এক বাঙালির মিলান কুন্দেরা

স্তালিনিস্ট জমানায় রুশ সাম্রাজ্যবাদ চেকোস্লোভাকিয়ায় যখন মানুষের কণ্ঠরোধ করছে, যখন একজন ব্যক্তিমানুষ কী ভাববে বা কী লিখবে, তাও নিয়ন্ত্রণ করছে কমিউনিস্ট পার্টি, তখন মিলান কুন্দেরা তৈরি করলেন ব্যক্তি মানুষের প্রতিরোধ। কিন্তু এই প্রতিরোধ উচ্চকিত নয়, বরং তীব্র শ্লেষাত্মক, তিক্ত রসের। ক্ষমতার সমস্ত রূপভেদ নিয়েই তিনি একপ্রকার সন্দর্ভ তৈরি করলেন তাঁর লেখায়। ১৯৫০ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ৫৬ তে ফিরে আসেন। আবার ৭০ সালে বহিষ্কৃত হন। তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি ফ্রান্সে চলে যান। বাকি জীবন আর তিনি তাঁর প্রিয় প্রাগে ফিরে যাননি।
লিখলেন হিন্দোল ভট্টাচার্য…
বইয়ের কথা: শোনার মতো বই

হয়তো সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য একটি লেখা হিসেবে লেখা বলেই, শব্দ ও ভাবপ্রকাশের মণিমুক্তোগুলিকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন এই সব লেখা লেখার সময়। যার জন্য একটি ডালপালা বিস্তার করা বনস্পতি-সুলভ লেখার হলোগ্রাম হিসেবে এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি পড়া যায়। এ কথাও হয়তো বলা যায়, এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলির প্রত্যেকটি লেখাই পরবর্তীকালে আলাদা আলাদা গ্রন্থ হয়ে উঠতে পারে।
লিখলেন হিন্দোল ভট্টাচার্য…
মলাট কাহিনি: তিনটি কবিতা

একটি ইংরেজ আমলের ঘড়ি আমাদের ঘরের ভিতর বেজে যায়। যেন পার্ক স্ট্রিটের কবরখানা। আমি তোমাকে রামপ্রসাদ শুনিয়েছিলাম একদিন। নদীর জল থেকে উঠে আসছিল এক পোড়া বাঙালির দেহ। অল্প অল্প ধোঁয়া তখনও গায়ে লেগে আছে। চোখদুটো বিস্ফারিত। মারাঠা দস্যুদের ভয়ে যেন তিরতির করে কাঁপছে সদ্য জন্ম নেওয়া ধান গাছের চারা।
বাংলালাইভ মলাট কাহিনিতে কবি হিন্দোল ভট্টাচার্যের লেখা তিনটি নতুন কবিতা…
কবিতা: চিত্রকর

বেজে ওঠো শাঁখ। বেজে ওঠো বাঁশি। শিকারীর মুখে মুখে অর্ধমৃত শিকারের প্রার্থনার মতো। সুখ নেই, শান্তি নেই মহাকাশে কোনওদিন। এ স্রোতের ঘাট নেই। মোহানাও নেই। তোমার চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে কবে, চোখ থেকে স্বপ্ন ঝরে পড়ে।
…হিন্দোল ভট্টাচার্যের নতুন কবিতা
বইয়ের কথা: রসিকের বিন্দুদর্শন

রসিক পাঠকের দিব্যচক্ষুর উন্মীলন ঘটে পড়ার সময়ে। এই দিব্যচক্ষু আসলে কিছুই না, গভীর অন্তর্দৃষ্টি, যা লেখার ভিতরে লেখার আত্মাকে খুঁড়ে বের করে। চিন্ময় গুহর বইয়ের আলোচনা করছেন হিন্দোল ভট্টাচার্য।
কবিতাগুচ্ছ ২০২২

জন্মমৃত্যু নেই, ভাসিয়েই দাও তোমার যা-কিছু, প্রতিটি গোধূলি/ ভেসে যায়, যে ঘাট বাউল হয়ে আছে, তারও গায়ে শ্যাওলা জমে,-/ ঘাই মারে মাছ, পুনরায় ডুবে যায়, একটু একটু করে যেখানে গভীর/ রয়েছে প্রবাহ।… হিন্দোল ভট্টাচার্যের দীর্ঘ কবিতাগুচ্ছ।
নোবেল প্রত্যাখ্যান, সার্ত্র এবং আনুগত্য

১৯৬৪-এর অক্টোবর থেকেই এই গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে, যে সার্ত্র সে বছর নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন। এই গুজব কানে যেতেই একটি চিঠিতে সার্ত্র নোবেল পুরস্কার কমিটিকে চিঠি লিখে জানান, পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হোক, তা তিনি চান না। লিখছেন হিন্দোল ভট্টাচার্য।
গুচ্ছকবিতা: যে কাব্য আঁধার নয়

আশাবাদ নিয়ে তুমি ডুব-সাঁতারে পেরোচ্ছ শহর / আর পিছু পিছু আসছে / ধর্ম, দল, নির্বাচন, রাতের বাজার।… ভিন্নতা ও বিপন্নতার সারবাঁধা অক্ষরমালা, হিন্দোল ভট্টাচার্যের কলমে।