দু'টি কবিতা

কুয়োর নিচে কঠিন ব্যাধি/ প্রাচীন আধুলিতে/ দোল করেছ ছ'খানা হাড়/ অচলাচল হাঁড়ি
বিমূর্ততার সার্থক প্রয়োগ সুমন ঘোষের কবিকৃতিতে।
‘এই সব সারেগামা পেরিয়ে’ – কবি ভাস্কর চক্রবর্তী

কবি ভাস্কর চক্রবর্তী বাংলাভাষার সেই সব অনন্য কাব্যপ্রতিভাদের অন্যতম যাঁরা নিজের প্রতিভার যোগ্য সমাদর পাননি জীবদ্দশায়। তবু দারুণ অভিমানে, ক্ষোভে, আত্মমগ্নতায় রচনা করে গিয়েছেন একের পর এক অসামান্য পদ্য। দমিয়ে রাখতে পারেননি নিজের দৈবী কলমের অবিশ্বাস্য ক্ষমতাকে। তাঁকে নিয়ে লিখলেন এ কালের অন্যতম সেরা কবি বেবী সাউ।
নবনীতা দেবসেন: একাকী প্রেমতৃষ্ণার যাত্রাপথ

নবনীতা দেবসেনের গদ্যরীতির সঙ্গে তাঁর কাব্যভাবনার কোথাও কোনও মিল নেই। গদ্যে তিনি চিরউচ্ছ্বল, চিরকিশোরী, চিরহাস্যময় এক ছটফটে কন্যা যে অবারিত বিস্ময়ে গ্রহণ করছে পৃথিবীর সমস্তটা। অথচ কবিতায় তিনি একাকী, নিঃসঙ্গ, রিক্ত, বিরহকাতর, স্তব্ধ। নবনীতার সেই গোপন অলক্ষ্য কাব্যপৃথিবীতে ভ্রমণ করলেন প্রীতম বিশ্বাস।
কবিতা: ঘূর্ণি

যদি উন্মুক্ত হও, হালকা ফাঁক থেকে ম ম বেরিয়ে আসে জান্তব রশ্মি… এক দুরন্ত ঘূর্ণির সচলতার সমকালীন আখ্যান অমৃতা ভট্টাচার্যের কলমে।
কবিতা: মাধুকরী

কাব্যের উঠোনে অনায়াস পদচারণা, কাব্যের রাঙাপথে ঘুরে ঘুরে মাধুকরীবৃত্তি। ফুল থেকে ফুলে ঘুরে ঘুরে কখনও হাওয়ার শব্দ শোনা, কখনও রোদে জল মাপা। লিখছেন অভিরূপ মুখোপাধ্যায়।
কবিতা: যাপনকথা

এক অনঙ্গ প্রেমের নিরুচ্চার ঘোষণা অন্তরা দাঁ-এর কবিতায়। একদিকে মিলন, আর একদিকে বিচ্ছেদ– দুইয়ের নিরন্তর দোলায় ফিরে ফিরে আসে কাব্য।
কবিতার সঙ্গে বসবাস: বেবী সাউ ও তনুশ্রী কার্তিকের কবিতা

এ কালের গোসাঁইকবি খুঁজে খুঁজে ফেরেন পরশমণি। নবীন কবিদের বই ঘেঁটে ঘেঁটে ছেনে আনেন অনবদ্য শব্দের কারিকুরি। মোহজালে আচ্ছন্ন করেন কাব্যপিপাসু মনকে। জয় গোস্বামীর মাসিক কলাম কবিতার সঙ্গে বসবাস।
কবিতা: অলোকরঞ্জনের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

“ততদিনে সূর্য আরও বয়স্ক শীতল হয় যদি? যদি আরও পাড় ভাঙে? যদি আরও আরও বিমানবাহিনী ফেলে যায় বোমা কলোনিশিবিরে?” – সদ্যপ্রয়াত কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন তাঁর পুত্রসম এ কালের কবি হিন্দোল ভট্টাচার্য।