পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর বিশ্বায়নের প্রভাব

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রক ‘বন সংরক্ষণ আইন ১৯৮০’-র পরিবর্তন করে জুন, ২০২২-এ ‘বন সংরক্ষণ রুল ২০২২’ নামে একটি সংশোধনীর প্রস্তাব করে। এই প্রস্তাবে যে বিধানগুলি দেওয়া হয়েছে তার প্রায় সবকটিই অরণ্য ধ্বংসের সহায়ক হবে— যে কোনও ধরনের বনভূমিতে যেখানে বনবাসী উপজাতি বা বনবাসী বা আদিবাসীদের পরম্পরাগত অধিকার আছে, সেই অধিকার হরণ করে সরকার বনাঞ্চলকে অধিগ্রহণ করতে পারবে। যেখানে ২০০৬ সালের অরণ্যের অধিকার আইন অনুযায় কোনও বনভূমিতে অন্য কোনও উদ্দেশ্যে— যেমন খনি, কারখানা, বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, রাস্তা ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে আদিবাসী-অরণ্যবাসীদের অনুমতি নেওয়া জরুরি। কিন্তু ‘বন সংরক্ষণ রুল ২০২২’ প্রস্তুত করে এ নিয়ম নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে। এই সংশোধনীকে আইনে পরিণত করার জন্য বন সংরক্ষণ বিল ২০২৩ সংসদে পেশ করা হয়েছে।
সৃজনশীলতায় মৌলিক চিন্তার জৈব বনাম কৃত্রিম জগতের যুগসন্ধিক্ষণ

তাহলে একজন কবির বৈশিষ্ট কী রইল? তাঁকে শব্দমালা জানতে হবে, সেই শব্দের ব্যবহার জানতে হবে, তিনি কী লিখতে চান সেটা পরিষ্কার থাকতে হবে এবং ব্যাকরণগত প্রয়োগ সম্বন্ধে সম্যকজ্ঞান নিয়ে সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে কি কবিতা লেখা এতটাই সহজ!
লিখলেন ওঙ্কার প্রসাদ ঘোষ।
চ্যাট জিপিটি ও ছেঁড়া ডায়েরি

একে একে বাজারে এল ঝাঁট দেওয়া রোবট রুম্বা, ‘অ্যাপেল’-এর সিরি, আইবিএম-এর ওয়াটসন আর ‘অ্যামাজন’-এর অ্যালেক্সা। ২০১৬ সালে হংকং-এ তৈরি হওয়া রোবট সোফিয়া তো মানুষের সামাজিক ব্যবহার পর্যন্ত নকল করতে শুরু করল। বিভিন্ন পত্রিকায় সোফিয়ার ইন্টারভিউ প্রকাশ পেল। মানুষ সোফিয়ার প্রেমেও পড়তে শুরু করল। ২০১৭ সালে সোফিয়াকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পর্যন্ত দেওয়া হল। সোফিয়ার নিজের আঁকা নিজের ছবি ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ ডলারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তার ইতিহাস, সম্ভাবনা ও অশনি সংকেত— লিখলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
চ্যাটজিপিটির চ্যাটাচ্যাটি

দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কারণ, চ্যাটজিপিটিকে এখনও বাংলা ভাষায় বাক্য-গঠনই শেখানো যায়নি। বাংলা শব্দভাণ্ডারের সন্ধান তাকে দেওয়া গেলেও, তার ব্যবহার বিষয়ে সে এখনও অন্ধকারেই। আবার, সম্পূর্ণ অন্ধকারে, একথাও বলা যাবে না। দ্বিতীয় লেখাটিতে, ‘আসা’ এবং ‘আশা’, একই লেখার দুটো বাক্যে এভাবে ভিন্ন অর্থের সমোচ্চারিত দুটো শব্দের অর্থ-অনুযায়ী প্রয়োগও কি লক্ষ করা বাহুল্য হবে? এমনকি, যতিচিহ্নের ব্যবহারও প্রায় যথাযথ, যা বাংলা কবিতা লিখিয়ে এখনকার অনেক তরুণের কাছে অধরাই। তবে, এটুকু নিয়ে বাংলা ভাষায় সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে সে পা রাখবে, এ চিন্তা আকাশকুসুম কল্পনামাত্রই। কল্পনা বলা মাত্রই মনে পড়ল, যেকোনও সৃষ্টিশীল কাজে সামান্যতম কল্পনার যে অসীম ব্যপ্তি ও সম্ভাবনা প্রয়োগের কৌশল কোনও সৃষ্টিশীল ব্যক্তির সহজাত, তা তো আর যন্ত্রের মগজে ঠেসে ঢোকানো সম্ভব নয়, তাই না!
বাংলাসাহিত্যের সৃষ্টিশীলতা বনাম চ্যাটজিপিটি — লিখলেন পলাশ বর্মন।
চ্যাট-জিপিটি, কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা ও শিল্প-সৃষ্টি

একথা ঠিক যে, চ্যাট-জিপিটির সৃষ্টিকর্ম মানব জীবনের জটিলতাকে এখনও স্পর্শ করতে পারেনি; কিন্তু এও মানতে হবে যে আমাদের জটিল ভাবাবেগ আমাদের জীবনের যাবতীয় অভিজ্ঞতারই সংমিশ্রণ— আর সেই ভাবাবেগকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা সাহিত্যের মাধ্যমে এতদিন সম্ভব হয়ে থাকে, সেই সাহিত্যের ভাষাকে ‘ডিকোড’ করা কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার কাছে খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
শিল্প সাহিত্যের মৌলিকতাকে কি চ্যালেঞ্জ করে বসেছে চ্যাট-জিপিটি? উত্তর খুঁজলেন শান্তনু ভদ্র…
চ্যাট-জিপিটির প্রথম পাঠ

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) আর মেশিন লার্নিং (ML) – এদের একসঙ্গে AI-ML বলে দাগিয়ে দেওয়া হলেও এ দুই আলাদা জিনিস। আমি সে সব কচকচিতে ঢুকব না। খালি একটা জিনিস বলে নিই মেশিন লার্নিং সম্বন্ধে। মেশিন লার্নিং শব্দবন্ধের মূল অর্থ হল এমন পদ্ধতি যা মেশিন নিজে নিজে শিখবে, মানুষকে পইপই করে ইন্সট্রাকশন দিতে হবে না। সেই নিজে নিজে শেখার জন্যে প্রয়োজন প্রচুর তথ্য।
চ্যাট জিপিটি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক কথাবার্তা, লিখলেন সম্বিৎ বসু…
মঞ্জু দে: স্মৃতি বিস্মৃতির ধারাপাত

সহজাত দক্ষতায় অভিনয়ের মাধ্যমে নানারকম চরিত্রকে দর্শকদের সামনে বিশ্বস্তভাবে অনায়াসেই ফুটিয়ে তুলতে পারতেন মঞ্জু দে। ফ্লোর জোন নির্বাচন, সঠিক এঙ্গেলে ক্যামেরার মুখোমুখী হওয়া ইত্যাদি টেকনিক্যাল বিষয়গুলি অতি দ্রুত রপ্ত করে নিয়েছিলেন তিনি। আমার তো মনে হয়, সে সময়ের ক্যামেরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ঠিক কোন মাপের মুখভঙ্গি বা শরীরী ভাষা দাবি করছে, সেটাও তিনি ভাবতেন। কোনও ম্যানারিজম ছিল না তাঁর। কণ্ঠস্বরে ছিল তীক্ষ্ণতা ও মাধুর্যের এক স্বাভাবিক সমাহার, উচ্চারণ ছিল শুদ্ধ এবং সেই স্বরের ওঠানামা স্বাভাবিকভাবেই নাট্য-মুহূর্তের দাবি মেটাত।
অভিনেত্রী মঞ্জু দে ও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লিখলেন তাঁর পরিবারেরই অন্যতম সদস্য অমিত দে…
তারকা নয়, অভিনেত্রী

জীবন সায়াহ্নে তিনি থাকতেন আলিপুরের কাছে এক বৃদ্ধাবাসে। দশ বছর আগে, সেখানে এই প্রতিবেদকের সুযোগ হয়েছিল তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার। উঠেছিল রেডিও নাটক ও উত্তর কলকাতার থিয়েটারের কথা। দুই মাধ্যমেই তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।
বাংলা ছবির বেশ কিছু দক্ষ প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখলেন অভিজিৎ সেন…