পুরনো বছরের নতুন ফেলুদা– ফেলুদা ফেরত রিভিউ

সিরিজের অন্য ক্লাইম্যাক্সে কিন্তু সৃজিত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। এর আগে চতুষ্কোণেও সৃজিত প্রমাণ করেছেন, যে রোমাঞ্চকর, স্মার্ট, রাউন্ড টেবিল ক্লাইম্যাক্স তৈরি করতে তিনি এই মুহূর্তে বাংলায় প্রায় অপ্রতিদ্বন্দী।
প্রথম পুরুষ (পর্ব ৩)

সংলাপ বা চিত্রনাট্যর দিক থেকে আমার ওপর মানিকবাবুর প্রভাব আছে, সে কথা অনস্বীকার্য। ঋতুদার-ও আছে। ইনফ্যাক্ট, কৌশিক গাঙ্গুলি বা অঞ্জন দত্তর-ও আছে। কৌশিকদা’র টিভি ফিল্মগুলোর তো ভালোমতন প্রভাব আছে। কিন্তু হ্যারি পটার বইয়ের ভাষায় আমার ‘পেট্রনাস’ যদি কেউ থেকে থাকেন তিনি তপন সিনহা। তাঁর ছবিতে সঙ্গীত যেভাবে এসেছে, ডাইভার্সিটি অফ থীমস যেভাবে এসেছে সেটা আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছে। যে মানুষটা ‘গল্প হলেও সত্যি’ বানাচ্ছেন তিনিই বানাচ্ছেন ‘সফেদ হাথি’ বা ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ বা ‘এখনই’, ভাবাই যায় না!
প্রথম পুরুষ (পর্ব ২)

ভালোবাসাটুকু আমার স্যানিটিটা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখনই খুব মন খারাপ হয়ে যায় আমি এই হাইপারবোলিগুলো পড়ি। নেগেটিভ কথাগুলো পড়লে মনখারাপ তো হবেই। তখন পজিটিভ কথাগুলো পড়ি। নেগেটিভ কথাগুলো অ্যাসিড হলে পজিটিভ কথাগুলো অ্যালকালি। অ্যাসিড আর অ্যালকালি কাটাকুটি হয়ে চোখের জল হয়ে গেল।
প্রথম পুরুষ (পর্ব ১)

আমি গুমনামি দেখে কেঁদেছি। রাজকাহিনীর ক্লাইম্যাক্সে যতবার দরজাটা বন্ধ হয় আমি ভ্যাঁ-ভ্যাঁ করে পাগলের মতো কাঁদি। একটা জিনিস বুঝতে হবে। আমি ইন্টেলেকচুয়াল নই। আমি ইন্টেলেকচুয়ালদের জন্য সিনেমা বানাই না। আমি অবশ্য অন্যের সিনেমা দেখেও কাঁদি। অঝোরে কাঁদি। আমি ‘সিনেমাওয়ালা’ দেখে কেঁদেছি। আমি ‘নগরকীর্তন’ দেখে কেঁদেছি। ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’ দেখে আমার এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। আমি নিজে ইমোশনাল তো বটেই, সেই সঙ্গে একটা শিশুসুলভ উত্তেজনাও থাকে। একটা শট আরেক শটে ডিসলভড হতে দেখে আমার হাততালি দিতে ইচ্ছে করে।