এক দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগের ছাপ সেই চোখে।