দু’টি কবিতা

আমারও তো বাকি ছিল গান
যা তুমি লেখোনি
তাই লিখব বলে জ্বেলে দেওয়া আলো
বলে দাও (কবিতা)

আমি আসছি রিনি, সাড়ে পাঁচশো জন্মের
এবড়োখেবড়ো রাস্তা পেরিয়ে তোমার দেখা পেয়েছি।
স্বপ্ন (কবিতা)

আমাকে কেউ চিনতে যেও না বরং
আমি সুজাতা নই,
আমি আম্রপালী।
পাখিরা (কবিতা)

পাখিরা কি মানুষকে কেবলই তাদের হিংস্রতা আর নিষ্ঠুরতার জন্য ভয় পায়? নাকি আছে অন্য কোনও গূঢ় কারণ?
কুয়াশা (কবিতা)

কুয়াশায় ঢাকা পথঘাট কিংবা নিসর্গ জন্ম দিচ্ছে অস্বচ্ছ ভাবনার। কখনও সে কুয়াশার জাল কেটে তীরের ফলার মতো ঢুকে আসছে এক চিলতে আলো। কবি দেখছেন সম্ভাবনার জন্ম-মৃত্যু।
স্মৃতি স্বপ্ন স্বগতোক্তি (কবিতা)

অথচ দেখো, অমাবস্যার রাতে প্রচ্ছন্ন চাঁদের অস্তিত্ব কেন তোমার কাছে বেহায়া পূর্ণিমার চেয়ে বেশি স্পর্শসহ মনে হয়…
দ্যূতক্রীড়া

আধুনিক আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে মনে রেখে এক সাবলীল রাজ-আখ্যান বুনেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়, আধুনিক বাংলা পদ্যে।
উত্তরপুরুষ, তুমি (কবিতাগুচ্ছ)

আসলে সে রূপকথা, যাকে তুমি এতকাল জীবন ভেবেছ
যত ধিকিধিকি আগুন জ্বলবে, তত তোমার মনে পড়বে বালককৃষ্ণের কথা-
কখনও গিয়েছ কারও বাঁশি শুনে তার পিছুপিছু?