বাবার গল্প

হেমাঙ্গ বিশ্বাস। স্বয়ং এক ইতিহাস। অসমের ভূমিপুত্র এই কালজয়ী গায়ক-সুরকার-গীতিকার বাংলার মাটি থেকে তুলে আনতেন তাঁর মেলোডি, তাঁর গায়কী, তাঁর যাপন। তাঁকে নিয়ে কলম ধরলেন পুত্র মৈনাক বিশ্বাস।….
অল্প আলোর বাতিঘর

প্রিয় কবির কলমে শৈশবযাপন। ফেলে আসা পাড়া, ফেলে আসা বাড়ির মতোই স্মৃতি-ফিকে হয়ে আসা ঘুপচি দোকানঘরের গল্প। জিয়া নস্টাল হোক, হিয়া হোক উতরোল!
দিনের পরে দিন: স্বপ্নের মুক্তাঞ্চল

শংকরের কড়া নির্দেশ ছিল সরোজমামার আসা যাওয়া নিয়ে কোনও কথা কারও সঙ্গে, এমনকি আত্মীয়দের সঙ্গেও যেন আলোচনা না করি। এর পর থেকে সকালে আসা বন্ধ হয়ে গেল। রাত আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ আসতেন। পরদিন ভোর না-হতে চলে যেতেন। শংকরের সঙ্গে যে প্রতিবার দেখা হত, তা নয়। এক এক সময়ে ভয় হত, যদি কোনওদিন পুলিশ হানা দেয়! সরোজমামাকে ধরে নিয়ে যায়!
নিমাই ঘোষকে যতটুকু চিনেছি

ক্যানন-এর একটা ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার পর গিয়েছিলাম ওনার ছবি তুলতে। তুলেওছিলাম। উনি প্রেরণা দিয়েছিলেন। ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম আমার ক্য়ামেরায় একটা ছবি তুলে দিতে। উনি সবিনয়ে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, “আমি অ্যানালগ ক্যামেরার মানুষ আর ওতেই আমার বিশ্বাস। আপনাকে আমি পরে ভালো ছবি তুলে দেব। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠল না।
আমার বাবা নিমাই ঘোষ

ছবির ব্যাপারে উনি অতি সাবধানী ছিলেন। প্রতিটি ফিল্ম রোলই তার কাছে সন্তান সমান। যদি কোনও দিন ষ্টুডিওতে আগুন ধরে যায় বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, সেই আতঙ্কে কখনও ফিল্ম প্রসেস হওয়ার পর স্টুডিয়োতে রাখতেন না। এই প্রসেস করতে করতে আমার কত কিছু পাওনা হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না।