নববর্ষে কবজি ডুবিয়ে বাঙালিয়ানার খানা তল্লাশি

শিল্প-সংস্কৃতি আর খাওয়াদাওয়া এক নিশ্বাসে বললেই যে পরিবারের কথা প্রথমে মনে আসে, তা হল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। এই ঠাকুর পরিবারেরই একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। বাংলা নতুন বছর শুরু করা যাক ওঁর লিপিবদ্ধ করা অঢেল রেসিপির মধ্যে থেকে কিছু রান্না দিয়ে। যে সমস্ত রান্নায় নামীদামি রেস্তোরাঁর ছাপ নেই, আছে মা ঠাকুমাদের আঁচলের ছায়া আর ভালবাসা।
সেকালের রেসিপি একালের মতো করে সাজালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
ইবাদত ও ইফতার

সেহরি বা ইফতারের খাবার খেতে হবে বুঝে-শুনে। এক সাথে অনেকটা ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো, ভাজাভুজি তো খালি পেটে একদমই নয়… ক্যালোরি একটু কম হলেই ভালো, কিন্তু সুষম খাবারের পুষ্টিগুণের দিকেও নজর রাখতে হবে। ইফতারের খাবারে খেজুর, কলা, ডাবের জল, ফলের রস যেমন খুব উপকারী, সেরকম আরও কয়েকটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপকারী সুপার ফুড দিয়ে আজকের খাবার। আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে উড়ে যাব সুদূর ইরানের ইফতার টেবিলে, কিংবা প্যালেস্টাইনের রান্নাঘরে আর মিশরের ওভেন থেকে বের করে আনব গরম কুকিজ…
শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে ইফতারের কিছু স্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবারের রেসিপি
দোলের মিষ্টিমুখ, ঘরোয়া রেসিপিতেই বাজিমাৎ

রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের দোল হোক, বা শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মতিথি উদযাপন, বা নিছক খুশির রং খেলা— সর্বত্রই মিষ্টি মুখ… মঠ, খাজা, গজা, জিলিপি, মালপোয়া, শরবত, প্যাঁড়া, ইত্যাদি কী নেই সেই লিস্টে!
দোলের দিনে ঘরের হেঁশেলেই তৈরি হোক জিভে জল আনা হরেক মিষ্টি, রেসিপি জানালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়…
মোহময় মলডিভস

প্রথমে আলাপ হল রাগী মুখের ট্রিগার ফিশ-এর সঙ্গে, একটা ফুলকপি কোরালের সাথে সে লুকোচুরি খেলছিল। তারপর, একে একে ড্যামসেল ফিশ, ওরিয়েন্টাল সুইটলিপ, ব্লু স্ন্যাপার— এদের সঙ্গে দেখা। যাওয়ার আগে অবশ্য ছবিতে এদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল স্রেফ, সামনে থেকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি! সারাদিন জলে কাটিয়ে সূর্য্য যখন ফেরার তোড়জোড় করছে, আমরা বালি পথ ধরে হাঁটা দিলাম স্যান্ড ব্যাংকের দিকে, যেখানে দু দিক থেকে সমুদ্র মিশে গেছে বালির বুকে আর সূর্য্য তাদের সঙ্গতে মেতেছে রঙের খেলায়…
মালদ্বীপ ঘুরে এসে লিখলেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
পিঠে-পার্বণী

পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি, যখন সূর্য আবার উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করে, ধনু থেকে মকর রাশিতে সঞ্চারিত হয়, সেদিন ভোরে স্নান সেরে পরিষ্কার শাড়ি পরে বাড়ির মা কাকিমা জেঠিমারা শুরু করেন পিঠে পার্বণ…
এই পৌষ সংক্রান্তিতে কোথাও কোথাও পুজো হয় ‘উঠোন লক্ষ্মী’ বা ‘পৌষ লক্ষ্মী’র… উঠোনময় আলপনা দিয়ে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন ধানের আশীর্বাদকে…
বাঙালির বড়দিনের কেক

শীত মানেই নলেন গুড়ের স্বাদ, কুয়াশার সকালে রাস্তার মোড়ে ভাঁড়ে দুধ-চায়ে চুমুক, আর ছোট্ট বারান্দার কিচেন গার্ডেনে ফলানো সবুজ সবজির ডালি। এই সবকিছুকে মিলিয়ে দিয়ে,আজ নিয়ে এলাম এমন কয়েকটা কেক, যাতে বাঙালির প্রিয় স্বাদ আর গন্ধ মিশে গেছে অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান ঘরানায়।
খুশির ইদে মটন-ভোগ!

এসব জিভ-ভাঙা নাম যতই হোক, খাসি বা পাঁঠার মাংস মানে বাঙালির ‘মটন’!! ব্যাস…। তো এই ‘মটন’ কিন্তু সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশিই খাওয়া হয় অন্য মাংসের তুলনায়। রকমারি মাটন রাঁধলেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়।
জগন্নাথের মিষ্টিমুখ

জগন্নাথদেব ভক্তদের কাছে বড়ো প্রিয় দেবতা, শ্রী কৃষ্ণেরই রূপ তিনি। আর রথযাত্রার সময় জগন্নাথের মন্দিরে তাঁর জন্যে রান্না করা হয় ছাপ্পান্ন ভোগ (ছপ্পনভোগ), যে ভোগের ভাগ পায় জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই। কখনও কম পড়ে না সেই মহাপ্রসাদ… লিখছেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়।