বৃষ্টিযাপন (কবিতা)

যদি গল্প বলতে পারতাম গুছিয়ে
ঘটমান সত্যের কাছে অবশ্যই
নিয়ে যেতে পারতাম তোমায়।
যেখানে পাতার এক পৃষ্ঠায় থাকত
সহানুভূতির দুটো চোখ তোমার,
বিপরীত পৃষ্ঠায় তখন ছুঁয়ে যেত
অনুচ্চার সাক্ষর আমার।
খতিয়ান (কবিতা)

শহর ছোঁয়নি কোনও রক্তের লাল রঙ / দু’হাতে রাখেনি হোমের কোনও আগুন… / সময় সরণির কোথাও শোনা যায়নি / নীরব শব্দের স্রোত।
কবিতার সঙ্গে বসবাস

অজানা। এই একটি শব্দ পর্যন্ত শুধু আমি পৌঁছতে পারি। আমার কাছে কোনও কবিতা হঠাৎ আরম্ভ হয়। কয়েকটি লাইন পরপর মাথায় চলে এল। কখনও বা মাত্র একটাই লাইন তিন দিন চার দিন ধরে মানের মধ্যে ঘুরে চলেছে। পরে লাইন আর আসছে না। অকস্মাৎ পরে দু’টি তিনটি লাইন চলে এল। অবাক হয়ে দেখলাম চার লাইনের একটি স্তবক তৈরি হয়ে গেছে! তখনও কিন্তু খাতা কলম নিইনি। এই যে চার লাইনের একটি স্তবক মনের মধ্যে তৈরি হয়ে উঠল, তা কী উপায়ে হল? সত্যি আমি জানি না।
স্বগত স্বীকার (কবিতা)

অসুখের ইতিহাসে নীরব কান্নার বিবরণ আছে, জেনো।
অভিমান ঘনিষ্ঠ হলে যে ব্যক্তিগত সুখ হয়
তার নীচে জমা থাকে এক-একটা এপিসোডিক বিরতি
নিশ্চিত আশ্রয় থেকে ছদ্ম-সুখে,
নিজস্ব পরিধি ছেড়ে কৌণিকবিন্দুতে-
আজ তবে শূন্যের কথা কেন?
দু’টি কবিতা

আর আজকাত লাভ-ক্ষতির হিসেবনিকেশকে তো
অঙ্ক বলেই মানি না।
সুদকষা দেখলে পেটে খিল ধরে যায় –
হাসি থামে না।
উদযাপন

গোপন দিয়েছি, দিয়েছি ঠোঁটের আদিম / প্লেট সেজেছে আঁশগন্ধে চোবানো তারায়
চোরাই

ধর্মাবতার, আমি কোনও পাপ করিনি আমি শুধু সিন্দুক খুলে একটা বিপন্ন গোধূলি খুঁজেছি বাকি সোনাদানা যা ছিল সব কঙ্কাল হয়ে গেছে কবে! আমি জানি শব ছুঁয়ে থাকা বহুকালের রীতি বলা যায় না, হয়তো মহাশয় বগলে ছাতা নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন উঠোনের দিকে। আমি জানি যে কঙ্কালের গায়ে ছিল হলুদ জামা গোধূলি তার করতলে মরা ইঁদুরের […]
পাতার নৌকা

একদা স্কুলের বন্ধু সপরিবারে গিয়েছে বেড়াতে
গাঢ় নীল আকাশের গায়ে অরুনাচল প্রদেশ যেন মেঘ জড়ো করে