মৃণালদা’র সাক্ষাৎকারটা অ্যারেঞ্জ করতে পেরে বেশ তৃপ্তি বোধ করেছিলাম

Mrinal Sen interview Doordarshan

এত রকমের গল্প মৃণালদার মুখে শুনতে শুনতে একদিন ভাবলাম, লোকটার তো বয়স বেড়ে যাচ্ছে। এইসব গল্প তো কোথাও ধরে রাখতে হবে। ঠিক হল দূরদর্শনের তরফে ওঁর একটা সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ভাবা তো হল, কিন্তু কাজটা খুব সহজ ছিল না। একদিকে সরকারি নিয়মের জাঁতাকল, অন্যদিকে মৃণালদার মর্জি।

প্রতিদিনের ইতিহাস ও মৃণাল সেনের ছবি

Mrinal Sen films and time consciousness

যখনই কোনও ছবি দর্শকের মনে যথেষ্ট প্রশ্ন জাগাতে পারেনি, মৃণাল সেন নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন। ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে যে গ্রামের মানুষদের নিয়ে ছবি করলেন, তাদেরকেই যখন পরবর্তীকালে ছবিটা দেখান, তখন মনে এই আশা ছিল যে ছবি দেখে গ্রাম্য কুসংস্কার, দলাদলি, গোঁড়ামি— এসব সম্বন্ধে হয়তো তারা সচেতন হয়ে উঠবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তিনি দেখলেন প্রশ্ন করা তো দূরস্ত, গ্রামের মানুষ সিনেমার পর্দায় নিজেদের দেখে বরং উচ্ছ্বসিত! এই বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্যই হয়তো জার্মান চলচ্চিত্রকার রাইনহার্ড হফের কাছে তিনি কবুল করেন— সমাজের যে বর্গের মানুষকে নিয়ে উনি ছবিটি করেছেন, তাদেরকে ‘শুধরে দেওয়ার’ কোনও এলেমই ওঁর নেই।

মৃণাল সেনের সিনেমার ভাষ্য আর তার কালচেতনা— লিখলেন অভিষেক রায় বর্মণ…