এলোমেলো বেড়ানো: ১৭

বাগরাকোটে আর রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ। অনেককালের পুরনো চাঁদমারি। দেশের পঞ্চাশটি ফায়ারিং রেঞ্জের অন্যতম। দিনের পারাবারে রাত্রি মিশে যাওয়ার লগ্নে কানে ভেসে আসে ‘ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রুম’।
এলোমেলো বেড়ানো: ১৬

ডাইনে-বামে যেদিকে নজর যায় সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে অর্ধ-গোলাকার মৃত্তিকা স্তুপ। অনেকটা বৌদ্ধ স্তুপের আকারে নির্মিত ঘাসাচ্ছাদিত মাটির স্থাপত্য। প্রতিটি সমাধি-স্তুপের অর্থাৎ মৈদামের অভ্যন্তরে রয়েছে একেকজন রাজার সমাধি।
এলোমেলো বেড়ানো: ১৫

পরের দিন সকালে পাহাড়ি শহর শিলং দেখে তরুণ ডাক্তার মুগ্ধ। ঘুরতে ঘুরতে দেখে এলেন বিশপ ও বিডন জলপ্রপাত। সেখানে তখন জনৈক সোনা রাম সেই জলপ্রপাতের বারিধারা ব্যবহার করে দিব্যি এক কাঠ চেরাইয়ের কারখানা গড়ে তুলেছেন। অথচ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জায়গাটি আদর্শ।
এলোমেলো বেড়ানো: ১৪

লঙ্গয়া গ্রামে রয়েছে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চারদিকে সবুজের সমারোহ। লঙ্গয়া এলাকায় দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে ডোয়াং নদী, শিলোই লেক। ভৌগোলিক অবস্থানগত বৈচিত্র্য প্রত্যক্ষ করার জন্য শ্রম ও সময় সাপেক্ষ সফর হলেও ইদানিং লঙ্গয়া গ্রামে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরাসরি তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র।
এলোমেলো বেড়ানো: ১৩

গুয়াহাটি থেকে রেলপথে কামাখ্যা-লিডো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে মাত্র এক রাতের যাত্রা। ৫৭০ কিলোমিটার পথ ১৪ ঘন্টায় পেরিয়ে গেলেই অসমের পূর্ব প্রান্তের শেষ জেলা তিনসুকিয়া-র একেবারে প্রান্তসীমায় অবস্থিত নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের লিডো স্টেশনে পৌঁছে যাবেন।
এলোমেলো বেড়ানো: ১২

উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলীর ১৫৯ কিলোমিটার ভারতের মিজোরাম রাজ্যের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে। এখানে মিজো ভাষায় নদীর নাম কথলাংতুইপুই (Khawthlangtuipui)।
এলোমেলো বেড়ানো: ৭

মথুরা থেকে দ্বারকায় শ্রীকৃষ্ণের অভিবাসনের এই পৌরাণিক বিবরণ গুজরাটের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। লোকশ্রুতি, দ্বারকা গড়ে তোলার জন্য শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্র থেকে প্রায় ৯৬ বর্গ কিলোমিটার বা ৩৭ বর্গ মাইল জমি পুনরুদ্ধার করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শেষ লগ্নে পৃথিবীর বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বন্দর সাংহাই তো এইভাবেই গড়ে উঠেছিল। তাহলে কি দ্বারকার অনুপ্রেরণায় সাংহাই তৈরি হয়েছে? হবেও বা! এখন তো অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনও কিছুই হয় না।
… মিঠাপুর, ওখা দ্বারকা ঘুরে লিখলেন অমিতাভ রায়।
এলোমেলো বেড়ানো: ৬

কথিত আছে যে রাও লাখার নামে দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সিন্ধুতে রাজত্ব করতেন। তখন সিন্ধু নদ এই এলাকা দিয়ে বয়ে যেত। ফলে লাখপত ছিল কৃষিনির্ভর এক সমৃদ্ধ অঞ্চল। তাছাড়া সমুদ্রের খাঁড়ি পাশে থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধা ছিল।