প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবী

রান্নাঘরে ওই দেড়হাত ঘোমটা ঢাকা মোটা শাড়ি পরা অবস্থানই তাঁর কাছে সুযোগ হয়ে দেখা দিল। ঐ ঘোমটার আড়ালেই রাখলেন লুকিয়ে সংগ্রহ করা স্বামীর চৈতন্য ভাগবত পুঁথির একটি পাতা, ছেলের অ আ ক খ, মকশো করার একটি তালপাতা আর ছোটবেলার স্মৃতিতে ধরে রাখা অ আ ক খ উচ্চারণ। কিন্তু সেও তো এগারো বারো তেরো বছর বয়সের স্মৃতি। সেই স্মৃতির পাতাটি তিনি পুঁথির পাতা আর ছেলের তালপাতার পাশাপাশি রাখার চেষ্টা করেন, চারপাশের লোকজনের কথাবার্তার সঙ্গে মেলান।
প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবীর জীবনের নানা কাহিনি, লিখলেন সুমিত্রা চৌধুরী
অন্য চোখে— বিজ্ঞানসাধক রাজেশ্বরী

বলা হয়ে থাকে, ডক্টর সিভি রমনের অধীনে কাজ করতে চেয়েছিলেন রাজেশ্বরী, কিন্তু রমন অনুমতি দেননি। রমন তখন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রধান। প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে এমন অর্ধচন্দ্রে নিঃসন্দেহে খুবই মুষড়ে পড়েন সদ্য তরুণী কৃতি বিজ্ঞানপড়ুয়া। সিভি রমনের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়, বারবার শোনা গিয়েছে।
বিজ্ঞানী রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের জানা অজানা নানা কাহিনি… লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী
মেয়েদের পাহাড় চড়ার সেকাল একাল

অনেক তুলকালাম, ঝগড়াঝাঁটি, দৌড়ঝাঁপ ও দরাদরির পরে নন্দাঘুন্টির বদলে আমরা পেলাম রোনটি (১৯,৮৯৩) শিখরের জন্য অনুমতি। সেই প্রথম অভিযানের সাফল্য সারা দেশে স্বীকৃত হল এবং মেয়েরা যে সুযোগ পেলে কঠিন কাজও করতে পারে তারও দৃষ্টান্ত হয়ে রইল সেই রোনটি অভিযান। তারপর আজ তো আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই এভারেস্ট আরোহণকারী মেয়েদের ছড়াছড়ি।
মেয়েদের পাহাড় জয়ের গল্প, লিখলেন পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলা পর্বত-অভিযাত্রী দলের ক্যাপ্টেন দীপালী সিংহ
ভারতের প্রথম আধুনিক মহিলা চিকিৎসক আনন্দী যোশি

জেমস কলকাতার কাগজে আনন্দীকে সাহায্যের আবেদন ছাপিয়েছিলেন, কিন্তু দাতাদের মধ্যে কোনও ভারতীয়ের নাম পাইনি। কলকাতার শিক্ষিত সমাজে আনন্দীর খবর কোনও আলোড়ন তোলেনি। গোপালরাও এতদিন পর্যন্ত যেখানেই গেছেন, নিজেদের জাতের অর্থাৎ মারাঠি চিৎপাবন ব্রাহ্মণদের সাহায্য পেয়েছেন। এবার কিন্তু কলকাতায় তাঁর সমাজও মুখ ফিরিয়ে নিল। তবে আনন্দীকে তা দমাতে পারেনি, কিছু সমস্যার পরে শেষ পর্যন্ত ১৮৮৩ সালের ৭ এপ্রিল আনন্দী কলকাতা থেকে কয়েকজন মিশনারি মহিলার সঙ্গে লন্ডন রওনা হলেন।
ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার আনন্দীবাই যোশির জীবনের জানা-অজানা নানা কাহিনি, লিখলেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
DTP: বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে

শুরু হল ছোট জায়গায় বড় সম্ভাবনার যুগ। ছোট শহর, ছোট জায়গা, ছোট ইনভেস্টমেন্ট। মধ্যবিত্ত বাবা প্রফিডেন্ট ফান্ডের জমানো ভেঙে বাড়ি করার সময় একটা গ্যারেজও করেছিল এই আশায়, ছেলে চাকরি পেয়ে গাড়ি কিনবে। ছেলে চাকরি পেল না। গ্যারেজ হয়ে গেল প্রিন্টিং প্রেস। ব্যবসা শুরু হল কমদামি লেজার প্রিন্টার দিয়ে, ক্রমে বড় কালার প্রিন্টার, সব শেষে ব্যানার ছাপার প্রিন্টার।
DTP-র বিশ্বজয় নিয়ে কলম ধরেছেন অসীম চট্টরাজ
ছাপা বই ও এক অর্বাচীন পাঠকের ভাবনা

জয় গোস্বামী প্রণীত কৃষ্ণেন্দু চাকী চিত্রিত ‘হরিণের জন্য একক’ যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন এই বইটির সামগ্রিক সজ্জাই নির্মাণ করা হয়েছিল সুচিন্তিতভাবে। আপাত দৃষ্টিতে অশিক্ষিত-অর্বাচীনের চোখে প্রায় অ্যালবামের মতো একটি বই তার প্রচ্ছদ থেকে বাই-কালারের মুদ্রণ— সমস্তকিছুর মধ্যেই পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। হরফের মাপ ছোট-বড় হয়েছে, আকার বদলেছে কবির বক্তব্য অনুযায়ী।
বই ছাপার আগে পরে কী ভাবেন লেখক? নতুন বই কেনার আগে পাঠকের চোখই বা কী খোঁজে? বইয়ের মুদ্রণের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবনা উশকে দিলেন রাজদীপ রায়
১৯৭৬-২০২৩: বইমেলার একাল সেকাল

কলকাতায় ফিরে সেইবার বইমেলায় গেলাম প্রথমবার। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার আগে যখন আনন্দবাজারে কাজ করেছিলাম তখন ‘রান্নার বই’ নামে লীলা মজুমদারের একটা বই আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বেরিয়েছিল। সেই প্রথম আমার আঁকা বই বেরোনো। বইটা হাতে পেলাম দিল্লিতে বসে। খুব আনন্দ হয়েছিল বইটা হাতে পেয়ে। কারণ প্রথমত- আমার প্রথম অলঙ্কৃত বই, দ্বিতীয়ত – লীলা মজুমদারের লেখা। অনেকগুলো ছবি এঁকেছিলাম বইটাতে।
…প্রথম বইমেলার স্মৃতি থেকে আজকের বইমেলা, কতটা বদলালো চেহারা-চরিত্র? লিখলেন অনুপ রায়
কবিতা: মেলা ফেরৎ ছায়া

দীর্ঘ হল মেলা ফেরৎ ছায়া/ ঘাসের মাঝে ক’দিন রাজবাড়ি/ প্রিয় কবির নতুন বইয়ের আঁচে/ লালচে হলেন ঈষৎ অভিমানী
… বাংলালাইভ মলাট কাহিনিতে এবার বইমেলা নিয়ে কবি অগ্নি রায়ের দীর্ঘ কবিতা