প্রথম দিনের সূর্য

ইন্টারভ্যু দিতে এসে প্রথমদিনেই বিভ্রাট। আমি কল্পনাই করতে পারি না ছাত্র আর মাস্টারমশাই কখনও একাসনে বসতে পারেন। মাস্টারমশাই থাকবেন উঁচু প্ল্যাটফর্মের সিংহাসনে, ছাত্ররা কয়েদির মতো বেঞ্চে। এটাই দস্তুর। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখি সবাই শতরঞ্চির উপর বসে। সবার সামনে একটা করে ছোট ডেস্কের উপর কাগজপত্র। সামনে আর একটা ডেস্ক আমার দিকে মুখ করে সাজানো।
দ-এ হ্রস্ব ই, ন-এ কার, ন-এ দ-এ র-ফলা – রবি গানের ভাণ্ডারী

দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে ছিলেন রবীন্দ্রনাথের নাতি। তাঁর বড় ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র দ্বীপেন্দ্রনাথের পুত্র। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বন্ধুপ্রতিম, অগ্রজপ্রতিম। শান্তিনিকেতনের সকলের প্রিয় ‘দিনদা’ নিজের উদ্যোগে স্বরলিপিতে ধরে রাখতেন রবীন্দ্রগান। সেই মানুষটির প্রয়াণ দিবস ২১ জুলাই। তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য বাংলালাইভের…।
পায়েসের পর শুঁটকি দিয়ে মুখশুদ্ধি করতেন দিনু ঠাকুর!

কেউ গন্ধেই বাপ বাপ বলে পিঠটান দেন। কেউ আবার আঁশটে গন্ধে মজে শেষপাতের মিঠাই ফেলে শুঁটকি দিয়ে মুখশুদ্ধি করেন! শুঁটকি মাছের রকমারি গল্প শুঁটকি ভর্তার রেসিপি-সহযোগে শোনালেন শামিম আহমেদ।…
‘যো’ লেখা টিশার্টেই প্রথম মুগ্ধতা

সম্প্রতি যোগেনবাবুকে নিয়ে তথ্যচিত্রটির কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি আমরা। ওঁর কলকাতার বাড়িতে, যেখানে ছবি আঁকার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন উনি, এবং শান্তিনিকেতনের বাড়িতে শুটিং করা হয়।…
নিজের রবীন্দ্রনাথ (প্রবন্ধ)

দুর্ভাগ্যবশত, ওই সময় যাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল, পরে বুঝেছিলাম, তাঁরা কেউই রবীন্দ্রনাথকে ভালবাসতে পারেননি। পরবর্তীকালে কোনো কোনো মানুষকে দেখেছি, যাঁরা হয়তো ধুতি পাঞ্জাবিই পরেন, সভা সমিতিতেও হয়তো যান, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে সত্যিকার ভালবাসেন।
রবি থেকে সত্যজিৎ: প্রবাহ-পরম্পরা (প্রবন্ধ)

তবে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সত্যজিতের মতো বহুমুখী প্রতিভাও রবীন্দ্রনাথের গানকে এমন নবীকরণ করেছিলেন সজ্ঞানেই! যদিও তিনি তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্রেও রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের ব্যবহার করেছিলেন সযত্নেই। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে অমিয়া ঠাকুরের কন্ঠে ‘এ পরবাসে রবে কে’ গানটির প্রয়োগ চলচ্চিত্র জগতে একটি মাইলস্টোন হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।
নববর্ষের প্রাতঃসূর্য

শান্তিনিকেতনের প্রখর দাবদাহ আর জলকষ্টের জন্য এই বছর থেকেই নববর্ষের দিন রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালনের রীতি শুরু হয়। এই রীতি চলে অনেকদিন পর্যন্ত। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এই রীতি পরিবর্তন করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নববর্ষ আর রবীন্দ্রজন্মোৎসব আলাদা করে দেওয়া হয় কারণ “সেমেস্টার সিস্টেম” চালু হয়ে যাওয়ায় পঁচিশে বৈশাখ তখন থেকে আর গরমের ছুটির মধ্যে পড়ে না। শান্তিনিকেতনের নববর্ষ ও রবীন্দ্রজন্মোৎসব শুধু উৎসব ছিল না কোনও দিনই। বাংলা নতুন বছরের দিনে সে ছিল বাংলা ভাষার উৎসব, বাঙালির সংস্কৃতির উৎসব।
ঝড়কে পেলেম সাথি

শান্তিনিকেতনে, বলা ভালো গোটা রাঢ়বঙ্গেই কালবৈশাখীর দাপট বাংলার অন্যান্য অংশের চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশিই। তার প্রমাণ তো গুরুদেবের অজস্র গানের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গানের মানুষ, তাই ঝড় উঠলেই মনে হয়, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’-এর প্রতিটি মীড়েই কি ধরা নেই লাল মাটির উপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব? কিম্বা ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে, বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে, আঁচলখানি দোলে’-র সুরের দুলুনিতে তো প্রায় বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ার টানে ছিটকে এসে পড়ে গানের খাতার ওপর! ‘হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড়’ না গাইলে বুঝি কালবৈশাখীর বাউল বাতাসকে শরীরে অনুভব করা যায় না! ‘ওই বুঝি কালবৈশাখী’ গানে যেমন করে কালবৈশাখীর রূপের মধ্যে অরূপের বাণী তুলে আনেন কবি, সে যে জীবনের করালঝড় সামলে চলার শিক্ষা!