সবুজ ট্রেন ও প্রীতিলতার ইচামুড়া

kitchen utensils simeon chardin

ছোট্ট মেয়েটি তাকিয়ে দেখত শেয়ালদা স্টেশনে এসে দাঁড়াল এক গাঢ় সবুজ ট্রেন। তার থেকে হাসিমুখে নেমে আসত একরাশ ভাল ভাল খাবারের গন্ধ।

আইঢাই: হেঁশেল পোশাক

পরনের কাপড়ের খুঁটেই গলা মুখের ঘাম মোছা, বাচ্চাদের ভিজে মুখ বা হাতের তেলো মুছিয়ে দেওয়া এবং অভিমানে লুকিয়ে চোখ মোছাও। কড়ার তরকারিতে হাত ধোওয়া জল দিয়ে সে হাতও নিজের আঁচলেই মুছতেন। ডান হাতের পাঁচ আঙুলের কাজ সারা মানেই, পরনের কাপড়ে হাতখানি ডলে নেওয়া। হেঁশেলের পোশাক নিয়ে কলম ধরলেন মন্দার মুখোপাধ্য়ায়।

আইঢাই: ঝাড়া ঝুড়ি

ঝাড়াঝুড়ির এই যে পর্ব, এর শুরু হত ভাদ্র মাসে – শাল বেনারসি গালচে, সব রোদ খাওয়ানো দিয়ে। তারপর চলত সাফাই অভিযান। সেই অভিযানের ঘাঁতঘোঁত ঘুরে দেখলেন মন্দার মুখোপাধ্যায়।

আইঢাই: বাপের বাড়ি

Baaper Bari

গিন্নি যাবেন বাপের বাড়ি, সঙ্গে যাবে কে? ছেলেমেয়েরা তো বটেই, তার সঙ্গে ভাইপো ভাইঝি ভাগ্না ভাগ্নির দল ভিড় করে। কর্তার মুখে মেধ জমে। নতুন বৌমার ঘোমটার আড়ালে এক ফালি হাসি ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায়! বাঙালিনীর বাপের বাড়ির বেত্তান্ত ব্যাখ্যানে মন্দার মুখোপাধ্যায়।

আইঢাই: সর-পর

Kitchen stories

‘সম’ বোধটা সংসারে প্রায় থাকেই না। তাই গিন্নিদের হাতের মোক্ষম অস্ত্র ছিল সর-পর। অর্থাৎ কিনা ভালোবাসা কিংবা টাকাপয়সা অনুযায়ী এক অদৃশ্য অলিখিত পক্ষপাত। তাই নিয়েই মন্দার মুখোপাধ্যায়ের এ বারের হেঁশেলিয়ানা!…

আইঢাই: ফাঁক ফোকর

Illustration by Debasis Deb

ফাঁদ যেমন অনেক রকম হয়, ফাঁকও ঠিক তাই। গলে পালানো বা গলিয়ে দেবার জম্পেশ সব ব্যবস্থা। এই যেমন চালুনি, সাঞ্চা বা ছুঁচ। এসব ইচ্ছে করে রাখা ফাঁক, কাজের সুবিধের জন্যে। যেমন এক ফাঁকে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলে রাখা, বা টুক করে পুকুরে গিয়ে তিন ডুবে স্নান সারা, বা আচারের শিশিগুলোর এ পিঠটা ঘুরিয়ে রোদ্দুরে ওপিঠ করে দেওয়া; এই মোচাক’টা কেটে রাখি, বা সরষেগুলো ঝেড়ে রাখি বা ছোট্ট করে পান সেজে, এক খিলি গালে ঠুসি। এসব ফাঁকে ছাড় চলবে। কারণ তা কাজেরই আগু বা পিছু।