প্রথম দিনের সূর্য

ইন্টারভ্যু দিতে এসে প্রথমদিনেই বিভ্রাট। আমি কল্পনাই করতে পারি না ছাত্র আর মাস্টারমশাই কখনও একাসনে বসতে পারেন। মাস্টারমশাই থাকবেন উঁচু প্ল্যাটফর্মের সিংহাসনে, ছাত্ররা কয়েদির মতো বেঞ্চে। এটাই দস্তুর। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখি সবাই শতরঞ্চির উপর বসে। সবার সামনে একটা করে ছোট ডেস্কের উপর কাগজপত্র। সামনে আর একটা ডেস্ক আমার দিকে মুখ করে সাজানো।
বিশ্বভারতীতে শরীরচর্চার ঐতিহ্য

১৯০২ সাল। শান্তিনিকেতন আশ্রমের ছেলেমেয়েদের জন্য এমন একটি যথাযথ ব্যবস্থার সন্ধান পেলেন কবি জাপানে; ওইখানে জুজুৎসু বিদ্যার প্রদর্শন তাঁকে মুগ্ধ করল। তিনি বুঝলেন এ কোনও সাধারণ মানের শরীরচর্চা নয়
শতবর্ষে চিদানন্দ

তিরিশ-চল্লিশের দশকের কলকাতায় চিদানন্দ দাশগুপ্ত বা সত্যজিৎ রায়দের আন্তর্জাতিক জলহাওয়ায় ছিল যেমন বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকা, তেমনই ছিল আইপিটিএ-র সংগ্রামী শিল্পীদের দ্রুত পদচারণা।
শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে জ্যোতিষ গুহই সুপারস্টার!

শতবর্ষে পা দিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। একশোর আঙিনায় দাঁড়িয়ে ক্লাবের অন্যতম মহীরুহকে স্মরণ করলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক চিরঞ্জীব।
মানিকদার গান-গল্প

আমরা যখন হাল্কা আলাপচারিতায় ব্যস্ত হঠাৎ “এসে গেছে” ”এসে গেছে” বলে একটা চাপা গুঞ্জন শুনতে পেলাম। স্টুডিওয় তখন পিন পড়লেও শব্দ হবে। তারপরেই মানিকদার প্রবেশ। ঢুকতে ঢুকতেই ওই বাজখাঁই গলায় “অলোক, তোমার সব মিউজিশিয়ান এসে গেছে?” বলে হাঁক দিলেন।
মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে…

রবিশঙ্কর তাঁর গুরু আচার্য আলাউদ্দিন খানের তালিম মাফিক শুরু করলেন বিলম্বিত তিনতালে গৎ বাজানো। এবং আজীবন কর্ণাটকী সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিশ্বাসী থাকার দরুণ তিনি সেই গতে লয়ের মারপ্যাঁচ, অঙ্কের হিসেব, তেহাই ইত্যাদি নিয়ে এলেন। এতে তাঁর বাজনায় আমরা পেলাম সুরের সঙ্গে তাল-লয়ের অসামান্য সামঞ্জস্য।