চ্যাটজিপিটি – মিডজার্নি ও আমাদের বদলাতে থাকা ‘সংজ্ঞারা’

বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ও কৃত্ৰিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গামা গামা থিওরি আর আর্গুমেন্টে ব্যস্ত, এই সময়ে সার্ল একটা থট এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে হাজির, যার মূল দাবি হল কম্পিউটার যতই বুদ্ধিমানের মতো যে কোনও বিষয়ে টকা-টক উত্তর দিক না কেন, আসলে সে ঐ বিষয়ে কিছুই ‘বোঝে না’। কম্পিউটারের তথাকথিত বুদ্ধিমত্তা অনেকটা চাইনিজ ভাষা আদৌ না বুঝে কিছু চিহ্ন ও নিয়মের দ্বারা কোনও চাইনিজ বাক্যের উত্তর কী হবে, এইটা জেনে মুখস্থ উগরে দেওয়ার মতো।
চ্যাটজিপিটি কি বদলে দেবে শিল্পের ভবিষ্যৎ? লিখলেন একক
কল্পবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

কোনও একদিন স্রষ্টার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে সৃষ্টি, পিতার সিংহাসন দখল করবে সন্তান— এ এক অমোঘ ধারণা, যা যুগ যুগ ধরে মানুষ তার ‘কালেকটিভ আনকনশাস’-এ লালন করে এসেছে। বলা হয়, ঈশ্বর মানুষকে নিজের আদলে গড়েছেন। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ কীর্তি মানুষও চেয়েছে তার সৃষ্ট যন্ত্রদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখতে। তাই সে জেনেশুনেই নিজের সৃষ্টিকে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বরদান।
চ্যাট জিপিটি ও ছেঁড়া ডায়েরি

একে একে বাজারে এল ঝাঁট দেওয়া রোবট রুম্বা, ‘অ্যাপেল’-এর সিরি, আইবিএম-এর ওয়াটসন আর ‘অ্যামাজন’-এর অ্যালেক্সা। ২০১৬ সালে হংকং-এ তৈরি হওয়া রোবট সোফিয়া তো মানুষের সামাজিক ব্যবহার পর্যন্ত নকল করতে শুরু করল। বিভিন্ন পত্রিকায় সোফিয়ার ইন্টারভিউ প্রকাশ পেল। মানুষ সোফিয়ার প্রেমেও পড়তে শুরু করল। ২০১৭ সালে সোফিয়াকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পর্যন্ত দেওয়া হল। সোফিয়ার নিজের আঁকা নিজের ছবি ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ ডলারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তার ইতিহাস, সম্ভাবনা ও অশনি সংকেত— লিখলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
চ্যাটজিপিটির চ্যাটাচ্যাটি

দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কারণ, চ্যাটজিপিটিকে এখনও বাংলা ভাষায় বাক্য-গঠনই শেখানো যায়নি। বাংলা শব্দভাণ্ডারের সন্ধান তাকে দেওয়া গেলেও, তার ব্যবহার বিষয়ে সে এখনও অন্ধকারেই। আবার, সম্পূর্ণ অন্ধকারে, একথাও বলা যাবে না। দ্বিতীয় লেখাটিতে, ‘আসা’ এবং ‘আশা’, একই লেখার দুটো বাক্যে এভাবে ভিন্ন অর্থের সমোচ্চারিত দুটো শব্দের অর্থ-অনুযায়ী প্রয়োগও কি লক্ষ করা বাহুল্য হবে? এমনকি, যতিচিহ্নের ব্যবহারও প্রায় যথাযথ, যা বাংলা কবিতা লিখিয়ে এখনকার অনেক তরুণের কাছে অধরাই। তবে, এটুকু নিয়ে বাংলা ভাষায় সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে সে পা রাখবে, এ চিন্তা আকাশকুসুম কল্পনামাত্রই। কল্পনা বলা মাত্রই মনে পড়ল, যেকোনও সৃষ্টিশীল কাজে সামান্যতম কল্পনার যে অসীম ব্যপ্তি ও সম্ভাবনা প্রয়োগের কৌশল কোনও সৃষ্টিশীল ব্যক্তির সহজাত, তা তো আর যন্ত্রের মগজে ঠেসে ঢোকানো সম্ভব নয়, তাই না!
বাংলাসাহিত্যের সৃষ্টিশীলতা বনাম চ্যাটজিপিটি — লিখলেন পলাশ বর্মন।