আমাদের কবিতা, ওদের কবিতা: ২

অ্যালাবামার এক তরুণ কবি বলেছিলেন, কবিদের কোনও নাম থাকা উচিত নয়, কারণ তাতে লেগে থাকে জাতি পরিচয়ের গন্ধ। সেই তরুণ কবির সঙ্গে কখনও আলাপ হয়নি বাঁকুড়ার কবি স্বরূপ চন্দের। বিনিসুতোয় অ্যালাবামা থেকে বান্দোয়ান গাঁথলেন সুবোধ সরকার।
দু’টি কবিতা

বুকের মধ্যে দেখো– / একটা নিমগাছ তার পাতা থেকে / বৃষ্টির রেণু / ছড়িয়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে/ চারদিকে কেমন মুঠো মুঠো/ মন-খারাপ ভাসিয়ে দিচ্ছে।…. সুতনুকা ভট্টাচার্যের কবিতা
কবিতা: আর এক লিখিত বেহিসাবি

জ্বলছে লাল চোখ, দাবানল, মাঝ রাস্তায় ঠোঁট, / সব জল বিন্দুর মাঝে শুধু বিন্দু বিন্দু বিড়ির আগুন… রাত ঘনিয়ে আসে শুধু হিসেব মেলে না। কবি খুঁজে ফেরে উত্তর। ঋভু চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতা: দেখা

অপরিচিত কিছু অব্যয়… / ধ্বনিময় সেতারের তার কেটে যাওয়া শব্দ… / ভীষণ ফাঁকা একটা অন্ধগলির ভিতরে…
দীর্ঘ জীবনপথে একাকিত্বের একান্ত অনুভব ফিরে দখলেন কোরক মিশ্র।
দু’টি কবিতা

আমরা সবাই / চিরকাল পথ খুঁজে গেছি / আমরা কখনও কেউ পথ হ’তে পারিনি!… পথিক হতে চেয়ে জীবন গিয়েছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার। কিন্তু পথের হদিশ কি মিলেছে? মৌলীনাথ গোস্বামীর কবিতা।
কবিতা: মুগ্ধ জবা

চুপ করে বসে দেখে, উড়ে যাচ্ছে তার শিরদাঁড়া। পাখি হয়ে যাচ্ছে আকাশে। পাখনা গজালো কোন ফুলে? জবার হলুদ রং এসে লাগল তার দাড়িতে। … ঝিলম ত্রিবেদীর কবিতা।
কবিতা: ছেড়ে আসা সে শহর

আমার মধ্যবিত্ততা কোথাও তখনো তুলসীতলার / প্রদীপ হয়ে ছিল…মদের গন্ধ এলে ভাবতাম / জাত গেল বুঝি!… একদা এ শহরকে ভালবেসে থেকে যাওয়া মানুষও একদিন তার পর হয়ে যায়। ছেড়ে আসা গলিপথে খুঁজে ফেরে চেনা চেনা মুখ। সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতাগুচ্ছ

তোমার জন্য শাপলা ফুলের ঘাটে /জলতরঙ্গে রেখেছি জলছাপ/ সময় করে বোসো, শুনতে পাবে / তোমার আমার নিহত সংলাপ… স্বর্ভানু সান্যালের কবিতায় আবেগ-জোছনা।