এলোমেলো বেড়ানো: ১১

salt village Ningel

দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নুন সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু শুভ বিশ্বাস। বিশেষত মণিপুরে এখনও মেয়েদের গর্ভাবস্থায় ও সন্তান প্রসবের পর শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির জন্য নিঙ্গেলের নুন খাওয়ানো হয়। এই নুন ধন্বন্তরির মতো কাজ করে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।

সমুদ্র নেই, খাঁড়ি নেই, নেই নোনা হ্রদও, তাও নুনের গ্রাম নিঙ্গেল, ঘুরে এসে লিখলেন অমিতাভ রায়

এলোমেলো বেড়ানো: ১০

Kakanmath Temple

বিশাল মন্দিরটি পাথরের তৈরি ২০ ফুট উচ্চতার একটি বর্গাকার ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটির বিশেষত্ব হল এটি পাথরের ওপর পাথর বসিয়ে নিছক ভারসাম্য বজায় রেখে তৈরি। সিমেন্ট বালির মিশ্রণ তো প্রশ্নই ওঠে না, এমনকি সাবেক কালের ইমারতি মশলা চুন-শাঁখের গুঁড়ো ইত্যাদিও অনুপস্থিত। পেরেক-স্ক্রু-রিভেটেরও বালাই নেই। দুটো পাথর জোড়া লাগাতে আঠা জাতীয় কোনও উপাদানও ব্যবহার করা হয়নি। এক টুকরো পাথরের উপর আরেক খণ্ড পাথর সাজিয়েই গড়ে তোলা হয়েছিল এত বিশাল স্থাপত্য। দেখে মনে হবে একটা ধাক্কা দিলেই পাথরগুলো হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাবে।

কাকনমঠের রহস্যময় মন্দির নিয়ে এবারের পর্ব, লিখলেন অমিতাভ রায়

এলোমেলো বেড়ানো: ৯

Mitaoli Chausath Yogini Temple

বৃত্তাকার প্রাঙ্গণের পরিধি ধরে গড়ে তোলা ঢালাও বারান্দায় একের পর এক সাজানো রয়েছে চৌষট্টিটি ছোটো ছোটো কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে রয়েছে এক একটি পাথরের মূর্তি। মূর্তিগুলির ভগ্নদশা দেখে এখন বোঝা যায় না যে, এগুলো আদতে কার মূর্তি। তবে লোকে বলে যে, এগুলি যোগিনী মূর্তি। পাথরের তৈরি স্তম্ভ ধরে রেখেছে কক্ষ এবং অলিন্দের ছাদ। অলিন্দের অন্য পাশে রয়েছে মন্দিরের চবুতরা। আর বৃত্তাকার প্রাঙ্গণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার ছোটো মন্দির।

এই আশ্চর্য স্থাপত্যের মন্দিরটিই আজ দর্শনার্থীদের কাছে ‘সংসদ মন্দির’ নামে পরিচিত। কেন? লিখলেন অমিতাভ রায়

এলোমেলো বেড়ানো: ৮

Amitabha Roy Gujarat Dang

ডাং-এর পাঁচজন রাজা বর্তমানে ভারতের একমাত্র বংশানুক্রমিক শাসক। ব্রিটিশ আমলে ডাং-এর পাঁচ জনজাতি রাজা এবং ব্রিটিশ রাজের মধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছিল। ডাং-এর ইতিহাস অনুসারে, ‘লস্করিয়া আম্বা’-তে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ হয়। পাঁচটি রাজ্যের রাজারা ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে ডাং-কে রক্ষা করার জন্য একত্রিত হয়ে ১৮৪১-এ লড়াই করেন। যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর ব্রিটিশ বাহিনী একটি আপস করতে রাজি হয়।

গুজরাটের ডাং ঘুরে লিখলেন অমিতাভ রায়

এক নিভৃতবাসের সূচনাপর্ব!

war-torn kabul

জুন মাসের প্রথম দিনের প্রভাতে পাহাড় ঘেরা ছোট্ট বিমানবন্দরে সামান্য কয়েকজন সহযাত্রীর সঙ্গে গুটিগুটি অবতরণের পর বোঝাই যায়নি শুরু হতে চলেছে নির্বাসিতের জীবন। রোদ ঝলমলে আকাশের নিচে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শহরটিকে মন্দ লাগেনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে ঝড়ের গতিতে ব্যাগ-বাক্স সমেত আরোহীকে তুলে নিয়ে যাত্রা হল শুরু।